ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দুটি সামরিক স্থাপনায় সন্ত্রাসী হামলার বিবরণ
সালাহউদ্দিন ফারুকী (আব্দুল-হামিদ মোল্লাজাদেহ) জইশ আল-আদল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা। ইরান তাকে আইএসআইএস বা দায়েশের নেতাদের মতোই মোসাদের সন্ত্রাসী নীতি বাস্তবায়নকারী নেতা বলে মনে করে। ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান ও বেলুচিস্তানের গভর্নরের উপ-নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সচিব আলিরেজা মারহামাতি বুধবার রাতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইশ আল-আদল ওই প্রদেশের "রাস্ক" এবং "চ'বাহার" শহরের দুটি সামরিক সদর দফতরে হামলার খবর পাওয়া দিয়েছেন। জইশ আল-আদল ইরানে জইশ আল-জুলম নামে পরিচিত।
জইশ আল-আদল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বুধবার রাতে রাস্ক এবং চবাহারে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কার্যালয় দখল করার চেষ্টা করে। কিন্তু নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাসী ওই গোষ্ঠিটির সকল পরেকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়।
ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী এখন পর্যন্ত ১৬ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর স্থল বিভাগের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুরের ঘোষণা অনুযায়ী সন্ত্রাসীদের হতাহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়াতে পারে। এই সন্ত্রাসী হামলায় ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর ১১ সদস্যও শহীদ হয়েছেন।
বর্তমানে চবাহার ও রাস্কের নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জাইশ আল-আদল তাকফিরি ও সালাফি চিন্তাধারার অনুসারী এবং সিরিয়ায় তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সমর্থক।
এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা নিরাপত্তা প্রতিবেদনে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। তারা এ পর্যন্ত জাহেদান সন্ত্রাসী হামলাসহ ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশে সংঘটিত বেশ কয়েকটি হত্যা, গুপ্তহত্যা এবং সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে।#
পার্সটুডে/এনএম/৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।