অসমে হাতি ও বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ, কমপক্ষে ২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
(last modified Tue, 09 Nov 2021 11:59:13 GMT )
নভেম্বর ০৯, ২০২১ ১৭:৫৯ Asia/Dhaka
  • অসমে হাতি ও বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ, কমপক্ষে ২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

ভারতের বিজেপিশাসিত অসমে হাতি ও বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে কমপক্ষে ২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল (সোমবার) রাজ্যের হোজাই জেলার লামডিং এলাকার চারটি গ্রামের প্রায় সাড়ে পাঁচশোর বেশি পরিবারের কমপক্ষে দু’হাজার মানুষকে উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন।

অসমে এরআগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর দরং জেলার গরুখুঁটিতে উচ্ছেদ অভিযান চলায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময়ে পুলিশের গুলিতে সাদ্দাম হুসেন ও শেখ ফরিদ নামে ২ জন নিহত হয়। বেশ কয়েকজন পুলিশও সে সময়ে আহত হন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল। কিন্তু সেই ঘটনার জের না মিটতেই প্রশাসন ফের হোজাই জেলার লামডিং বনাঞ্চল এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে।  

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ওই উচ্ছেদ অভিযানের মধ্য দিয়ে বেদখলকারীদের কবল থেকে ১ হাজার ৪১০ হেক্টর ভূমি উদ্ধার করা হবে। গণমাধ্যমে প্রকাশ, সোমবার লামডিং বনাঞ্চল এলাকার কোমরপানি, লংসিপাই, বেতনলা, পাগলাবস্তি এলাকায় উচ্ছেদ চালিয়েছে হোজাই জেলা প্রশাসন। লামডিংয়ে উচ্ছেদ অভিযানে বৈধতা দিতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন, এখানে নাকি কয়েকটি পরিবার জমি বেদখল করে আদা ও হলুদের চাষাবাদ করে বছরে পঁচিশ কোটি টাকা রোজগার করছে। তাই তাদেরকে উচ্ছেদ করছে তার সরকার।   

সোমবার সকাল ন’টা নাগাদ কমপক্ষে এক হাজার সশস্ত্র পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলো ঘিরে ফেলে। এরপরে হাতি ও বুলডোজার দিয়ে একের পর এক বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। গ্রামের মানুষরা বলেন, এই এলাকায় মূলত গারো ও চাকমা সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের বাস। কিছু মুসলিম পরিবারও রয়েছে। আদিবাসীরা পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে বাস করছেন। তারা পরম্পরাগত চাষাবাদও করে আসছেন।  

অন্যদিকে, হোজাইয়ের সাবেক বিধায়ক শিলাদিত্য দেব বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে আসার পর অসমিয়া ভাষা শিখে নেওয়া লোকরাই লামডিং বনাঞ্চল বেদখল করেছে। বনাঞ্চল বাঁচাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়, কিন্তু প্রশাসনের সামনে বাংলাদেশি মিয়াঁরা বনাঞ্চল ধ্বংস করছে বলে মন্তব্য করে বনাঞ্চল বেদখল মুক্ত করতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শিলাদিত্য দেব। বেদখলমুক্ত হওয়ার পরে ফের কেউ ঘর তৈরি করলে চোরা শিকারি বলে সরকার গুলি করে মারতে পারে বলে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন শিলাদিত্য দেব। ফের বেদখল হলে ১/২ জনকে গুলি করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।#            

পার্সটুডে/এমএএইচ/ বাবুল আখতার/০৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ