ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বললেন
'বর্ণবাদী ইসরাইল রাষ্ট্র সৃষ্টিতে ব্রিটিশদের ভূমিকা মানুষ ভুলে যাবে না'
ইহুদিবাদী ইসরাইলের শাসক গোষ্ঠীর প্রতি বৃটিশ সরকারের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেছেন, এই অঞ্চল ও বিশ্বের জাতিগুলো ভুলে যাবে না যে কীভাবে ব্রিটিশ রাষ্ট্রনায়করা মুসলিম বিশ্বের হৃদয়ে ইসরাইলের বর্ণবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল।
পার্সটুডে জানাচ্ছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি এক্স সোশ্যাল নেটওয়ার্কে দেয়া এক বার্তায় লিখেছেন, ঐতিহাসিক আধিপত্যবাদী আচরণ এবং তা অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা, ফিলিস্তিন ইস্যুসহ বিভিন্ন জাতির মধ্যে বিভাজন তৈরি করা এবং গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ইস্যুতে চ্যালেঞ্জ ও সংকটকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া পশ্চিম এশিয়ায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
কানয়ানি যোগ করেছেন, ব্রিটেন ইহুদিবাদী শাসনকে সমর্থন করে গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা, দুর্ভোগ এবং বাস্তুচ্যুতির সাথে জড়িত।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বীর শহীদ "রইস আলী দেলোয়ারী" এর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, ইরানের মহান ও ইতিহাস সৃষ্টিকারী জাতি উপনিবেশকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতাসহ আধিপত্যবাদীদের কাছ থেকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন ইরানি জাতির একটি সমৃদ্ধ ও গর্বিত ইতিহাস।
প্রতি বছর ফার্সি মাসের ১২ শাহরিবারে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের নায়ক শহীদ রইস আলী দেলোয়ারী'র স্মৃতি ও বিরত্ব স্মরণ করার বার্ষিকী পালন করা হয়। ওই দিনকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জাতীয় ক্যালেন্ডারে "ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের জাতীয় দিবস" বলা হয়েছে।
রইস আলী দেলোয়ারী (১৯১৫-১৮৮২ ছিলেন একজন স্বাধীনতাকামী ব্যক্তি এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের আগ্রাসী ও উপনিবেশকারীদের বিরুদ্ধে ইরানের দক্ষিণে তাঙ্গেস্তান ও বুশেহরে একজন বিদ্রোহী নেতা।#
পার্সটুডে/এমবিএ/০৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।