ইরানের প্রতিরক্ষা সাফল্যের উন্মোচন: ইহুদিবাদী মিডিয়া কীভাবে কভার করেছে?
-
ইহুদিবাদী গণমাধ্যমে ইরানের প্রতিরক্ষা সাফল্যের উন্মোচনের প্রতিফলন
পার্সটুডে-আলোকোজ্জ্বল দশ প্রভাত উপলক্ষে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্পের ক্ষেত্রে অর্জিত কিছু সাফল্য উন্মোচন করা হয়েছে। ইসরাইলে ওই সাফল্য উন্মোচনের ঘটনা ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এবং ইহুদিবাদীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে।
ইসরাইলি দৈনিক হিয়োম এক প্রতিবেদনে ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, ড্রোন উৎপাদন, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের কথা স্বীকার করেছে। একইসঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের উপস্থিতিতে 'এতেমাদ' ক্ষেপণাস্ত্রের উন্মোচনের কথাও উল্লেখ করেছে পত্রিকাটি। বার্তা সংস্থা ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, ইসরাইলি দৈনিক হিয়োম লিখেছে: এতেমাদ ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ পাল্লা ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার। তার মানে ইসরাইল এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালের মধ্যে রয়েছে।
ইসরাইলি দৈনিক হিয়োম অপর এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ইরান পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম ৩ হাজার কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। পরক্ষণেই পত্রিকাটি স্বীকার করেছে যে এইসব সরঞ্জামের ব্যবহার ছিল উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য।
ইসরাইলি দৈনিক মা'আরিভও ইরানের ১৭০০ কিলোমিটার পাল্লার নয়া ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন সম্পর্কে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। তবে ওই নিবন্ধে প্রমাণ হিসেবে বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নতুন ক্ষেপণাস্ত্র শহর উন্মোচনকে তুলে ধরা হয়েছে। ইরানের এতেমাদ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৭০০ কিলোমিটার। এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে বলেও আলোচনা করা হয়েছে।
একই প্রসঙ্গে ইহুদিবাদী দৈনিক ইয়েদিওত অহরোনোথ পত্রিকাও ইরানভীতি উস্কে দেওয়ার লক্ষ্যে শিরোনাম করেছে। শিরোনামটি ছিল: ইরানের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ইউরোপে পৌঁছেছে। ওই প্রতিবেদনে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে ইরানের সাফল্য নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সম্পর্কে মহাকাশ সংস্থার প্রধান হাসান সালারিয়েহের বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, যদিও ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো ইরানের প্রতিরক্ষা কর্মসূচি সম্পর্কে জনসাধারণের দৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে, তবু তারা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ন এবং বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল হোসেইন সালামির বিবৃতি প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে। যদিও প্রতিরক্ষা সাফল্য উন্মোচন করার লক্ষ্য ছিল শত্রুদেরকে ইরানের শক্তি ও সামর্থ সম্পর্কে বার্তা দেওয়া।#
পার্সটুডে/এনএম/৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।