ইরানের সেনাবাহিনী এখন আরও বেশি প্রস্তুত: সর্বোচ্চ নেতা
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i119412-ইরানের_সেনাবাহিনী_এখন_আরও_বেশি_প্রস্তুত_সর্বোচ্চ_নেতা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, শত্রুদের লক্ষ্য হলো ইসলামি বিপ্লব ও ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে নতজানু করা, কিন্তু মুখে এর উল্টোটা বলছে। ১০/১৫ বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আমাকে এক চিঠিতে লিখেছিলেন যে, তারা আমাদের সরকার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চান না। একই সময়ে, আমাদের কাছে এমন রিপোর্ট ছিল যে, তাদের বেসরকারি কেন্দ্রগুলোতে ইরানের বর্তমান সরকার ব্যবস্থাকে উৎখাত করার উপায় নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩ ১৬:১৬ Asia/Dhaka
  • ইরানের সেনাবাহিনী এখন আরও বেশি প্রস্তুত: সর্বোচ্চ নেতা

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, শত্রুদের লক্ষ্য হলো ইসলামি বিপ্লব ও ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে নতজানু করা, কিন্তু মুখে এর উল্টোটা বলছে। ১০/১৫ বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আমাকে এক চিঠিতে লিখেছিলেন যে, তারা আমাদের সরকার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চান না। একই সময়ে, আমাদের কাছে এমন রিপোর্ট ছিল যে, তাদের বেসরকারি কেন্দ্রগুলোতে ইরানের বর্তমান সরকার ব্যবস্থাকে উৎখাত করার উপায় নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে।

ইমাম খোমেইনী (রহ.)-এর প্রতি স্বৈরাচারী শাহের বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ঐতিহাসিক আনুগত্যের বার্ষিকীতে আজ ইসলামি ইরানের সেনাবহিনীর বিমান ইউনিটের এক দল কর্মকর্তা ও কর্মচারী সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে দেখা করতে গেলে  তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৭৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে শাহের বিমান বাহিনীর অফিসাররা ইমাম খোমেনী (রহ.)'র প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। এ কারণে ইরানে ফার্সি ১৯ বাহমান মোতাবেক ৮ ফেব্রুয়ারিকে বিমান বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

সর্বোচ্চ নেতা আজ আরও বলেছেন, ইরানের সেনাবাহিনী এখন বিপ্লবের প্রথম দিনগুলোর চেয়ে বেশি বিপ্লবী, বেশি ঈমানদার, বেশি প্রতিশ্রুতিশীল এবং বেশি প্রস্তুত। 

 

শত্রুরা কেন তারা ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায় এমন প্রশ্ন করে সর্বোচ্চ নেতা নিজেই এর উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাদের এই উদ্দেশ্যের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ, কৌশলগত, লাভজনক এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক সম্মদে ভরপুর এই অঞ্চলকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র তাদের কাছ থেকে মুক্ত করেছে। আরেকটি কারণ হলো, ইসলামি প্রজাতন্ত্র মুক্তি ও স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার পাশাপাশি গোটা বিশ্বে (আধিপত্যকামীদের) চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে শ্লোগান তুলেছে।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য শত্রুরা কি কৌশল অবলম্বন করছে? বিভেদ ও অবিশ্বাস সৃষ্টির কৌশল। জনগণের পরস্পরের মধ্যে অবিশ্বাস, সরকারের প্রতি জনগণের অবিশ্বাস এবং জনগণের প্রতি সরকারের অবিশ্বাস। অবিশ্বাস দেখা দিলে ভবিষ্যতের বিষয়ে আশা-প্রত্যাশা নষ্ট হয়ে যায়। ইনশাআল্লাহ চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি (২২ বাহমান) তারা স্পষ্টভাবে শত্রুদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেবে যে, জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করার প্রচেষ্টা একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা এবং তারা জনগণকে একে অপরের থেকে এবং সরকার থেকে আলাদা করতে পারবে না।#

পার্সটুডে/এসএ/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।