মেয়রের পদত্যাগের দাবিতে কোলকাতায় কংগ্রেসের বিক্ষোভ
ডেঙ্গু ইস্যুতে বাংলাদেশ যোগের অভিযোগ মমতার, কটাক্ষ শুভেন্দুর,
পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে মেয়রের পদত্যাগের দাবিতে বিরোধী কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) মধ্য কোলকাতা জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ওই ইস্যুতে কোলকাতা কর্পোরেশন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা ‘ডেঙ্গুর আতঙ্কে কাঁপছে কোলকাতাবাসী’ লেখাসহ বিভিন্ন পোস্টার বহন করেন এবং স্লোগান দেন। এ সময়ে তারা ‘মেয়রের পদত্যাগের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে’ বলে স্লোগানে সোচ্চার হন। কোলকাতায় আজ এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘বার বার কেন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবে? দিকে দিকে লোক মারা যাচ্ছে। মেয়র শুধু ঘুরবেন। কিন্তু মেয়রকে শুধু ঘুরলে হবে না। কোলকাতায় কেন ডেঙ্গু বাড়ছে? মেয়র এই বিষয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কোলকাতায় তৃণমূলের কাউন্সিলররা শুধু তোলাবাজি করতে জানে শুধু কাটমানি নিতে চায়।’
ডেঙ্গু ইস্যুতে গত (বৃহস্পতিবার) বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তবে তার মতে, ডেঙ্গু সমস্যা আসছে প্রধানত বাইরে থেকে। মমতা বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আসছে। বেশি পাওয়া গেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা ইত্যাদি এলাকায়।’
এ দিকে, ডেঙ্গু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, সে প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘ওর উচিত অবিলম্বে চার্টার্ড বিমান নিয়ে ঢাকা যাওয়া। সঙ্গে ক্যানিংয়ের শওকত মোল্লা, ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম, ফলতার জাহাঙ্গিরদের নিয়ে যাবেন। কারণ, সীমান্ত এলাকায় এরা কাজকর্ম করেন, কে কী ভাবে ঢুকবে না ঢুকবে, নিয়ন্ত্রণ করেন। ডেঙ্গু বাংলাদেশ থেকে এলে এদেরও ব্যাপারটা দেখা উচিত। এই প্রতিনিধিদল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনায় বসুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে!’
আজ (মঙ্গলবার) বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক ব্যক্তিদের মন্তব্য রীতিমত উদ্বেগজনক। ঠিক বোঝা যাচ্ছে না ওনারা এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করছেন কেন? বিষয়টিকে লঘু করার জন্য নাকি নিজেদের অপদার্থতা ও প্রস্তুতিহীনতা ঢাকবার জন্য? তিনি কটাক্ষ করে আরও বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য হয়তো এর পরে বিএসএফ এর ঘাড়ে দোষ ঠেলে দেওয়া, কেনো তারা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মশাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারছে না!’
অন্যদিকে, রাজ্য সচিবালয় নবান্ন সূত্রে প্রকাশ, ডেঙ্গু মোকাবিলায় ৯ হাজার চিকিৎসককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে আশাকর্মীদেরও। ডেঙ্গু উপদ্রুত এলাকায় এক লাখ বিশেষ মশারি দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গোটা ব্যবস্থাপনার উপরে নিয়মিত নজরদারি চালাতে। জোর দেওয়া হয়েছে পরিচ্ছন্নতার উপর।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।