সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৩ ১৮:৪৭ Asia/Dhaka

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা বিভাগ এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনী গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রতিরক্ষা শিল্পে মোসাদের ভয়াবহ নাশকতা নস্যাৎ করে দিয়েছে।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরক্ষা ও সহায়তা মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। বিগত মাসগুলোতে একটি সম্পূর্ণ পেশাদার ও অভিজ্ঞ নেটওয়ার্কের ষড়যন্ত্র তারা নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দা তৎপরতায় তাদের চিহ্ণিত করা সম্ভব হয় এবং তারা ধরা পড়ে। ওই অনুপ্রবেশকারীরা ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে প্রতিরক্ষা শিল্পকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। চক্রটি উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করার জন্য এমন সব যন্ত্রাংশ সরবরাহ করেছিল যেগুলো নির্দিষ্ট সময় পর বিস্ফোরণ ঘটাতো। নিরাপত্তা বাহিনীর সফল তৎপরতায় অভ্যন্তরীণ এজেন্টদের সাথে মোসাদের বিদেশি যে অংশটি যোগাযোগ রেখেছিল তাদের সকল সরবরাহ রুট এবং কার্যক্রম চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে ইরানের গোয়েন্দা বিভাগ।

মোসাদের ওপর নিরাপত্তা বিভাগের এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ইরানের চারটি প্রদেশেও ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের ওপর অনুরূপ হামলার ঘোষণা দিয়েছে। ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, এইসব অপারেশন চালিয়ে তারা সব ধরণের ঘরে তৈরি বোমার সরঞ্জাম এবং বোমা তৈরির বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান বাজেয়াপ্ত করেছে।

এটা স্পষ্ট যে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠি এবং তাদের মদদ দাতারা এর আগেও বিভিন্ন উপায়ে ইরানকে ত্রুটিপূর্ণ উপকরণ, পণ্য ও সরঞ্জাম সরবরাহ করার চেষ্টা করেছে। উদাহরণত মোসাদের এক সদস্যের কথাই উল্লেখ করা যেতে পারে। ১৯৯৮ সালে মোসাদ এবং মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ সিআইএ একটা পরিকল্পনা করেছিল। তারা চেয়েছিল দেখতে চমৎকার রাসায়নিক পদার্থ কালাবাজারের মাধ্যমে ইরানের কাছে বিক্রি করবে।

ইসরাইল হিওম পত্রিকার সামরিক বিশেষজ্ঞ ইয়োভ লিমুর স্বীকার করেছেন, মোসাদ ইরানের বিরুদ্ধে নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। আর এই নাশকতামূলক কার্যক্রম তারা মার্কিন সরকারের সহায়তায় পরিচালনা করে।

এসব কর্মকাণ্ড থেকে প্রমাণিত হয় যে ইহুদিবাদী ইসরাইল ইরানের সামরিক শিল্পের উন্নয়নে ভীষণ রকমের ভীত হয়ে উঠেছে। সে কারণে তারা উপায়ন্তর না দেখে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ভাঙচুর তীব্রতর করার দিকে ঝুঁকছে। অপরদিকে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠি মনে করছে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চল ও বিশ্বে ইরানের প্রভাব ও শক্তি হ্রাস করার উপায় হলো সামরিক শিল্প বা পারমাণবিক স্থাপনায় নাশকতা চালানো। কিন্তু তারা উপলব্ধি করতে ভুল করেছে যে সামরিক শিল্পে ইরানের অগ্রগতির মতো তাদের গোয়েন্দা বিভাগ এবং প্রতিরক্ষা শিল্পও যথারীতি অনেক উন্নত। এই উন্নয়নকে খর্ব করতে ইসরাইল যে মরিয়া হয়ে উঠবে-সে বিষয়টি ইরান অনেক আগেই ভেবে রেখেছে।#

পার্সটুডে/এনএম/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ