পরমাণু অস্ত্র সম্পর্কে যা বললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
-
সর্বোচ্চ নেতা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, 'শত্রুরা জানে ইরান পরমাণু অস্ত্র বানাতে চায় না। কিন্তু তারপরও তারা ২০ বছর ধরে পরমাণু ইস্যুতে আমাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। কেন তারা এটা করছে? কারণ তারা চায় না ইরান পারমাণবিক শিল্পে সমৃদ্ধ হোক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের চাবিকাঠি হচ্ছে এই পারমাণবিক শিল্প। তারা পারমাণবিক শিল্পে ইরানের অগ্রগতি চায় না।'
তিনি আজ (রোববার) ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তার এক সমাবেশে এ কথা বলেন।
সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেছেন, 'আমরা বিশ্বাস করি পরমাণু অস্ত্র গণবিধ্বংসী। আমরা গণহারে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর বিরোধী। ইসলাম ধর্ম এটাকে সমর্থন করে না। গণহারে মানুষ হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র তা পারমাণবিক হোক, রাসায়নিক হোক কিংবা অন্য কোনো অস্ত্র হোক সেটাকে আমরা সমর্থন করি না।'
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, 'ইসলাম ধর্মের নির্দেশনার বিপরীতে যাব না আমরা, এ কারণে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করব না। কিন্তু আমরা যদি পরমাণু অস্ত্র বানাতে চাইতাম তাহলে কেউ আমাদেরকে ঠেকিয়ে রাখতে পারত না। যেমনিভাবে তারা পরমাণু ক্ষেত্রে আমাদের উন্নয়নকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না।'

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, পারমাণবিক শিল্প হচ্ছে শক্তি ও মর্যাদার একটি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শত্রুরা যেহেতু চায় না ইরান শক্তিশালী হোক, সে কারণেই তারা নিউক্লিয়ার এনার্জির ওপর ফোকাস করছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, 'ইরানের পারমাণবিক পণ্য ও সেবাকে বাণিজ্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। বিশ্বে এর বাজার ভালো। জাতীয় অর্থনীতি ও আয়-উপার্জন বাড়াতে এই ক্ষেত্রকে কাজে লাগানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে যেসব দেশ আমাদের সঙ্গে বিরোধিতায় নামেনি সেসব মিত্র দেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।'
সর্বোচ্চ নেতা আরো বলেন, 'বছরের পর বছর ধরে চেষ্টার মাধ্যমে পরমাণু শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। আপনারা হয়তো পরমাণু ইস্যুতে কোনো ক্ষেত্রে সমঝোতায় যেতে চান তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু দেশে যে পারমাণবিক অবকাঠামো গড়ে উঠেছে তার যেন কোনো ক্ষতি না হয় এবং এই কাঠামোগুলো যাতে নষ্ট না হয়।'

এর আগে আজ সকালে ইমাম খোমেনী (রহ.) হুসাইনিয়াতে পারমাণবিক শিল্পপণ্যের মেলা পরিদর্শন করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী । দেড় ঘণ্টা ধরে তিনি এই শিল্পের নানা সাফল্য ও অর্জন ঘুরে দেখেন।#
পার্সটুডে/এসএ/১১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।