জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন শেখ হাসিনা
https://parstoday.ir/bn/news/india-i127416-জি_২০_শীর্ষ_সম্মেলনে_যোগ_দিতে_ভারতে_আসছেন_শেখ_হাসিনা
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
আগস্ট ২৮, ২০২৩ ১৭:৫৪ Asia/Dhaka
  • জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন শেখ হাসিনা

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস গতকাল (রোববার) বলেন, প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) ৯/১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থার সাথে কথা বলার সময়ে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার বলেন, আমরা জি ২০-এর ফল নিয়ে আশাবাদী। আমাদের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা সক্রিয়ভাবে জি-২০ তে অংশগ্রহণ করছি। এ বছর আমরা দেখেছি যে ভারত জি-২০ কে একটি নয়া এবং উচ্চ স্তরে নিয়ে গেছে। তিনি ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০ সফল হওয়ার আত্মবিশ্বাসও ব্যক্ত করেছেন।  

ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, বাংলাদেশ সদস্য দেশ না হলেও জি ২০-এর গৃহীত সিদ্ধান্ত সব উন্নয়নশীল দেশকে প্রভাবিত করে। তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের একজন যখন কোনো সংগঠনের সভাপতি হন, তখন তা অবশ্যই আমাদের নানাভাবে সাহায্য করে।  

উল্লেখ্য, আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ায় এটিই হবে প্রথম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। জি-২০ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশ এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীভুক্ত দেশ নয়। কিন্তু এ বারের সভাপতি দেশ ভারত। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে ঢাকার কাছে আমন্ত্রণ গেছে অতিথি দেশ হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার। ওয়াকিফহাল মহলের মতে, এ বছর ভারতের কাছ থেকে বেশ কিছু ‘কূটনৈতিক উপহার’ আশা করছে হাসিনা সরকার। ঘরোয়া রাজনীতিতে ভারত-বিদ্বেষী একটা বড় অংশের মুখ বন্ধ করতে তা সহায়ক হবে বলেই মনে করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লিগ সরকার।

জানা গেছে, সীমান্ত হত্যা, রফতানি শুল্ক জটিলতা, রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে কথা হতে পারে। মোদী ও হাসিনার মধ্যে  সম্ভাব্য বৈঠকের ফল যাতে বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে যথেষ্ট ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে সেই চেষ্টাও চলবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।#      

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/২৮      

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।