সম্পূর্ণ ইরানের তৈরি শহীদ সোলায়মানি যুদ্ধজাহাজ সম্পর্কে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
(last modified Wed, 29 Jan 2025 11:21:30 GMT )
জানুয়ারি ২৯, ২০২৫ ১৭:২১ Asia/Dhaka
  • শহীদ সোলায়মানি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার
    শহীদ সোলায়মানি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার

পার্সটুডে-শহীদ সোলায়মানি যুদ্ধজাহাজটি ইরানের নৌ-শক্তি ও সক্ষমতার ধারাবাহিক অগ্রগতির প্রকাশ।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী তাদের শক্তিমত্তার পূর্ণতার লক্ষ্যে নিজেরাই ওই নৌযানটি তৈরি করে। ক্যাটামারান (দুই-হাল) এবং ত্রিমারান (তিন-হাল) শ্রেণীর যুদ্ধজাহাজের বিশেষ বিবর্তনের মাধ্যমে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে এটি তৈরি করা হয়েছে। এর কৌশলগত ব্যবহার বিষয়ক ৫টি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করা যাক।

১- বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাথে সহযোগিতাকারী জ্ঞান-ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এই ইরানি যুদ্ধজাহাজকে সম্পূর্ণ স্থানীয়করণ করা হয়েছে। এর ফলে কার্যত আইআরজিসিকে প্রতি বছর একটি করে হালকা এবং সমুদ্রে টেকসই অ্যালুমিনিয়ামের নতুন যুদ্ধজাহাজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

২- শহীদ সোলেইমানি যুদ্ধজাহাজের অপারেশনাল রেঞ্জ ৭৫০ কিলোমিটারেরও বেশি বলে জানা গেছে। ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডাররা সম্মিলিত নৌচলাচলের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনার জন্য এর রেঞ্জ ৫ হাজার মাইলে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছেন। ইরানি নৌবাহিনী দূরবর্তী অভিযানে যে ধরণের সহায়ক জাহাজ ব্যবহার করে, সেরকম একটি নৌযান যদি এই যুদ্ধজাহাজের পাশে মোতায়েন করা হয়, তাহলে এর পরিসর কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং এই যুদ্ধজাহাজটি উপকূল থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করতে পারবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আইআরজিসি অবশ্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন সহায়ক জাহাজও তৈরি করেছে। উদাহরণস্বরূপ শহীদ রুদাকি সহায়ক জাহাজের কথা বলা যায়। শহীদ মাহদাভি জাহাজটির নির্মাণকাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

৩- দৈর্ঘ্যের দিক থেকে এই অ্যালুমিনিয়াম জাহাজের নির্মাতারা রেকর্ড-ব্রেকিং সাফল্য পেয়েছে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ৬০ মিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্য সম্পন্ন অ্যালুমিনিয়াম জাহাজ প্রস্তুতকারী ৩ টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনসহ অ্যালুমিনিয়াম জাহাজ তৈরিতে আইআরজিসির ভবিষ্যত সাফল্যের বিষয়টিও অনুমান করা যায়।

৪- শহীদ সোলায়মানি যুদ্ধজাহাজে স্থাপিত রাডারসহ অন্যান্য সনাক্তকরণ সিস্টেম ভূ-পৃষ্ঠ এবং আকাশের গতিবিধি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম। রাডার সনাক্তকরণ সিস্টেমের পাশাপাশি এই যুদ্ধজাহাজটি ১৫০ কিলোমিটারেরও বেশি পরিসীমা সম্পন্ন ভার্টিক্যাল ফ্লাইট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে সজ্জিত। অনেক বিশ্লেষক এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে 'সাইয়্যদ-৩' বলে অভিহিত করেছেন। এই দূরপাল্লার ব্যবস্থার পাশাপাশি ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য আকাশ পথের হামলার হুমকি মোকাবেলা করার জন্য স্বল্প-পাল্লার ব্যবস্থা দিয়েও সজ্জিত করা হয়েছে যুদ্ধজাহাজটিকে।

৫-প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা ছাড়াও শহীদ সোলায়মানি যুদ্ধজাহাজ আক্রমণের ক্ষেত্রেও দৃশ্যমান এবং লুকানো বিশেষ সরঞ্জামে সজ্জিত। শহীদ সোলায়মানি যুদ্ধজাহাজের ছবিতে এর কমান্ড ব্রিজ সংলগ্ন ডেকের দুই পাশে ৬টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।#

পার্সটুডে/এনএম/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।