ঐক্য ও প্রতিরোধের মাধ্যমে আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করব: শামখানি
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i82159-ঐক্য_ও_প্রতিরোধের_মাধ্যমে_আমরা_সব_চ্যালেঞ্জ_মোকাবেলা_করব_শামখানি
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, জাতীয় ঐক্য ও প্রতিরোধের মাধ্যমে আমরা বিরাজমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করব। তিনি এক টুইটবার্তায় আরো বলেছেন, প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে তার দেশ যে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে তা ঠেকানোর জন্য আমেরিকাসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ উঠে পড়ে লেগেছে। একইসঙ্গে তারা ইরানের অর্থনীতিকে তেল নির্ভর করে রাখারও চেষ্টা করছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
আগস্ট ১০, ২০২০ ১৮:১০ Asia/Dhaka

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, জাতীয় ঐক্য ও প্রতিরোধের মাধ্যমে আমরা বিরাজমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করব। তিনি এক টুইটবার্তায় আরো বলেছেন, প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে তার দেশ যে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে তা ঠেকানোর জন্য আমেরিকাসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ উঠে পড়ে লেগেছে। একইসঙ্গে তারা ইরানের অর্থনীতিকে তেল নির্ভর করে রাখারও চেষ্টা করছে।

ইসলামি বিপ্লবের পর প্রায় ৪১ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এ দীর্ঘ সময় ধরে ইরানকে দুর্বল করার জন্য বিদেশে দেশটির গচ্ছিত অর্থ আটকে দেয়া, নিষেধাজ্ঞা দেয়া, সর্বাত্মক অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টিসহ এমন কোনো কাজ নেই যা আমেরিকা করেনি। এ অবস্থায় আমেরিকার সর্বোচ্চ চাপ মোকাবেলার কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ইরান। এ ব্যাপারে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি দুটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রথমত, ইরান তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, পাশ্চাত্যের একতরফা নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় প্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করা। এ দুটি বিষয় কৌশলগত দিক থেকে ইরান ও ওই দেশগুলোর জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন ষড়যন্ত্র, চাপ ও নিষেধাজ্ঞার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, ওয়াশিংটনের প্রবল চাপের কাছে তেহরানকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা। বর্তমানের  মতো এতো সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা এর আগে কখনো ইরানকে মোকাবেলা করতে হয়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পাশ্চাত্যের সর্বোচ্চ চাপ মোকাবেলায় ইরান প্রতিরোধমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এমনকি ইরান বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ জন্য দেশটি প্রতিবেশী এবং প্রাচ্য তথা এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা বিস্তারের পদক্ষেপ নিয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ চীন ও  ইরানের কৌশলগত ২৫ বছর মেয়াদি সমঝোতার কথা উল্লেখ করা যায়। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে চীন একটি শক্তিশালী দেশ এবং তারা আমেরিকার জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ইরানও স্বাধীন এবং প্রতিরোধকামী একটি দেশ যারা মার্কিন আধিপত্যকে মেনে নিতে পারেনি। এ কারণে ইরান ও চীন জ্বালানি, যোগাযোগসহ সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা বিস্তারের পদক্ষেপ নিয়েছে যা আমেরিকাকে ভাবিয়ে তুলেছে। ইরান ও চীনের মধ্যে সহযোগিতা বিস্তারের পথে বাধা দেয়ার জন্য আমেরিকা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল লিখেছে, তেহরান ও বেইজিংএর কর্মকর্তারা প্রমাণ করেছেন, তারা পাশ্চাত্যের ওপর নির্ভরশীল নয় এবং তারা ওয়াশিংটন ও তার মিত্রদের উপেক্ষা করতে সক্ষম।

যাইহোক শুধু চীন নয় ইরানের কর্মকর্তারা অন্যান্য দেশের সঙ্গেও ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে যাতে মার্কিন আগ্রাসী নীতি ও নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলা করা যায়। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১০