মিডিয়ার সামনে গুলি করে দিয়ে চলে যাচ্ছে!
২০১৯ সালে ধর্মের নামে ভোট দেওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় দাঙ্গা হচ্ছে: অভিষেক
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমপি বলেছেন, ‘২০১৯ সালে আপনারা ধর্মের নামে ভোট দিয়েছিলেন, সেজন্য ভারতে জায়গায় জায়গায় দাঙ্গা হচ্ছে।’
তিনি আজ (মঙ্গলবার) কুচবিহারের দিনহাটায় দলীয় এক সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন। অভিষেক বলেন, ‘টেলিভিশনের পর্দায় খুন করে দিয়ে চলে যাচ্ছে! মিডিয়ার সামনে গুলি করে দিয়ে চলে যাচ্ছে! আপনারা কী নিয়ে ভোট দিয়েছিলেন, মোদীজির ৫৬ ইঞ্চি ছাতি। এখন টিভি খুললে কী দেখছেন? মোদীজি হাতির শুঁড়ে হাত বোলাচ্ছেন। আগামী দিন আপনারা ভোট দেবেন নিজের জল, কল, রাস্তা, একশো দিনের কাজ, মাথার উপরে ছাদ নিয়ে।’
তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারকে নিশানা করে বলেন, ‘২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ২০২২ সালের মধ্যে ভারতে একটা লোক থাকবে না যার মাথার উপর পাকা ছাদ, ঘর বা বাড়ি থাকবে না। তার সরকার নাকি সবাইকে দেবে। কিন্তু আজকে বাংলা থেকে ১১ লাখ ৩৬ হাজার লোকের বাড়ির নাম কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানো হয়েছে। এরা ২০২১ সালে বাংলায় নির্বাচনে হেরে গেছে বলে বাংলার বাড়ির টাকা জোর করে আটকে রেখেছে।’
বিজেপির একাংশের পৃথক রাজ্য গড়ার দাবি প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওরা ‘উত্তরবঙ্গ’ শব্দ, কথাটি ব্যবহার করে এবং কুচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, তাদের ভোট নিয়ে পৃথক রাজ্য গড়ার দাবি তুলে, মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে আপনাদের পাশে কোনোদিন দাঁড়ায়নি। আগামী দিনে যখন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন নিজের পঞ্চায়েতের কথা ভেবে প্রয়োগ করবেন। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগ নয়। মোদীজির ৫৬ ইঞ্চি ছাতি নয়, বালাকোটের নামে (সার্জিক্যাল স্ট্রাইক) নয়, আপনার বাড়ির শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎের জন্য আপনাদের ভোট দিতে হবে। একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা দিল্লির বুক থেকে যাতে আপনারা ছিনিয়ে আনতে পারেন সেই দাবিকে সামনে রেখে ভোট দিতে হবে।’
‘যারা বাংলায় হেরে গিয়ে বাংলাকে প্রতি পদক্ষেপে ধারাবাহিকভাবে লাঞ্ছিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত, শোষিত, অত্যাচারিত করে রাখছে, তাদের উপড়ে ফেলার লক্ষ্যে ভোট দিতে হবে’ বলেও মন্তব্য করেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমপি।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/জিএআর/২৫