ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর শত্রুদের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রভাব নেই
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেন সালামি বলেছেন: আইআরজিসির স্থল বাহিনীর সকল সামরিক ব্যবস্থা স্বাধীন এবং স্বনির্ভর পর্যায়ে পৌঁছেছে।
অস্ত্র খাতে ইরান স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। আইআরজিসির স্থল বাহিনীর স্বনির্ভরতা গবেষণা সংস্থার নয়া উদ্ভাবনী মেলা পরিদর্শনের অবকাশে গতকাল তিনি ওই মন্তব্য করেন।
মেলায় আইআরজিসি'র ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধ, যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে নতুন নতুন আবিষ্কারসহ তাদের তৈরি ড্রোন এবং সাঁজোয়াযানসহ আরও বহু উদ্ভাবনী প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। চলতি বছরের ১৮ অক্টোবরে ইরানের ওপর থেকে নিরাপত্তা পরিষদের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার দিন ঘনিয়ে আসায় আমেরিকা ওই সংস্থায় ইরানের বিরুদ্ধে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। ওই প্রস্তাব গৃহীত হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়ন হবে।
প্রস্তাবটি পাস করতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ৯ সদস্যের রায় লাগবে। সেইসঙ্গে স্থায়ী সদস্যদের কেউ ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করলে হবে না। প্রস্তাব উত্থাপনকারী আমেরিকা ছাড়া বাকি চার স্থায়ী সদস্যের মধ্যে রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স এরইমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান ঘোষণা করেছে।
ওয়াশিংটনের যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড্রিল ক্যাম্পবেল গতকাল ইরনার সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন: নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে ওই প্রস্তাব পাস হবার সম্ভাবনা খুবই কম।
যাই হোক, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর গর্ব যে তারা এখন সকল প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ইরানের ভেতরেই তৈরি করছে। অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে বাইরের কোনো দেশের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্কই নেই। ইরানের সামরিক খাতে উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অস্ত্র তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির উন্নয়ন। এইসব অর্জন শত্রুদেরকে ইরানের ওপর হামলার হুমকি থেকে সুরক্ষিত রেখেছে। তারা তাদের উদ্ভাবিত নতুন তিনটি যুদ্ধ বিমানও ইরানের বিমান বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে। এইসব বিস্ময়কর উদ্ভাবনীর ফলে ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী অন্তত আধুনিক সমরাস্ত্রের অভাব বোধ করবে না।#
পার্সটুডে/এনএম/২৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।