‘আজ গাজাকে রক্ষা না করলে কাল নিজের ঘর সামলাতে হবে’
যেকোনো মুহূর্তে আগাম হামলা চালাতে পারে প্রতিরোধ ফ্রন্ট: ইরান
ইরান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, গাজায় ইসরাইলি পাশবিকতা অব্যাহত থাকলে এবং কোনো রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব না হলে মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ ফ্রন্টের পক্ষ থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আগাম হামলা হতে পারে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ইরাক, লেবানন, সিরিয়া ও কাতার সফর শেষে তেহরানে ফিরে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আঞ্চলিক সফরে আমি এসব দেশের সরকার ও প্রতিরোধ ফ্রন্টগুলোর সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি, তারা রাজনৈতিক উপায়ে চলমান সংকটের সমাধান চান। কিন্তু তা যদি সম্ভব না হয় এবং গাজাবাসীর ওপর যদি ইসরাইলি পাশবিকতা অব্যাহত থাকে তাহলে যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো কিছু ঘটে যাওয়া সম্ভব।”
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “লেবাননের হিজবুল্লাহসহ সবগুলো প্রতিরোধ গ্রুপ তাদের সূক্ষ্ম বিবেচনায় সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিরোধ নেতারা ইহুদিবাদী ইসরাইলকে যা খুশি তাই করার অনুমতি দেবেন না। তারা যেকোনো সময় আগাম হামলা চালিয়ে বসতে পারেন।”
হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “আজ যদি আমরা গাজা উপত্যকাকে রক্ষা না করি তাহলে আমাদেরকে একদিন নিজেদের শহরগুলো রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ করতে হবে।” ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ তাকে বলেছেন, “আজ যদি হিজবুল্লাহ আগাম ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আগামীকাল তাকে বৈরুতে ইসরাইলি সেনাদের মোকাবিলা করতে হবে।”
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাপে একথা জানিয়েছেন যে, জাতিসংঘ যদি ইসরাইলের লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হয় তাহলে তেল আবিবের বিরুদ্ধে নতুন নতুন ফ্রন্ট খুলে যাওয়াটা অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, একটি বিস্তৃত যুদ্ধ জেরুজালেম দখলদার ইসরাইলের ভৌগলিক মানচিত্রকে বদলে দেবে।
সাক্ষাৎকারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও সতর্ক করে দেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমেরিকা নিজে যখন ইসরাইলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে তখন সে অন্য পক্ষগুলো সংযম প্রদর্শন করার আহ্বান জানাতে পারে না। তিন বলেন, “আমরা আমেরিকাকে আগেও বলেছি এবং এখন আবার সতর্ক করে দিচ্ছি, তারা ইসরাইলি অপরাধীদের পূর্ণ সমর্থন দেয়ার একই সময়ে বাকি পক্ষগুলোকে হাত গুটিয়ে বসে থাকার আহ্বান জানাতে পারে না। আমেরিকার পক্ষ থেকে এ ধরনের বার্তা পাঠানোর দিন শেষ হয়ে গেছে।” ওয়াশিংটনকে উদ্দেশ করে আমির-আব্দুলাহিয়া বলেন, “আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি এ ধরনের ভণ্ডামিপূর্ণ বার্তা পাঠানোর পরিবর্তে গাজার নারী ও শিশুদের রক্তপাত বন্ধ করার ব্যবস্থা নিন।”#
পার্সটুডে/এমএমআই/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।