সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ ১৮:২৪ Asia/Dhaka
  •  'বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের আশঙ্কায় নির্বাচন না করা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা'

জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের আশঙ্কায় সেখানে নির্বাচন না হতে দেওয়া জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে মন্তব্য করেছে শিবসেনা (ইউবিটি) দল।

আজ (শুক্রবার) দলটির মুখপত্র ‘সামনা’র সাম্পাদকীয়তে ওই মন্তব্য করা হয়েছে। সম্পাদকীয়তে ৩৭০ ধারা অপসারণ করা হলে জম্মু-কাশ্মীরে যেসব সুফল হবে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল সে সবের কিছুই না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।     

এতে বলা হয়েছে- ‘জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা ধারা অপসারণের পর সাড়ে চার বছর কেটে গেছে, কিন্তু এখনও সেখানে বিধানসভা নির্বাচন হয়নি। জম্মু-কাশ্মীরের মতো একটি সংবেদনশীল রাজ্য শুধুমাত্র একজন রাজ্যপালের উপর নির্ভর করে চলতে পারে না। মোদি-শাহ সাফাই দিয়েছিলেন যে হিন্দু 'পন্ডিত'  সম্প্রদায় কাশ্মীর উপত্যকায় বাড়ি ফিরবে এবং উপত্যকায় নতুন শিল্প তৈরি হবে, আরও কর্মসংস্থান পাওয়া যাবে। কিন্তু বাস্তবে এসবের কিছুই হয়নি। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা এখনও ত্রাণ শিবিরে পরিত্যক্ত মানুষের মতো জীবনযাপন করছেন।’   

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয়। জম্মু-কাশ্মীরকে জম্মু- কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটি কেন্দ্রীয় সরকার শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। এরফলে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয় সেখানকার জনগণের মধ্যে।

৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ এবং যোগাযোগ ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে জম্মু-কাশ্মীরে হস্তক্ষেপের অধিকার ছিল না কেন্দ্রীয় সরকারের। জম্মু-কাশ্মীরে কোনও আইন প্রণয়নের অধিকার ছিল না সংসদেরও। আইন প্রণয়ন করতে হলে রাজ্যের সম্মতি নিতে হতো।আলাদা পতাকা ছিল জম্মু-কাশ্মীরের। আর্থিক জরুরি অবস্থা জারি করা যেত না। সাধারণ জরুরি অবস্থা জারি করা যেত না। বিধানসভার মেয়াদ ছিল ৬ বছর।     

‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে আজ ওই ইস্যুতে বলা হয়েছে,  ‘৩৭০ ধারা অপসারণ করে লাদাখকে আলাদা করে বিজেপি সরকার কী অর্জন করেছে? বিপরীতে চীনা সেনারা প্যাংগং  লেক পর্যন্ত লাদাখে প্রবেশ করেছে এবং সরকার তাদের প্রতিহত করতে দুর্বল প্রমাণিত হয়েছে। এটা মোদী সরকারের ব্যর্থতা। এই সরকার লাদাখের জমি ফিরিয়ে নিতে পারবে না, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের রক্ষা করতে পারবে না, সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারবে না এবং সেনাদের আত্মত্যাগ বন্ধ করতে পারবে না এবং কাশ্মীরিদের মন জয় করতে পারবে না।’ 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টার্গেট করে ‘সামনা’য় তীব্র সমালোচনা করে আরও  বলা হয়েছে- ‘সর্বোপরি কী করছে মোদী সরকার? দেশকে কোন অন্ধকার গুহার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে? ৭৫ বছরের কঠোর পরিশ্রমে এই দেশ গড়ে উঠেছে। এতে মোদীর মতো মানুষের কোনো অবদান নেই। মোদী এখন সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন ডেকেছেন এবং তিনি ৭৫ বছরের সময়কাল নিয়ে আলোচনা করতে চান। তা থেকে গত ৯ বছরের (বিজেপি আমল)  প্রতারণা দূর করতে হবে। দেশের অখণ্ডতা ও ঐক্য নিয়ে মোদী সরকারের দেওয়া সব প্রতিশ্রুতিই অসার প্রমাণিত হয়েছে’ বলেও শিবসেনার পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে। #      

পার্সটুডে/এমএএইচ/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।  

ট্যাগ