গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড় বনধে বিক্ষিপ্ত সহিংসতা, সরকারি দফতর সচল
-
দার্জিলিংএ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ডাকে বন্ধ পালিত, প্রভাবে পড়েনি সরকারি অফিসে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ‘গোর্খা জনমুক্তির মোর্চা’র পক্ষ থেকে পাহাড় বনধকে কেন্দ্র করে আজ বিক্ষিপ্ত সহিংস ঘটনা ঘটেছে।
আজ (সোমবার) থেকে একনাগাড়ে পাহাড় বনধের নামে সরকারি দফতর বনধের ডাক দেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনিক তৎপরতায় সরকারি দফতর সচল থাকাসহ কর্মীদের উপস্থিতি ছিল বেশ উল্লেখযোগ্য।
‘গোর্খা জনমুক্তির মোর্চা’র বনধের ডাক উপেক্ষা করে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়ংসহ সর্বত্র সরকারি দফতরে বেশিরভাগ কর্মকতা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
দার্জিলিং জেলা কালেক্টরেট অফিসে আজ বেলা ১২ টা পর্যন্ত হাজিরা ছিল ৯২ শতাংশ।
আজ সকালে কিছু দুর্বৃত্ত বিজনবাড়ির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দফতর ও সিঙ্গিমারিতে পূর্ত দফতের অফিসে আগুন ধরিয়ে দিলে ওই দু’টি দফতর কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পূর্ত দফতরে বেশকিছু কম্পিউটার ও নথিপত্র পুড়ে গেছে।
মোর্চা সমর্থকেরা সুকনা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ করে দিলে পুলিশ গিয়ে তা খুলে দেয়। তারা সোনাদায় হাইড্রো প্রজেক্ট অফিসে ভাঙচুর করে।
আজ বনধ মোকাবিলা করতে সর্বত্র কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
‘গোর্খা জনমুক্তির মোর্চা’র প্রধান বিমল গুরুং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আন্দোলন আরও তীব্র হবে। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। গোর্খাল্যান্ডে গিয়েই শেষ হবে।’ গোর্খাল্যান্ডের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকেও চিঠি দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/জিএআর/১২