ইরানকে টার্গেট করে দায়েশ (আইএস) সৃষ্টি করা হয়েছে: কমান্ডার
ইরানকে দুর্বল করে ফেলার লক্ষ্যে উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র একজন সিনিয়র কমান্ডার।
এ বাহিনীর কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানি বলেছেন, “দায়েশ’সহ অন্যান্য তাকফিরি গোষ্ঠীগুলোকে সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সৃষ্টি করা হয়নি; বরং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে টার্গেট করে তাদেরকে প্রস্তুত করা হয়েছিল।”
সিরিয়ায় সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ইরানের একজন সিনিয়র সেনা কমান্ডারের প্রথম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার তেহরানে এক শোকানুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। আইআরজিসি’র অপর সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেইন হামেদানি গত বছর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো শহরের কাছে এক উপদেষ্টা মিশনে ব্যস্ত থাকার সময় দায়েশের হামলায় শহীদ হন।
জেনারেল সোলায়মানি বলেন, সিরিয়ায় মোতায়েন ইরানের উপদেষ্টা বাহিনী শুধু এই আরব দেশটিকে রক্ষা করছে না, সেইসঙ্গে ইরানসহ গোটা মুসলিম বিশ্বকে তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হাত থেকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। তিনি বলেন, ইরানের সহযোগিতায় সিরিয়ার সরকার গত পাঁচ বছর ধরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সব ধরনের চাপ ও অবরোধ প্রতিরোধ করে এসেছে। কাজেই আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত এখন এই গোষ্ঠীগুলোকে সন্ত্রাসী হিসেবে মেনে নেয়া।
জেনারেল সোলায়মানি বলেন, ইরানের সহযোগিতা এবং সিরিয়ার সেনাবাহিনীর প্রতিরোধ করার দৃঢ় মানসিকতা না থাকলে তাকফিরি জঙ্গিরা এতদিন গোটা মধ্যপ্রাচ্য দখল করে ফেলত।
আইআরজিসি’র এ কমান্ডার বলেন, “আজ তাকফিরি গোষ্ঠীগুলো সবগুলো ফ্রন্টে পরাজিত হয়েছে। সিরিয়ার জনগণ যদি তাদের সরকারের পাশে থাকে তাহলে তারা বিজয়ী হবেই।” ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার জন্য চড়া মূল্য দিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।#
পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/৬