তেহরানের ১০ কি.মি দীর্ঘ সড়কে চলছে আপ্যায়ন, উৎসব
(last modified Fri, 07 Jul 2023 15:16:07 GMT )
জুলাই ০৭, ২০২৩ ২১:১৬ Asia/Dhaka
  • উৎসবে অংশগ্রহণকারী একদল মানুষ
    উৎসবে অংশগ্রহণকারী একদল মানুষ

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে আজ পবিত্র ঈদে গাদির উদযাপিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে রাজধানী তেহরানে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ইমাম হোসেইন (আ.) স্কয়ার থেকে শুরু করে আজাদি স্কয়ার পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে নানা আয়োজন। ১০ কিলোমিটার সড়কজুড়েই চলছে আপ্যায়ন।

বিভিন্ন স্থানে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, শিল্পীরা সেখানে ইসলামি সঙ্গীত পরিবেশন করছেন। পাশেই চলছে খাদ্য বিতরণ। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নানা ধরণের সেবামূলক তৎপরতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই দরিদ্র শিশুদের জন্য খেলনা কিনে এনেছেন। এসব খেলনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিলে তারা প্রকৃত দরিদ্র শিশুদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন। এতিমদেরকে দান করার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আকাশে উড়ছে নানা রঙের বেলুন। 

বিদায় হজের পর রাসূল (সা.) মদিনায় ফেরার পথে গাদির-এ-খুম নামক স্থানে আল্লাহর নির্দেশে এক অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হজরত আলী (আ.)-কে মুমিনদের নেতা বা মাওলা হিসেবে মনোনীত করেন। ওই ঐতিহাসিক ঘটনার ৮০ কিংবা ৮৪ দিন পর আল্লাহর রাসূল (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান।

বিদায় হজ সমাপনের পর তিনি মদিনা অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন এহরাম পরা অবস্থায়। সঙ্গে ছিল সোয়া লাখ সাহাবি । তাদের সবার সামনে হজরত আলী (আ.)-কে নেতা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। এই ঘোষণার দিবসটিকেই ঈদে গাদির হিসেবে উদযাপন করা হয়।

গাদিরের ঘটনার গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন,  ইসলামি সমাজে শাসন, কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা সংক্রান্ত সূত্র গাদিরের মাধ্যমে নির্ধারিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গাদিরের গুরুত্ব এখানেই। এর ফলে স্পষ্ট হয়েছে যে, ইসলামি সমাজে রাজতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক ও জোর-জবরদস্তির শাসনের কোনো স্থান নেই। অভিজাতের শাসনের কোনো স্থান নেই, দম্ভের সঙ্গে যারা মানুষকে শাসন করে তাদের স্থান নেই। পক্ষপাত ও স্বার্থপরতার শাসনের কোনো স্থান নেই। কেবল নিজের জন্য সব কিছু জমানোর এবং বিলাসিতা ও লালসার শাসনের স্থান নেই। এর ফলে স্পষ্ট হয়েছে যে, ইসলাম হলো এ রকম। এই সূত্র গাদিরে নির্ধারিত হয়েছে। যখন এই বিধি নির্ধারিত হলো তখন বলা হলো ' যারা কুফরি করেছে, আজ তারা তোমাদের ধর্মের ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়েছে' (কুরআন ৫:৩)। বলা হচ্ছে শত্রুরা এই ধর্মের পথকে পরিবর্তন করার বিষয়ে হতাশ হয়ে পড়ে।'#

পার্সটুডে/এসএ/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।