মুসলিম বিশ্বের মিডিয়াগুলোর ঐক্য শক্তিশালী করতে ইরান ও ইন্দোনেশিয়ার গুরুত্বারোপ
(last modified Sat, 04 May 2024 10:04:29 GMT )
মে ০৪, ২০২৪ ১৬:০৪ Asia/Dhaka
  • পশ্চিমা মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের মিডিয়ার ঐক্য শক্তিশালী করার ওপর ইরান ও ইন্দোনেশিয়ার গুরুত্বারোপ
    পশ্চিমা মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের মিডিয়ার ঐক্য শক্তিশালী করার ওপর ইরান ও ইন্দোনেশিয়ার গুরুত্বারোপ

পার্সটুডে-পশ্চিমা মিডিয়াগুলোয় সত্যের বিকৃতি ও নানা অপবাদ মোকাবেলায় মুসলিম বিশ্বের মিডিয়ার ঐক্য ও সহযোগিতা আজ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ইন্দোনেশিয়ায় ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের কালচারাল কাউন্সেলর মুহাম্মাদ রেজা ইব্রাহিমি ওই মন্তব্য করেন। ইন্দোনেশিয়ায় ইরানের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মাদ বোরোজের্দিসহ কালচারাল অ্যাটাশে ইন্দোনেশিয়ার সাইবার মিডিয়া ইউনিয়নের কর্মকর্তা ও সদস্যদের সাথে সাক্ষাতে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন।

গাজায় ইসরাইলি অপরাধের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বোরুজের্দি বলেন: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানই একমাত্র দেশ যারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং সেই দখলদার অবৈধ সরকারের ঔদ্ধত্যের কঠোর জবাব দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন: ইরান ইসরাইলকে কঠোর জবাব দিয়ে বিশ্বকে এই বার্তা দিয়েছে যে তারা যেকোনো আগ্রাসনের কঠোর জবাব দেবে। ওই বৈঠকে পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর বিকৃতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্যে ইসলামি ওয়ার্ল্ড মিডিয়া ইউনিয়নের সহযোগিতা বর্তমান মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা বলে উল্লেখ করা হয়।

ইন্দোনেশিয়ার সাইবার অ্যান্ড মিডিয়া ইউনিয়নের প্রধান ফেরদৌসও ওই বৈঠকে ইউনিয়নের কার্যক্রম ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন: ইন্দোনেশিয়ার সাইবার মিডিয়া ইউনিয়ন এমন একটি সংস্থা যা মিডিয়াগুলোর ওপর নজর রাখে। ইউনিয়নটি ৭ মার্চ, ২০১৭ তারিখে বান্টেনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ইন্দোনেশিয়ার সাইবার মিডিয়া ইউনিয়ন এই ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত যে, একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি গণতান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য সংবাদপত্র এবং মিডিয়ার স্বাধীনতা প্রয়োজন।

ইসরাইলের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলার ঘটনায় ইরানের প্রশংসা করে জনাব ফেরদৌস বলেন: ইরানই একমাত্র দেশ যে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। আমরা গর্বের সঙ্গে প্রিয় ইরানের ভূমিকাকে সমর্থন করছি।

ইন্দোনেশিয়ায় ইরানের কালচারাল কাউন্সেলর ইব্রাহিমিও ওই বৈঠকে জোর দিয়ে বলেন: ইরানের সংবাদ সংস্থা এবং ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কগুলো বিভিন্ন বিষয়বস্তু প্রকাশের মাধ্যমে অবাধে কাজ করে যাচ্ছে। মুসলিম বিশ্বের মিডিয়াগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন: পশ্চিমা মিডিয়ার বিকৃতি, অপবাদ ও মিথ্যাচারে মোহিত কিংবা প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়।

তিনি বলেন: গত কয়েকদিনে, মানবতা ও গাজার নিপীড়িত জনগণের সমর্থনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬শরও বেশি ছাত্র ও অধ্যাপককে গ্রেপ্তার এবং বহিষ্কার করা হয়েছে। অপরদিকে পশ্চিমারা বিশেষ করে আমেরিকা ইসরাইলকে সুরক্ষা দিতে হেন কোনো সাহায্য বাকি নেই যা তারা করে নি।

ইন্দোনেশিয়ান সাইবার মিডিয়া ইউনিয়ন কাউন্সিলের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের প্রধান মিসেস রেতনো ইন্টানিও বলেছেন: ইন্দোনেশিয়ান এবং ইরানি মিডিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে জ্ঞান-বিজ্ঞান, সংবাদ, প্রযুক্তি, ফিল্ম নির্মাণ ও ফিল্ম পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রতি তিনি ইঙ্গিত করেন। 

এটা খুব দুঃখজনক যে মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যম ও গণমাধ্যম পশ্চিমা তথ্য-সাম্রাজ্যবাদ, অপপ্রচার ও পশ্চিমা সংবাদ-সেন্সরশিপ এবং নিউজ ব্ল্যাক আউট বা সংবাদ বর্জনের প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। ফলে অনেক অসত্য সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে সত্য সংবাদ হিসেবে, সত্য সংবাদ চাপা পড়ে যাচ্ছে এবং সত্য ও মিথ্যার মিশ্রণের গোলক-ধাঁধা থেকে সত্যকে সহজেই জানতে পারছেন না সাধারণ জনগণ। বিশ্বের নানা অঞ্চলের বিশেষ করে বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতময় অঞ্চল হিসেবে পশ্চিম এশিয়ার ও ফিলিস্তিন বিষয়ক সত্য সংবাদ এবং ইরান বিষয়ক সত্য সংবাদ জনগণের কাছে তুলে ধরা খুব জরুরি। আর এক্ষেত্রে সামাজিক নেটওয়ার্ক ও গণমাধ্যমগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোর কল্যাণে বর্তমানে বিশ্বের অনেক মানুষ ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবৈষম্য, মুসলমানদের অধিকার লঙ্ঘন, ইসলাম-বিদ্বেষ ও ফিলিস্তিনে ইসরাইলের সীমাহীন অপরাধযজ্ঞ সম্পর্কে অনেক তথ্য পাচ্ছেন।  #

পার্সটুডে/এনএম/ এমএএইচ/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ