ম্যাক্রোঁর বেইজিং সফর নিষ্ফল মানেই ফরাসি কূটনীতির পতন
-
• চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডানে) - ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ (বামে)
পার্সটুডে- ফরাসি প্রেসিডেন্টের চীন সফর, যা বৈশ্বিক সমীকরণে দেশটির ভূমিকা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করা হয়েছিল, তা প্যারিসের জন্য কিছুই অর্জন করতে তো পারেনি ফরাসি কূটনীতির ক্রমবর্ধমান দুর্বলতাও প্রকাশ করেছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শুক্রবার চীনে তার চতুর্থ সরকারি সফর শেষ করেছেন। এই সফরটি এমন এক সময়ে হল যখন ফরাসি সরকার অভ্যন্তরীণ সংকট এবং ক্রমহ্রাসমান জনপ্রিয়তার সম্মুখীন এবং প্রেসিডেন্ট বিদেশী উদ্যোগের মাধ্যমে তার অবস্থান মেরামত করার চেষ্টা করছেন। তবে, চীনের শীতল অভ্যর্থনা এবং ফরাসি দাবির প্রতি মনোযোগের অভাব থেকে বোঝা যায় এই সফরটি সুযোগের পরিবর্তে প্যারিসের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব হ্রাসের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
পার্সটুডে জানিয়েছে, চীনের শীতল অভ্যর্থনা, বিমানবন্দরে কেবল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতি এবং আনুষ্ঠানিক স্বাগত অনুষ্ঠানে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে চীনের পররাষ্ট্র নীতিতে ফ্রান্স আর অগ্রাধিকার পাচ্ছে না। এই আচরণ ছিল ক্ষমতার ভারসাম্যের পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক সমীকরণে ফ্রান্সের ভূমিকা হ্রাসের প্রমাণ।
ম্যাক্রোঁ দুটি নির্দিষ্ট দাবি নিয়ে চীনে গিয়েছিলেন: বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে বেইজিংকে সক্রিয় ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করা। তবে, রাশিয়ার সাথে তার কৌশলগত সম্পর্ককে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে চীন, বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি বা ইউক্রেন ইস্যুতে সহযোগিতা করতেও রাজি ছিল না। কারণ বেইজিং ম্যাক্রোঁর অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা এবং ফ্রান্সের উপর চাপ প্রয়োগের জন্য কোনও কার্যকরী পদক্ষেপের অভাব সম্পর্কে ভালভাবে অবগত, যে কারণে এই সফরটি বাস্তব ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়।
এখন, ভাবমূর্তী ফিরিয়ে আনার জন্য, প্যারিসকে তার কূটনৈতিক কৌশল পর্যালোচনা করতে হবে এবং আরও বাস্তববাদী হয়ে, চীন ও রাশিয়ার মতো শক্তির বিরুদ্ধে কার্যকর দর কষাকষির ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে; অন্যথায়, ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক ভূমিকার পতন অব্যাহত থাকবে।#
পার্সটুডে/এমআরএইচ
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।