ঝাড়খণ্ডে কুরবানিকে কেন্দ্র করে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ: গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ
ভারতের বিজেপিশাসিত ঝাড়খণ্ডে গরু কুরবানিকে কেন্দ্র করে জনতা ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশসহ ২১ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কমপক্ষে সাত গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গতকাল (বুধবার) মহেশপুর থানা এলাকার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে গরু কুরবানি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি শুরু করলে জনতা মারমুখী হয়ে ওঠে। পুলিশ এসময় পাল্টা জবাবে মারমুখী জনতাকে মোকাবিলা করতে লাঠি চালানোর পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে। দিনভর উভয়পক্ষের মধ্যে দু’দফায় সংঘর্ষে পুলিশকর্মীসহ মোট ২১ জন আহত হন। আহত গ্রামবাসীদের মধ্যে কমপক্ষে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গোটা গ্রাম কার্যত পুলিশ ক্যাম্পে পরিণত হয়েছে। রাতে পুলিশের আইজি ও ডিআইজি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
ওইদিন বেলা এগারোটা নাগাদ পুলিশের কাছে খবর যায় ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে গরু কুরবানি দেয়া হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি চালায় এবং মানুষজনকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালায়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ কুরবানির পশু টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গ্রামবাসীরা পুলিশকে বাধা দেয় এবং লাঠি, ইট, পাথর নিয়ে পুলিশের উপরে আক্রমণ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় দুই কর্মকর্তাসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে পিছু হটে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনার খবর পেয়ে ডিসি দিলীপ কুমার ঝা, সিনিয়র পুলিশ সুপার শৈলেন্দ্র প্রসাদ বর্ণয়াল, মহেশপুরের মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা শশী প্রকাশ, মহকুমা প্রশাসক জিতেন্দ্র কুমার দেব বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বাসিন্দারা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ গ্রামটিতে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালায়।
বেলা চারটা নাগাদ গ্রামবাসীরা ফের জড়ো হয়ে ইট, পাথর নিয়ে পুলিশের উপরে হামলা চালালে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং গুলিবর্ষণ করে।
পুলিশের অভিযোগ, গ্রামবাসীদের একাংশ ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু মুসলিম জনতা মহেশপুর থানাতেও আক্রমণ চালিয়েছে। ওই ঘটনায় ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিজেপিশাসিত ঝাড়খণ্ডে ২০১৫ সাল থেকে গরু জবাই নিষিদ্ধ রয়েছে।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/২৩
খবরসহ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সব লেখা ফেসবুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন এবং নোটিফিকেশনের জন্য লাইক দিন