ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইরান বিরোধী নয়া নিষেধাজ্ঞা আমেরিকার লেজুড়বৃত্তি মাত্র
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i114646-ইউরোপীয়_ইউনিয়নের_ইরান_বিরোধী_নয়া_নিষেধাজ্ঞা_আমেরিকার_লেজুড়বৃত্তি_মাত্র
ইরানে সাম্প্রতিক নৈরাজ্যের প্রতি পশ্চিমাদের সমর্থনের ধারাবাহিকতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন সোমবার ইরানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রী, নৈতিক নিরাপত্তা পুলিশ, পুলিশ বাহিনী এবং আইআরজিসির সাইবার বিভাগ।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
অক্টোবর ১৮, ২০২২ ১৭:৪২ Asia/Dhaka

ইরানে সাম্প্রতিক নৈরাজ্যের প্রতি পশ্চিমাদের সমর্থনের ধারাবাহিকতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন সোমবার ইরানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রী, নৈতিক নিরাপত্তা পুলিশ, পুলিশ বাহিনী এবং আইআরজিসির সাইবার বিভাগ।

ইরানের গুরুত্বপূর্ণ চারটি বিভাগসহ আরও ১১ কর্মকর্তার ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ইরানি এইসব কর্মকর্তাকে ইইউ ভিসা দেবে না এবং তাঅোদের সম্পদ জব্দ করা হবে। ইইউ'র বিবৃতি অনুসারে ইরানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে। তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ৯৭ কর্মকর্তার নাম এবং ৪টি প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইরানে সাম্প্রতিক নৈরাজ্যের আগে এবং নৈরাজ্যের অজুহাতে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং কানাডাও ইরানি কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

আন্তর্জাতিক রীতিনীতি উপেক্ষা করে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ বন্ধের জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবশ্য সম্প্রতি ইরানের অভ্যন্তরিন পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি ওই প্রস্তাবকে মূল্যহীন বলে অভিহিত করে বলেন: ইরান পারস্পরিক স্বার্থ ও সম্মানের ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টিমূলক যে-কোনো প্রচেষ্টার যথোপযুক্ত জবাব দৃঢ়তার সঙ্গে দেওয়া হবে বলেও জনাব কানয়ানি মন্তব্য করেন।

ইরানের সাম্প্রতিক নৈরাজ্য মোকাবেলার অজুহাতে আরোপিত ইইউ'র নিষেধাজ্ঞা মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাদের সামষ্টিক প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করে ইরানি এই কূটনীতিক বলেন: তাদের এইসব পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো ইরানকে দুর্বল করা। ইইউ'র নিষেধাজ্ঞার কয়েকটি দিক রয়েছে। অ্যাক, ইরানি পুলিশ বাহিনীকে মোকাবেলা করা। দুই, আমেরিকার একতরফা নীতি অনুসরণ করা। যদিও ইরান ইউরোপের এইসব পদক্ষেপের কঠোর জবাব অতীতেও দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দিয়ে যাবে। ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি যেখানে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে সেখানে ইইউ'র এইসব নিষেধাজ্ঞা কতোটা কার্যকর হবে-সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞগণ সন্দেহ প্রকাশ করছেন।#

পার্সটুডে/এনএম/১৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।