শশী থারুর বললেন:
লোকসভা নির্বাচনে মোদীকে ‘হিন্দু হৃদয় সম্রাট’ হিসেবে উপস্থাপন করবে বিজেপি
-
শশী থারুর ও নরেন্দ্র মোদী
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘হিন্দু হৃদয় সম্রাট’ হিসেবে উপস্থাপন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে মন্তব্য করেছেন।
আজ (শুক্রবার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি এ সংক্রান্ত দাবি করেছেন। তিনি বলেন, বিজেপি হিন্দুত্বের ইস্যুতে পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত। বিজেপি হিন্দুত্ব ইস্যুতে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘হিন্দু হৃদয় সম্রাট’ হিসেবে উপস্থাপন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
শশী থারুর বলেন, মোদীর ২২ জানুয়ারী অযোধ্যায় রাম মন্দির এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে বিএপিএস হিন্দু মন্দির উদ্বোধন করতে চলেছেন, তারপরে সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করা হবে বলে মনে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবুধাবিতে হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধনের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন, যা হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির। আবুধাবির প্রথম হিন্দু মন্দির এটি। যা আল বাকবা নামে একটি জায়গাতে ২০ হাজার বর্গমিটার এলাকায় তৈরি হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
শশী থারুর বলেন, পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন ‘হিন্দুত্ব’ বনাম জনপ্রিয় কল্যাণের মধ্যে বলে মনে হচ্ছে, যখন অর্থনৈতিক অগ্রগতি, প্রত্যাক বছর ২ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং প্রতিটি ভারতীয়ের পকেটে খরচ করার মতো আয় রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোতে বিতর্কের প্রয়োজন রয়েছে।
কংগ্রেস নেতা শশী থারুর আরও বলেন, বার্তা খুব স্পষ্ট। ২০০৯ সালে, মোদীকে ভারতীয় ভোটারদের কাছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূর্ত প্রতীক হিসেবে বিক্রি করা হয়েছিল, যিনি সমস্ত ভারতীয়দের জন্য উন্নয়ন নিয়ে আসবেন। কিন্তু এটি ২০১৯ সালে কাজ করেনি, কারণ বেদনাদায়ক নোটবাতিলকরণ এবং পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সাধারণ নির্বাচনকে জাতীয় নিরাপত্তা নির্বাচনে পরিণত করার সুযোগ দিয়েছিল। এখন আগামী ২০২৪ সালে, এটা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে, বিজেপি এখন তার আসল বার্তায় ফিরে আসবে এবং নরেন্দ্র মোদীকে ‘হিন্দু হৃদয় সম্রাট’ হিসেবে দেশে উপস্থাপন করবে।
শশী থারুর বলেন, এখন প্রশ্ন উঠছে, ‘আচ্ছে দিন’ (সুদিন) দিনের কী হলো? বছরে দুই কোটি চাকরির কী হলো? যে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে নিম্নবিত্তদের উপকার হওয়ার কথা ছিল তার কী হলো বলেও মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা শশী থারুর।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমএআর/২৯