ইসরাইল হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী: মাওলানা এজাজ কাশ্মীরি
-
মাওলানা এজাজ কাশ্মীরি
ফিলিস্তিন ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের মধ্যে চলমান ভয়াবহ সংঘর্ষ প্রসঙ্গে মুম্বাইয়ের বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার মাওলানা এজাজ কাশ্মীরি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হল ইসরাইল।
গতকাল (বুধবার) গণমাধ্যমে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি ওই মন্তব্য করেন। মাওলানা এজাজ কাশ্মীরি বলেন, হামাসের হামলা ছিল ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া। কারণ, ইসরাইল গত কয়েক বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের উপর অত্যাচার করে আসছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হল ইসরাইল। আপনি যদি কাউকে আঘাত করতে করতে তাকে দেয়ালের পিছনে ঠেলে দেন তাহলে সেও পাল্টা হামলা করবে। সিংহ যদি বিড়ালকে আক্রমণ করে তবে বিড়ালও পাল্টা থাবা মারবে। ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া সবসময় আছে।’
মাওলানা এজাজ কাশ্মীরি বলেন, ‘আজ যদি হামাস এই হামলা করে থাকে, তাহলে এর পেছনের কারণ জানতে হবে। হামাস যা করেছে তা যদি সন্ত্রাসী হামলা হয়, তাহলে ইসরাইল যা করেছে তাও সন্ত্রাসী হামলা। ইসরাইল বহু বছর ধরে এই কাজ করে আসছে।’
মাওলানা এজাজ বলেন, ‘ব্রিটিশরা যখন আমাদের শাসন করত, তখন আমরা তাদের পিটিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। এ দেশে আসা মুসলিম সম্রাটকে আমরা ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলি। একইভাবে ইসরাইলিরাও ‘অনুপ্রবেশকারী’।
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে সমালোচনা করে মাওলানা এজাজ বলেন, ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করতে করতে ইসরাইল নিজেই না ধ্বংস হয়ে যায়। ফিলিস্তিনিদের হারানোর কিছু নেই। মৃত্যুর চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। ইসরাইলের অনেক কিছু হারানোর আছে। সেজন্য অহংকারী না হয়ে ইসরাইলকে মাথা নত করে বিষয়টির সমাধান করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ইসরাইল অনুপ্রবেশকারী। কারণ, ইসরাইল অনুপ্রবেশ করে ভূমি দখল করেছে। ইতিহাস এর সাক্ষী। পাকিস্তান যদি আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করে, আমরা কী তাদের ছেড়ে দেবো? পাকিস্তানিদের মারতে মারতে তাড়িয়ে দেবো। কারণ, তারা তাদের জমি পেয়েছে। সে আমাদের ঘরে ঢুকতে পারবে না। একইভাবে ইসরাইলিরাও তাদের জায়গা পেয়েছে।’
ইসরাইলের বিরুদ্ধে বায়তুল মুকাদ্দাস ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইসরাইল ফিলিস্তিনের সঙ্গে বায়তুল মুকাদ্দাস ধ্বংস করতে চায়। এখানে প্রতিবারই বোমা ফেলা হয়। মুসলমানরা মরবে কিন্তু বায়তুল মুকাদ্দাসের একটি ইটও নড়তে দেবে না। এটা হলে ইসরাইল বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’
মাওলানা এজাজ কাশ্মীরি আরও বলেন, ‘রাজনীতির খেলা খেলতে চাইলে খেলুন, কিন্তু বায়তুল মুকাদ্দাসে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন না। ফিলিস্তিনিরা পিছপা হবে না। ইসরাইলকে থামানো না গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বিশ্বের পরাশক্তিগুলোকে পূর্ণ শক্তিতে হস্তক্ষেপ করে এ সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমআরএ/১২