শ্রমিক সমাবেশে হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী:
শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন অধিক মুনাফার জন্য বিনিয়োগ: সর্বোচ্চ নেতা
শত্রুদের মোকাবেলায় শ্রমিক সমাজের আচরণকে 'মহান জেহাদের' সঙ্গে তুলনা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। গতকাল এক হাজারেরও বেশি শ্রমিক, শ্রমিক সংগঠনের সদস্য, সমবায় সমিতি, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দেওয়া এক সাক্ষাতে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ওই মন্তব্য করেন।
সর্বোচ্চ নেতা ইরানের অর্থনীতিতে শ্রমিকদের ভূমিকা এবং শ্রমিক সম্প্রদায়ের আচরণের প্রশংসা করেন। এই সাক্ষাত অনুষ্ঠানটি সর্বোচ্চ নেতার বার্ষিক কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। এটাই প্রমাণ করে শ্রমিক সম্প্রদায়ের মর্যাদা ও স্থান তাঁর কাছে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্বের প্রধান কারণ ইরানের অর্থনীতিতে বিশেষ করে উৎপাদন খাতে শ্রমিকদের ভূমিকা। সে কারণে তিনি শ্রমিক সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন। সেইসঙ্গে শ্রমিকদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও বলেন তিনি। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন: শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের মানে হলো কাজ ও উৎপাদনের মান বৃদ্ধি পাওয়া। কাজেই তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের চেষ্টা করার অর্থ হলো অধিকতর মুনাফার জন্য বিনিয়োগ করা।
শ্রমিক সম্প্রদায়ের সমাবেশে সর্বোচ্চ নেতার বক্তৃতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল শত্রুদের বিরুদ্ধে তাদের কর্মতৎপরতাকে 'মহান জিহাদ' বলে অভিহিত করা। তাঁর এই বক্তব্যের পক্ষে বেশ কিছু প্রামাণ্য কারণ পেশ করেছেন তিনি। প্রথমটি হলো ১৪ হাজার শ্রমিক শহীদ হয়েছিল। বিপ্লব ও সরকার ব্যবস্থার সুরক্ষায় তাদের এই ত্যাগকে অন্যতম দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন সর্বোচ্চ নেতা।
দ্বিতীয় কারণটি হলো বিপ্লবের সূচনায় মোনাফেকিন গোষ্ঠির মোকাবেলায় শ্রমিক সমাজের আচরণ ছিল আদর্শস্থানীয়। বিপ্লবের শত্রু মোনাফেকিন গোষ্ঠি শ্রমিকদেরকে জোরপূর্বক কল-কারখানা বন্ধ করার জন্য চাপ দিয়েছিল। কিন্তু শ্রমিক সমাজ 'বিচক্ষণ আচরণ' করে শত্রুদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।
তৃতীয় উদাহরণ হলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের সরকার ব্যবস্থার শত্রুদের সঙ্গে শ্রমিকদের সহযোগিতা না করা। আমেরিকাসহ ইরানের শত্রুরা সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে ইরানের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে সরকার ব্যবস্থা উৎখাতের ক্ষেত্র তৈরি করতে চেয়েছিল। শ্রমিকরা তা হতে দেয় নি। এটাকেই সর্বোচ্চ নেতা জেহাদের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন: আজ পর্যন্ত তারা পারে নি আল্লাহর রহমতে এর পরেও শ্রমিক সম্প্রদায়কে সরকার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে পারবে না।
শ্র্রমিক সম্প্রদায়ের জিহাদের চতুর্থ উদাহরণ হলো সরকার বিরোধী বিক্ষাভকে শত্রুরা কাজে লাগিয়ে সরকার উৎখাত করতে চেয়েছিল। কিন্তু শ্রমিক সমাজ তা হতে দেয় নি।#
পার্সটুডে/এনএম/৩০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।