২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা কর্মসূচি
বাড়িতে দীপাবলি পালন ও প্রদীপ জ্বালাতে বললেন মোদী
ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় আগামী ২২ জানুয়ারি বহুলালোচিত রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা কর্মসূচি পালিত হবে। ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনিই এর উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী ওইদিন বাড়িতে রামজ্যোতি জ্বালানো ও দীপাবলি (উৎসব)পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ (শনিবার) অযোধ্যা সফরে গিয়ে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন অযোধ্যায় তিনি রোড শো করেন। উদ্বোধন করেন নতুন মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এবং নতুনভাবে তৈরি অযোধ্যা ধাম রেলওয়ে স্টেশন। একই সঙ্গে এদিন অযোধ্যা ধাম জংশনে ৬ টি বন্দে ভারত ও দু’টি অমৃত ভারত ট্রেনের সূচনা করেন। এরপর অযোধ্যায় একটি জনসভা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।
জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২২ জানুয়ারি দিনটির জন্য গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করে আছে। এতদিন রামলালা তাঁবুতে থাকতেন। এখন তিনি পাকা বাড়ি পেলেন। শুধু তাই নয় রামলালার মতোই দেশের ৪ কোটি গরীব মানুষ পাকা বাড়ি পেয়েছেন।’
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর অযোধ্যা সফরকে কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বিজেপিকে টার্গেট করে একে মরণকালে হরির নাম বলে মন্তব্য করেছেন। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমরা সবাইকে নিয়ে চলায় বিশ্বাস করি। রামকৃষ্ণ দেবের কথায় ‘যত মত, তত পথ’। সবাই সেবার মধ্যদিয়ে একে অপরকে আরও কাছে টেনে নিই। এগুলো হচ্ছে মরণকালে হরি নাম।’
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘রামমন্দির নির্মাণ হয়ে গেলে প্রচুর মানুষ অযোধ্যায় আসবেন। সেই কথা মাথায় রেখেই অযোধ্যা স্টেশনকে নবরূপে সাজানো হয়েছে। বিমানবন্দর বানানো হয়েছে অযোধ্যায়।’ একই সঙ্গে তিনি দেশবাসীর কাছ অনুরোধ জানিয়েছেন আগামী ২২ জানুয়ারি সবাই যেন অযোধ্যায় না আসেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি ১৪০ কোটি দেশবাসীর কাছে আবেদন করছি যে ২২ জানুয়ারি যখন ভগবান শ্রী রাম অযোধ্যায় উপবিষ্ট হবেন তারা যেন তাদের বাড়িতে শ্রী রাম জ্যোতি প্রজ্জ্বলন করেন এবং দীপাবলি উদযাপন করেন। ২২ জানুয়ারির সন্ধ্যা সারা ভারত জুড়ে আলোকিত হওয়া উচিত’ বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ‘করসেবক’ নামধারী উগ্রহিন্দুত্ববাদী জনতা। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি- এটি হল তাদের ভগবান শ্রীরামের জন্মস্থান। ওই ইস্যুতে দীর্ঘকাল ধরে আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে আদালতের রায় নিয়ে সেখানে তৈরি হয়েছে বিশাল রাম মন্দির। এবার আগামী ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/জিএআর/৩০