একতরফা নীতি পরিহারের মাধ্যমেই কেবল সত্যিকারের শান্তি অর্জন সম্ভব: ইরানের প্রেসিডেন্ট
-
পেজেশকিয়ান
পার্সটুডে- ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সত্যিকারের শান্তি প্রতিষ্ঠাকে একতরফা নীতির বর্জনের ওপর নির্ভরশীল বলে উল্লেখ করেছেন। তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদে আন্তর্জাতিক "শান্তি ও আস্থা" সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনটি ইরানের প্রেসিডেন্টসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান শুক্রবার আশখাবাদে শান্তি ও আস্থা সম্মেলনে বলেন- শান্তির জন্য প্রচেষ্টাকে অবশ্যই প্রশংসা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজের একজন দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান বিশ্বাস করে শান্তি ও উন্নয়ন কেবল পারস্পরিক সম্মান-মর্যাদার ভিত্তিতে সংলাপ, সমষ্টিগত সহযোগিতা, আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের প্রতি সম্মান এবং একতরফা নীতি পরিহারের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।
পেজেশকিয়ান বলেন, আজকের পৃথিবীতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শান্তির ধারণাকে পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন অনুভব করছি। তিনি আরও বলেন- শান্তি কখনোই সামরিক বাজেট বৃদ্ধি, শক্তিশালী সামরিক জোট গঠন ও লোকদেখানো কূটনীতির মাধ্যমে আসবে না; বরং প্রকৃত অস্থিতিশীলতার মূল কারণ দূর করার মাধ্যমেই তা অর্জিত হতে পারে। প্রকৃত অস্থিতিশীলতার কারণ হচ্ছে অসাম্য, একাধিপত্য ও বৈষম্য।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন- বিদ্যমান বৈষম্য ও অসমতার প্রেক্ষাপটে পশ্চিম এশিয়ায় বড় শক্তিগুলোর নীতি এখন পর্যন্ত বাস্তবে ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে এক ধরনের বিশেষ সুবিধা প্রদান করেছে। আর এটাই এই অঞ্চলে বহু যুদ্ধ ও অবিচারের মূল উৎস। এই বিশেষ সুবিধা এসেছে জটিল ভূরাজনৈতিক হিসাব, ঐতিহাসিক জোট, পশ্চিমাদের নিরাপত্তাগত স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার সম্মিলিত প্রভাব থেকে।
তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে ইহুদিবাদী ইসরায়েল গাজায় বারবার গণহত্যা, পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি নির্মাণ সম্প্রসারণ, সিরিয়া ও লেবাননে ধারাবাহিক হামলা এমনকি ইরান ও কাতারের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর মতো আগ্রাসী নীতি অনুসরণ করতে সক্ষম হচ্ছে।#
পার্সটুডে/এসএ/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।