মার্কিন মোড়লিপনার কাছে এখন আর কেউ মাথা নত করবে না: মুসাভি
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i81819-মার্কিন_মোড়লিপনার_কাছে_এখন_আর_কেউ_মাথা_নত_করবে_না_মুসাভি
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সমাজ এখন আর আমেরিকার মোড়লিপনা ও অন্যায় আবদারের কাছে মাথা নত করবে না। তারপরও ওয়াশিংটন অনর্থক কাজ কারবার থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়নের জন্য অন্য দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সৃষ্টির ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে মুসাভি এ কথা বলেছেন।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
জুলাই ২৮, ২০২০ ১৬:৪৮ Asia/Dhaka

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সমাজ এখন আর আমেরিকার মোড়লিপনা ও অন্যায় আবদারের কাছে মাথা নত করবে না। তারপরও ওয়াশিংটন অনর্থক কাজ কারবার থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়নের জন্য অন্য দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সৃষ্টির ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে মুসাভি এ কথা বলেছেন।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী চলতি বছর ১৮ অক্টোবর ইরানের ওপর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এর  আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের ৮মে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দুই দফায় ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এমনকি অন্য কোনো দেশ যাতে ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করতে না পারে সেজন্য তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেয় ওয়াশিংটন। বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন পরমাণু সমঝোতার ওপর সর্বশেষ আঘাত হানার চেষ্টা করছেন। এর মাধ্যমে তিনি একদিকে এ চুক্তিকে অন্য দেশের কাছে অকার্যকর প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন অন্যদিকে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনমতকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন।

তবে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা তাদের এ লক্ষ্যে পৌঁছার ক্ষেত্রে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। এ কারণে মিথ্যা কথা ও ছলচাতুরির মাধ্যমে তারা ইরান বিরোধী অস্ত্র  নিষেধাজ্ঞা নবায়নে অন্য দেশকেও রাজি করানের চেষ্টা করছেন। কেউ রাজি না হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ারও হুমকি দিচ্ছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইরান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ব্রায়ান হুক চীন ও রাশিয়াকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদে ইরান বিরোধী অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ নবায়নে তারা যদি বাধা দেয় তাহলে মস্কো ও বেইজিংকে কোণঠাসা করার ব্যবস্থা করা হবে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আমেরিকার স্বেচ্ছাচারী মনোভাব থেকে তিনটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিসহ প্রতিরক্ষা শক্তিকে দুর্বল করে দেয়ার চেষ্টা করছে। দ্বিতীয়ত, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সহযোগিতামূলক পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং তৃতীয়ত, নিরাপত্তা পরিষদে এটা প্রমাণ করা যে আমেরিকার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, অন্য দেশের মতো ইরানেরও প্রতিরক্ষা শক্তি জোরদার করার অধিকার রয়েছে। এ কারণে ইরান নিজস্ব উপায়ে ইলেক্ট্রনিক্সসহ প্রতিরক্ষা খাতের সব অঙ্গনে শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তুলেছ। গতকাল ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমির হাতামি প্রদর্শনীর আয়োজন করে প্রতিরক্ষা শিল্পে সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরেন।

যাইহোক, ইরান কয়েক দিনে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে আমেরিকার অন্ধ অনুসারী দেশগুলোকে বার বার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কেউ ইরানের অধিকার পদদলিত করার চেষ্টা করলে ইরানও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২৮