ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসী নীতি মার্কিন সমাজে কী পরিণতি বয়ে আনতে পারে?
https://parstoday.ir/bn/news/world-i150902
পার্সটুডে- অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসী নীতি আমেরিকার জন্য উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ঝুঁকি তৈরি করছে।
(last modified 2025-08-03T14:00:09+00:00 )
আগস্ট ০৩, ২০২৫ ১৯:৫৬ Asia/Dhaka
  • ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসী নীতি মার্কিন সমাজে কী পরিণতি বয়ে আনতে পারে?
    ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসী নীতি মার্কিন সমাজে কী পরিণতি বয়ে আনতে পারে?

পার্সটুডে- অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসী নীতি আমেরিকার জন্য উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ঝুঁকি তৈরি করছে।

৭ আগস্ট থেকে, ট্রাম্প ৯২টি দেশ থেকে প্রায় সকল আমদানিকৃত পণ্যের পর নতুন শুল্ক আরোপ শুরু করবেন, যার হার ১৫ থেকে ৪০ শতাংশেরও বেশি হবে। এই শুল্কের আওতায় লাওস, মায়ানমার, সুইজারল্যান্ড এবং সিরিয়ার মতো দেশগুলোও রয়েছে। শুল্কের পরিমাণ এপ্রিলে তিনি যেরকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার চেয়ে কম হলেও বিশ্বব্যাপী অর্থ বাজারকে ওই শুল্কে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে। প্রথম প্রতিক্রিয়ায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডাও জোন্স এবং এস অ্যান্ড পি ৫০০ স্টক সূচকের পতন ঘটেছে। ইউরোপীয় স্টক বাজারকেও তা প্রভাবিত হয়েছে এবং এশিয়ান সূচকগুলোও ছিল লাল  রঙের। বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি অবশ্যই আমেরিকা ওপরও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পার্সটুডে আরও জানায়, 'ইটিভিভারত' ওয়েবসাইটের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য সমৃদ্ধি অর্জন না হলে ট্রাম্পের আগ্রাসী শুল্ক প্রয়োগ, নির্বাহী পদক্ষেপ, ব্যয় হ্রাস এবং কর কোড পরিবর্তনসহ উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।

প্রবন্ধটিতে জোর দেওয়া হয়েছে যে, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক "স্বর্ণযুগ"-এর সমস্ত প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, আমেরিকার কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে খারাপের দিকেই যাচ্ছে।

ওয়েবসাইটটি আরও জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার হ্রাস পাচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গত বছরের তুলনায় ধীরগতি হয়ে গেছে।

তিনি এমন একজন প্রেসিডেন্ট যার শুল্ক নীতি গত ছয় মাসে বহুবার পরিবর্তিত হয়েছে এবং যিনি "বিশ্বব্যাপী" শুল্ক সম্পর্কে  কোনো সতর্কবার্তায় কান দিচ্ছেন না।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় মেয়াদের ছয় মাসেরও বেশি সময় পর, ট্রাম্প শুল্ক আগ্রাসন চালিয়ে এবং একটি নতুন কর ও ব্যয় বিল বিবেচনা করে মার্কিন বাণিজ্য, উৎপাদন, জ্বালানিসহ কর ব্যবস্থাকেও তার পছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন করেছেন। তিনি প্রতিটি সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব নিতে চান এবং আর্থিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে অন্য কাউকে দোষারোপ করার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

বিশেষ করে তিনি প্রতিটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের জন্য সাবেক ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্যদের দোষারোপ করেন।

এ প্রসঙ্গে মার্কিন ম্যাগাজিন "ফরেন পলিসি" লিখেছে: ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুসারে, ১ আগস্ট থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর বকেয়া শুল্ক আরোপ করেছেন, যা কেবল বিশ্ব বাজারকেই অস্থিতিশীল করে তুলেছে না বরং আমেরিকার অর্থনীতিকেও নতুন করে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

ম্যাগাজিনটির আনুমানিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী নয়া শুল্ক আমেরিকার ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের ওপর বার্ষিক ৬০০ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত কর আরোপিত হতে পারে। এটা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং মুদ্রাস্ফীতির জন্য একটি গুরুতর হুমকি। তবু ট্রাম্প আমেরিকার অর্থনীতির গতিপথ পরিবর্তনের জন্য শুল্ককে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার ওপর জোর দিয়েই চলেছেন।#

পার্সটুডে/এনএম/৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।