ইরানের পরমাণু ইস্যু নিয়ে তেহরান, মস্কো এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i153760-ইরানের_পরমাণু_ইস্যু_নিয়ে_তেহরান_মস্কো_এবং_বেইজিংয়ের_মধ্যে_ত্রিপক্ষীয়_পরামর্শ
ইরানের পরমাণু ইস্যু নিয়ে তেহরান, মস্কো এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
নভেম্বর ০৬, ২০২৫ ১৯:২৭ Asia/Dhaka
  • ইরানের পরমাণু ইস্যু নিয়ে তেহরান, মস্কো এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ
    ইরানের পরমাণু ইস্যু নিয়ে তেহরান, মস্কো এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ

ইরানের পরমাণু ইস্যু নিয়ে তেহরান, মস্কো এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ

পার্সটুডে-ইরান, চীন এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতরা বুধবার ভিয়েনায় মিলিত হন। আইএইএ'র নির্বাহী পরিষদের বৈঠকের প্রাক্কালে, বৈঠকের আসন্ন বিষয়গুলোতে তিন দেশের অবস্থান সমন্বয়ের বিষয়ে তারা আলোচনা করেন।

ইরনা'র উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিতে রাশিয়ার প্রতিনিধি মিখাইল উলিয়ানভ বুধবার রাতেইনজের টেলিগ্রাম নেটওয়ার্কে লিখেছেন: আজ ইরান, চীন এবং রাশিয়া ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পরমাণু ইস্যু নিয়ে আরেক দফা ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ করেছে।

উলিয়ানভ আরও বলেন: আইএইএ'র নির্বাহী পরিষদের পরবর্তী বৈঠকের আগে প্রস্তুত থাকার জন্য ইরান, চীন এবং রাশিয়া তাদের অবস্থান সমন্বয় করেছে।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে, নির্বাহী পরিষদের আসন্ন বৈঠক ১৯ থেকে ২১ নভেম্বর ভিয়েনা  আন্তর্জাতিক কেন্দ্র ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। এবার, অতীতের বিপরীতে, ইরানের বিষয়টি কেবলমাত্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর রেজোলিউশনের অধীনে ব্যাপক সুরক্ষা চুক্তির কাঠামোর মধ্যেই পরীক্ষা করা হবে।

ইরান জোর দিয়ে বলেছে যে সংস্থার সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তি হল সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত আইন।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি এর আগে এ বিষয়ে বলেছিলেন: “আমরা পরমাণু বিস্তার রোধ চুক্তির সদস্য এবং সুরক্ষা চুক্তির প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেইসাথে এই সুরক্ষামূলক চুক্তির অঙ্গিকারগুলো বাস্তবায়ন এবং সংসদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নিয়ে-যা সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে এই ইস্যুর রক্ষক হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়-আমরা সংস্থার সাথে পারস্পরিক সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছি।”

এটি এমন সময় বলা হলো যখন ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি সর্বদাই পশ্চিমাদের রাজনৈতিক চাপ এবং ভিত্তিহীন অভিযোগের মধ্যে ছিল এবং আছে।

পরমাণু সমঝেঝাতা বা জেসিপিওএ'র আগে, পশ্চিমা দেশগুলো এ বিষয়টিকে সুরক্ষিত করে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং সামরিক হুমকি ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ২০১৫ সালে "সম্ভাব্য সামরিক মাত্রা" (পিএমডি) ফাইল বন্ধ করে দেওয়ার ফলে এই অজুহাতটি দূর হয়ে যায়।

পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরের পর, ইরান তার সমস্ত প্রতিশ্রুতি মেনে চলে, কিন্তু ২০১৮ সালে আমেরিকা একতরফাভাবে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় এবং ইউরোপ তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়। কাজেই ইরান তার পরমাণু সমঝোতার অধিকারের কাঠামোর মধ্যে তার প্রতিশ্রুতি হ্রাস করার পদক্ষেপ নেয় এবং পশ্চিমাদের দীর্ঘসূত্রিতা ও অতিরিক্ত দাবির কারণে পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করার আলোচনাও ব্যর্থ হয়।

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান গত সাত বছর ধরে সৎ বিশ্বাসে সমস্ত কূটনৈতিক পন্থায় চেষ্টা চালিয়ে আসছে, কিন্তু ইউরোপ ও আমেরিকার অন্তহীন এবং অযৌক্তিক দাবি এই প্রচেষ্টাগুলোকে স্থবির করে দিয়েছে।

ইরান বারবার জোর দিয়ে বলেছে যে, তারা একটি টেকসই এবং নির্ভরযোগ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রস্তুত যা নিশ্চিতভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে এবং ভবিষ্যতে অপব্যবহার রোধ করবে।#

পার্সটুডে/এনএম/৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।