ইবনে সিনার জন্মদিনকে 'আন্তর্জাতিক চিকিৎসক দিবস' ঘোষণার দাবি ও যৌক্তিকতা
(last modified Tue, 24 Aug 2021 11:23:22 GMT )
আগস্ট ২৪, ২০২১ ১৭:২৩ Asia/Dhaka
  • ইবনে সিনার জন্মদিনকে 'আন্তর্জাতিক চিকিৎসক দিবস' ঘোষণার দাবি ও যৌক্তিকতা

ডা. হেদায়েতুল্লাহ সাজু:  গতকাল (২৩ আগস্ট) ছিল ইরানের জাতীয় চিকিৎসক দিবস। এই দিনটির মাহাত্ম্য এত যে, শুধুমাত্র ইরানি চিকিৎসক দিবস হলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষককে অপমান করা হয়। ভুলে যাওয়া হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের গৌরবোজ্জ্বল অতীতকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে ২৩ আগস্টকে ঘোষণা করা হোক 'আন্তর্জাতিক চিকিৎসক দিবস' হিসেবে।

এই দিবসে পৃথিবীর সর্বস্তরের চিকিৎসকরা স্মরণ করুক তাদের অতীতের মহান শিক্ষককে। মিলনমেলায় পরিণত হোক প্রতিটি চিকিৎসকদের হৃদয়। একসূত্রে এক দলীয় সঙ্গীত সুরের মুর্ছনায় আন্দোলিত হোক সারা দুনিয়ার চিকিৎসা ও ঔষধ বিজ্ঞানসংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ। এর যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে হলে জানতে হবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস।

অতর্কিতভাবে এক ভয়ংকর জীবননাশী রোগের আবির্ভাব! এই ভাইরাস একের পর এক জনপদ তছনছ করে ফেলতে শুরু করল। ভয়াবহ অদৃশ্য এক জীবাণুর আক্রমণে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের জীবনাবসান হতে লাগল। ভয়াবহতা এমন রূপ ধারণ করল যে, উঁচু-নিচু, ধনী-দরিদ্র সর্বস্তরের মানুষ দিগবিদিক ছোটাছুটি করা শুরু করল। কে, কী করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। কেউবা দেশ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়। তখন এক মনীষী কঠোর ঘোষণা দেন, মহামারী অবস্থায় কেউ যেন তাদের স্থান ত্যাগ না করে। পরিধান করা পোশাকসমূহ সিরকা দিয়ে ধৌত করতে বলেন। থাকতে বলেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। তখন শহরের পথে প্রান্তরে সর্বস্তরে দেয়া হয় কঠিন নির্দেশনা। অসুস্থ মানুষকে সুস্থ মানুষ থেকে আলাদা করে রাখা হয়। যেখানে যেখানে জনসমাগম বেশি সেখানে তা বন্ধ করা হয়। বন্ধ করা হয় হাট, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত। তা সকলেই গ্রহণ করে। কারণ ইতোমধ্যে তিনি বিখ্যাত চিকিৎসকের তকমা লাগিয়েছেন তার গায়ে। এটা কিন্তু ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের শুরু হওয়া উহান শহরের কথা নয়। কিংবা রোগটি নভেল করোনা (সার্স সিওভি-২) ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া মহামারী কোভিড-১৯ এর কথা নয়। এটা আজ হতে শত শত বছর পূর্বে ১১ শতাব্দীতে পারস্য সভ্যতার ধারক বাহক ইরানের একটি শহরের কথা। এমন সময় সেই মনীষী ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অমীয় বাণী "যারা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত তারা সুস্থ মানুষ থেকে দূরে থাকবে"- এর সঠিক বাস্তবায়ন করেন। তিনি আর কেউ নন পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ চিকিৎসা বিজ্ঞানী, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক, চিকিৎসা বিজ্ঞানের বাইবেল খ্যাত আল-কানুন ফি তিব্ব-এর লেখক, সার্জারীতে অজ্ঞান প্রক্রিয়ার উদ্ভাবক ইবনে সিনা। তিনি ৪০ দিন পর্যন্ত অসুস্থ মানুষকে সুস্থ মানুষ থেকে আলাদা রাখেন। এই ৪০ দিনকে আরবাইন বলা হয়। ধারণা করা হয় পৃথিবীর ইতিহাসে এটিই প্রথম সমষ্টিগত কোয়ারেন্টাইন। যার পূর্ণ নাম আবু ʿআলী আল-হোসাইন বিন আব্দিল্লাহ ইবনুল হাসান বিন আলী ইবনে সীনা। আরবরা তাকে আখ্যায়িত করেছে 'আল-শায়খ আল-রাঈস' তথা 'জ্ঞানীকুল শিরোমণি'  হিসেবে। আর পাশ্চাত্যে তিনি 'আভিসেনা' (Avicenna) নামেই অধিক পরিচিত।

গতকাল ছিল সেই মহান দার্শনিক ইবনে সিনার জন্ম দিন। ২৩ আগস্ট ৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন বুখারার অন্তর্গত খার্মাতায়েন জেলার এক গ্রামে আজকের তাঁর জন্ম। ইবনে সিনার পিতা বুখারার সামানীয় সম্রাটের অধীনে একজন রাজ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ধন-সম্পদ, ভোগ বিলাস ও প্রাচুর্যের মোহ যাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। তিনি কঠোর জ্ঞান সাধনা ও অধ্যবসায়ের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দেন তাঁর সারাটা জীবন। ১০০১ খ্রিষ্টাব্দে পিতা আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। এ সময় ‌ইবনে সিনার বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। পিতার মৃত্যুতে তার ওপর নেমে আসে রাজনৈতিক দুর্যোগ। পরবর্তী জীবনে তার জীবনে সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, ফলে তাকে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে এক দেশ থেকে অন্য দেশে। জেলে পর্যন্ত যেতে হয়েছে এই বিজ্ঞানীকে। তবে এসবের মধ্যেও তার জ্ঞানসাধনায় বিন্দুমাত্র বাধা পড়েনি। ইবনে সিনা গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটল-এর দর্শন দ্বারা প্রভাবিত একজন পেরিপেটিক দার্শনিক। যদিও তিনি অ্যারিস্টটল-এর সকল দর্শনের সাথে একমত ছিলেন না। আর মানুষও তা গ্রহণ করেছিল তার বৈজ্ঞানিক যুক্তির কারণে। তথ্য পাওয়া যায় তিনি প্রায় ৪৫০ টি দর্শন ও চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। এর মধ্যে ৪০ টি চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ মোট ২৪০টি গ্রন্থ বর্তমানে টিকে রয়েছে। তাঁর সর্বাধিক বিখ্যাত রচনাগুলো হল- আল কানুন ফিত তিব, একটি চিকিৎসা বৈজ্ঞানিক বিশ্বকোষ এবং কিতাবুস শিফা একটি দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক বিশ্বকোষ।

ইংরেজীতে আল কানুন ফিত তিব The Canon of Medicine নামে পরিচিত। যা মধ্যযুগীয় প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্যের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রামাণিক (Evidence Based) মেডিকেল পাঠ্যবই ছিল। বইটিতে তিনি পূর্ববর্তী সময়ের গ্রীক ও রোমানদের চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে শুরু করে চীন ভারত ও পারস্যের বিভিন্ন  চিকিৎসা পদ্ধতির নির্যাস নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের মৌলিক ও প্রয়োজনীয় সকল তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন। ১০২৫ খ্রিষ্টাব্দে লেখা বইটি ১৬৫০ সাল পর্যন্ত ব্যবহার হতে থাকে। ১২০০ শতাব্দীতে বইটি ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করা হলে পুরো ইউরোপের সকল বিশ্ববিদ্যলয়ের মৌলিক পাঠ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং একে 'চিকিৎসা বিজ্ঞানের বাইবেল' মনে করা হয়। পাঁচ খণ্ডের এ মহা বিশ্বকোষে আছে ১০ লাখেরও বেশি শব্দ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের যাবতীয় জ্ঞানের বিষয় এতে আলোচিত হয়।

৫ খণ্ডে বিভক্ত আল কানুন প্রায় ৪ লক্ষাধিক পৃষ্ঠায় সমৃদ্ধ। প্রথম খণ্ডে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ (তথা এনাটমি ও ফিজিওলোজি) এবং এর কার্যক্রম আলোচিত। দ্বিতীয় খণ্ডে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ঔষধ নিয়ে আলোচনা। তৃতীয় ও চতুর্থ ৪ খণ্ডে মানুষের আপাদমস্তক যে সকল রোগ হবার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলোর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছ। আর পঞ্চম খণ্ডে ঔষধ প্রস্তুত বিজ্ঞান অর্থাৎ ঔষধ তৈরির প্রক্রিয়া আলোচনা করা হয়েছে।

ইবনে সিনার চিকিৎসা বিজ্ঞান মনস্কে প্রশ্ন ছিল কেন মানুষ অসুস্থ হয়? কিভাবে হয়? কোন ঔষধই বা তার নিরাময়ের চাবিকাঠি? তাইতো আল কানুন ফি তিব্ব বইটিতে শতাধিক জটিল রোগের কারণ, লক্ষণ, তথ্যাদির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। এই বইয়ে তিনি ফার্মাকোলজি ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের প্রভূত উন্নয়ন করেন। তবে তার মূল অবদান ছিল চিকিৎসা শাস্ত্রে। তিনি হলিস্টিক মেডিসিনের প্রণেতা হিসেবে একই সাথে শারীরিক, মানসিক এবং আত্মিক যোগসূত্রকে বিবেচনায় রেখে চিকিৎসার পদ্ধতি প্রণয়ন করেন। তিনি মানুষের চোখের সঠিক এনাটমি বর্ণনা করেন। ডিপ্রেশন, হৃদরোগ, ক্যান্সার, টিভি এবং ছোঁয়োচে রোগের উপর তিনি ব্যাপক গবেষণা করেন। ডিপ্রেশন যে একটি রোগ এবং যক্ষ্মা রোগ যে ছোঁয়াচে রোগ তা ইবনে সিনাই প্রথম বলেন। কিন্তু তার পরের পশ্চিমা চিকিৎসকবৃন্দ প্রত্যাখ্যান করেন এবং যা বর্তমানে সঠিক বলে প্রমাণিত। প্রথম মেনিনজাইটিস রোগটির শনাক্তকারীও তিনি। পানি (Water Born Disease) ও ভূমির মাধ্যেমে যে সকল রোগ ছড়ায় তা ইবনে সিনাই আবিষ্কার করেছিলেন।

তাঁর লেখা অন্য বিখ্যাত 'বই কিতাবুস শিফা'র অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে সংক্ষেপে বলা যায় পদার্থবিদ্যা, গণিত ও সঙ্গীতে তার অবদান অপরিসীম। Casting out of nines, বর্গ ও ঘন এবং পদার্থ বিদ্যায় তাপ, আলো, বল, শক্তি, শূন্যগর্ভ, ইত্যাদিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনিই প্রথম সময় ও গতির মধ্যেকার আন্তঃক্রিয়ার বিষয়টি আলোকপাত করেন। তিনি আপেক্ষিক গুরুত্ব নিয়ে গবেষণা করে গেছেন এবং ব্যবহার করেছিলেন এয়ার থার্মোমিটার বা বায়ু থার্মোমিটার। সঙ্গীত জগতে তাঁর তুলনায় সে সময় কেউ ছিল না। হারমনিক সিস্টেমে চতুর্থ এবং পঞ্চমটির দ্বিগুণ করা ছিল অগ্রগতির এক ধাপ। ইবনে সিনা লক্ষ করেন যখন n=45 তখন কানে আসা শব্দে সুর সময় থাকে না। সুর সমন্তয়ের সিরিজ উপস্থাপিত হয় (n+1/n সূত্রের মাধ্যমে। ১০৩৭ খ্রিস্টাব্দে চিকিৎসাজ্ঞানী বিশ্ববিখ্যাত এ মহামনীষী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইরানের হামাদানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

যদিও বিশ্বের কোথাও কোথাও ইবনে সিনার নামে ভালো কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। দেয়া হয় তাঁর নামে কিছু অ্যাওয়ার্ড। যেমন- ২০০২ সালে প্রথম ইউনেস্কো ইথিক্স ইন সাইন্স-এ 'ইবনে সিনা অ্যাওয়ার্ড' চালু করে যা প্রতি দুই বছর পরপর দেয়া হয়। তথাপি বোধ হয় যিনি মানুষের কল্যাণে এবং চিকিৎসা জ্ঞানের উন্নতি সাধনে সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছেনে আমরা তাঁর যথোপযুক্ত মর্যাদা দিতে পারছি না। তাঁকে আমরা একটি দেশের ভাবছি অথচ তিনি ছিলেন সারা বিশ্বের সম্পদ। ইবনে সিনা দিয়ে গেছেন পৃথিবীর সবার জন্য সুস্থ সবল থাকার সম্পত্তি। ইবনে সিনাই প্রথম আধুনিক হাসপাতাল গড়ে তোলেন। তিনিই প্রথম ভিন্ন ভিন্ন রোগর জন্য পৃথক পৃথক বিভাগ বা কেবিনের সূচনা করেন। তাঁর লেখা 'আল কানুন'-এর মাধ্যমেই আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্বর্ণ যুগের সূচনা হয়। অথচ বিশ্ববাসী বেমালুম ভুলে গেছেন তাঁকে। এখন তাঁকে নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে কিছু করা সময়ের দাবি। বিশ্বের কিছু দেশের কতিপয় প্রতিষ্ঠান ইবনে সিনার নাম ব্যবহার করে তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ডিং করেন। অর্থাৎ খাটি বাংলায় যদি বলি তাঁর 'নাম ভাঙ্গিয়ে খায়'। বেশি দূর যেতে হবে না আমাদের বাংলাদেশেই ইবনে সিনা নাম নিয়ে মেডিকেল কলেজ, হাসপাতালসহ বহু প্রতিষ্ঠান করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী করছেন বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা আয়। তারা বিলাসিতা অথচ ইবনে সিনার জন্ম বা মৃত্যু দিবসে একটু দোয়া মাহফিল বা ছোটখাট কোন অনুষ্ঠানও করেন না। অথচ ওই সকল প্রতিষ্ঠানের আয়ের অংশ থেকে প্রতিষ্ঠিত হবার কথা ছিল ইবনে সিনা গবেষণাগার, সেখানে থাকবার কথাছিল ইবনে সিনার কর্মযজ্ঞের সকল নিদর্শনের যাদুঘর। তৈরি করবার কথা ছিল ইবনে সিনার রেখে যাওয়া জ্ঞান-বিজ্ঞানের ওপর একদল গবেষক। কিন্তু না, তারা হয়েছে বুর্জোয়া, করছে শুধু তাঁর নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যবসা। বিষয়টি ভাবতে গেলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সোনার তরী' কবিতাটি মনে পড়ে যায় –"এখন আমারে লহ করুণা করে। ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই-- ছোটো সে তরী, আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।” 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিকট আমার সবিনয় অনুরোধ থাকবে- ইবনে সিনার জন্মদিন ২৩ আগস্টকে আন্তর্জাতিক চিকিৎসক দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়া হোক। আমরা কি তাঁকে এ ন্যূনতম সম্মানটুকু দিতে পারি না?

লেখক: পুষ্টিবিদ ও ন্যাচারাল মেডিসিন কনসাল্টেন্ট, পিএইচডি গবেষক, তেহরান ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সাইন্সেস, ইরান।

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৪ 

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। 

 

ট্যাগ