বাংলা কারও কাছে মাথানত করে না, মিথ্যে কথা বলছে কেন্দ্রীয় সরকার: মমতা
-
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একশো দিনের কাজ প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ করে এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন। এ সময়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা বলার অভিযোগ করেন।
আজ (সোমবার) বানারহাটে এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘বাংলা কারও কাছে মাথানত করে না। একশো দিনের কাজ যারা করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার তাদের ৭ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। ৭ হাজার কোটি টাকা দেয়নি যারা পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে কাজ করেছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। আমরা এজন্য দুঃখিত।’এটা চাওয়ার বিষয় নয়, এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার বলেও মন্তব্য করেন মমতা।
কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বন্ধ চা বাগান খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পরে আর কথা রাখেনি। কারও অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি ১৫ লাখ টাকা। তিনি বলেন, ‘আমরা বিনামূল্যে রেশন দেবো বলেছিলাম, দিয়েছি। এখনও বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে। আর অন্যদিকে, নির্বাচন সামনে এসেছে, তাই প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে রেশনের কথা বলছেন। এতদিন মনে ছিল না। নির্বাচন মিটে গেলে আর কিছুই দেবে না। ১৫ লাখ টাকা দেবে বলেছিল, সেটা কী আপনাদের দিয়েছিল? নির্বাচনের আগে বলছে পাঁচ কেজি চাল দেবে। তাহলে কোভিডের পর কেন বন্ধ করে দিয়েছিলেন? আমরা তো কিছু বন্ধ করিনি।’
মমতা বলেন, দিল্লি সব ট্যাক্স নিয়ে যাচ্ছে, বাংলাকে দিচ্ছে না। আর মিথ্যে কথা বলছে। ওরা বলে আমরা এত টাকা দিয়েছি! কিন্তু কোথা থেকে দিয়েছে? বিজ্ঞাপন দিচ্ছে বাড়ি বাড়ি আমরা পানি পৌঁছে দিচ্ছি। জমি রাজ্য সরকার দিচ্ছে, রক্ষণাবেক্ষণ রাজ্য সরকার করে, ৫০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকার দেয়। আমরা ৭৫ শতাংশ দিই। আর আপনারা ২৫ শতাংশ দিয়ে বাড়ি বাড়ি পানি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলছেন!’ মুখ্যমন্ত্রী আজ বানারহাটের সভামঞ্চ থেকে জলপাইগুড়ির ৬টি চা বাগান অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। লোকসভা ভোটের আগে তার এ সংক্রান্ত ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।