"বায়তুল মোকাদ্দাসকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রতি সমর্থন দিন"
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i58720-বায়তুল_মোকাদ্দাসকে_রাজধানী_করে_স্বাধীন_ফিলিস্তিন_রাষ্ট্র_গঠনের_প্রতি_সমর্থন_দিন
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের স্থায়ী প্রতিনিধি রিয়াজ মানসুর বায়তুল মোকাদ্দাসকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থেনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই আহ্বান জানান।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুন ১০, ২০১৮ ১৮:০৮ Asia/Dhaka

জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের স্থায়ী প্রতিনিধি রিয়াজ মানসুর বায়তুল মোকাদ্দাসকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থেনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই আহ্বান জানান।

বায়তুল মোকাদ্দাসকে রাজধানী করে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন ফিলিস্তিনি জনগণের বহু পুরানো ও প্রধান দাবি। ফিলিস্তিনিরা যুদ্ধের ময়দানে এবং কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের এ দাবির স্বপক্ষে জোরালো ভূমিকা রেখে চলেছে। ফিলিস্তিনিদের এ দাবির প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজের সমর্থন দিন দিন বাড়তে থাকায় ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার আত্মবিশ্বাসও বহুগুণে বেড়েছে। বিশেষ করে এবারের বিশ্ব কুদস দিবসের মিছিলে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজের সমর্থনের বিষয়টি ফুটে উঠেছে।

ইসলামি ইরানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইমাম খোমেনি(র.) ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন জোরদারের জন্য প্রতি রমজানের শেষ শুক্রবার বিশ্ব কুদস পালনের ডাক দেন। ফিলিস্তিনিদের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন বেড়ে চলায় এটাকে বিরাট সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে বায়তুল মোকাদ্দাস ফিলিস্তিনিদের কেন্দ্রভূমি এবং শুধু ফিলিস্তিন নয় বরং গোটা মুসলিম উম্মাহর তৃতীয় পবিত্র স্থান। এই পবিত্র স্থানের হাতছাড়া হয়ে গেলে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের আরো বহু জায়গা গ্রাস করবে। এ কারণে বায়তুল মোকাদ্দাসকে উদ্ধার করা ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের প্রধান কর্তব্য এবং বায়তুল মোকাদ্দাসকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন সব মুসলমানের দাবি। বিশ্ব কুদস দিবস মুসলমানদের সে সুযোগ এনে দিয়েছে এবং দখলদার ইসরাইল সারা বিশ্বের মানুষের কাছ থেকে ফিলিস্তিন ইস্যুটি ভুলিয়ে রাখার যে চেষ্টা করেছিল তা ব্যর্থ করে দিয়েছে।

 পাঁচটি মহাদেশে বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে বিশ্ব কুদস দিবসের প্রতি সমর্থন থেকে বোঝা যায়, ইসরাইল ও তার সমর্থকদের প্রতি আন্তর্জাতিক ক্ষোভ ও ঘৃণা বেড়েই চলেছে। বিষয়টি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাকেও নাড়া দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি সমর্থন জোরালো হয়েছে। সম্প্রতি অনেক দেরিতে হলেও জাতিসংঘ মহাসচিব ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন দেয়ার পাশাপাশি তাদের দুরবস্থার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যদিও তিনি ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন তারপরও সাবেক মহাসচিবদের তুলনায় তার অবস্থান কিছুটা ভিন্ন।

বিশ্ব কুদস দিবসের প্রভাব এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তারাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ফিলিস্তিনের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের সাবেক প্রতিবেদক রিচার্ড ফল্ক বিশ্ব কুদস দিবসকে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি দিবস হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভ এবং তাদের বিজয়ের ক্ষেত্রে বিশ্ব কুদস দিবস একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়া।

জাতিসংঘে গৃহীত একাধিক প্রস্তাবেও ফিলিস্তিনি জনগণের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। #     

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১০