আমেরিকার জীবনযাপন কঠিন হচ্ছে যা ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য হুমকি
-
• আমেরিকায় জীবনযাত্রায় তীব্র ব্যয় সংকট এবং বিনামূল্যে খাদ্য কেন্দ্র থেকে সাহায্য চাওয়া মানুষ
পার্সটুডে- রয়টার্স নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে লিখেছে: মিশিগান রাজ্যে ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি, উচ্চ খাদ্যের দাম এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা খোদ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকের জীবনকেও অতিষ্ট করে তুলেছে এবং এই পরিস্থিতি এই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনী সমীকরণ পরিবর্তন করতে পারে।
মিশিগান রাজ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু সমর্থকের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরীক্ষা করার সময়, রয়টার্স নিউজ এজেন্সি ওই নিবন্ধে আরো লিখেছে: মুদ্রাস্ফীতি, জীবনযাত্রার চাপ এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ট্রাম্পের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী তার নিজের ভোটারদের সমর্থন ধরে রাখা বিরাট পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার ভোটাররায যারা তার মূল ভিত্তি।
রয়টার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, যদি অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে ট্রাম্পের রাজনৈতিক পরিণতি একটি ছোট শহরের বাইরে গিয়ে রাজ্য এবং জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচনী ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে মিশিগানের গ্রামের মানুষের সমর্থন নিয়ে ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন এবং জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু এখন মুদ্রাস্ফীতির তার স্থায়ি ভোটারদের ধৈর্যের বাধ ভেঙে দিচ্ছে। এটি রিপাবলিকানদের জন্য একটি নির্বাচনী হুমকি এবং ডেমোক্র্যাটদের জন্য সম্ভাব্য সুযোগ।
রয়টার্সের মতে, ফল ও সবজির দাম ৯.৪ শতাংশ বেড়েছে। জাতীয়ভাবে, মাংস, কফি এবং কমলার রসের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে। ভারী প্রযুক্তি বিনিয়োগের চাপের ফলে বিদ্যুতের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
রয়টার্স, সেন্ট ক্লেয়ার কাউন্টিতে ১৯ জন ট্রাম্পের সমর্থক ভোটারের সাক্ষাৎকার নিয়েছে, যেখানে ট্রাম্প ৬৬.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাদের অর্ধেক বলেছেন যে তারা অবসরপ্রাপ্ত, একজন নৌবাহিনীর পেনশনভোগী প্রাক্তন সৈনিক এবং সম্পদশালী মানুষসহ মৌলিক জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে লড়াই করছেন। একজন অবসরপ্রাপ্ত অটো কর্মী বলেছেন যে তার পরিবার একটি খাদ্য ব্যাংক থেকে সাহায্য পায়।
অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে, ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্ক নীতি আমদানির খরচ বাড়িয়ে দেবে, যার ফলে ভোক্তাদের উপর বাড়তি খরচের বোঝা চাপবে। প্রতিবেদনে ডেমোক্র্যাটদের প্রচারণার পদ্ধতির দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে তারা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় মূল্যবৃদ্ধিকে একটি কেন্দ্রীয় বিষয় করার পরিকল্পনা করছেন।
রয়টার্স সাম্প্রতিক জরিপের ফলাফল উল্লেখ করে লিখেছেন: জীবনযাত্রার ব্যয়ের বিষয়ে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে এবং এখন মাত্র ২৭% ভোটার ব্যয় নিয়ন্ত্রণে তার কর্মক্ষমতাকে সমর্থন করেন।#
পার্সটুডে/এমআরএইচ/২২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন