ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে আইএইএ'র অভিযোগ: তেহরানের প্রতিক্রিয়া
(last modified Mon, 27 Sep 2021 13:15:10 GMT )
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১ ১৯:১৫ Asia/Dhaka
  • কাজেম গারিবাবাদি
    কাজেম গারিবাবাদি

গত এক বছরে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে তিনটি নাশকতার ঘটনা ঘটে যা অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও এবং তা জাতিসংঘের আইন ও আইএইএর নীতিমালার লঙ্ঘন হলেও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ আজো তার নিন্দা জানায়নি।

ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজেম গারিবাবাদি এক টুইটবার্তায় এ বিষয়টির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। রাজধানী তেহরানের কাছেই কারাজে অবস্থিত 'তাসা' পরমাণু কমপ্লেক্সে পর্যবেক্ষণ ক্যামেরা স্থাপনের অনুমতি ইরান দিচ্ছে না বলে আইএইএ প্রধান যে অভিযোগ করেছেন তার প্রতিক্রিয়ায় কাজেম গারিবাবাদি বলেছেন, ক্যামেরা স্থাপনের ওই দাবি ইরানের সঙ্গে করা চুক্তি বহির্ভূত তাই ইরান এটা মানতে বাধ্য নয়। আইএইএর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি গত রবিবার রাতে এক প্রতিবেদনে অভিযোগ করেন গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ইরানের অন্য পরমাণু স্থাপনাগুলোতে পর্যবেক্ষণ কিংবা স্থাপিত ক্যামেরার মেমোরি পরিবর্তনের অনুমতি তেহরান দিলেও কারাজের 'তাসা' পরমাণু কমপ্লেক্সে সেন্ট্রিফিউজের যন্ত্রাংশ উৎপাদনের কারখানায় কোনো ক্যামেরা স্থাপনের অনুমতি দিচ্ছে না।

আইএইএর প্রধান রাফায়েল গ্রোসির এ প্রতিবেদন পেশ করার আগে ভিয়েনায় ইরানের প্রতিনিধি কাজেম গারিবাবাদি বলেছিলেন, যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে সেসব বিষয়ে আপত্তি তুলতে পারে না আইএইএ। তিনি গত ১২ সেপ্টেম্বর আইএইএ ও ইরানের মধ্যেকার যৌথ বিবৃতির কথা উল্লেখ করে বলেন তেহরান ও ভিয়েনায় সম্প্রতি ইরান ও আইএইএর মধ্যে কয়েক দফা যে আলোচনা হয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট করা হয়েছে যে কারাজের তাসা পরমাণু কমপ্লেক্সে নিরাপত্তার বিষয়টি এখনো তদন্তধীন রয়েছে এবং সে কারণে এখনই সেখানে ক্যামেরা স্থাপনের অনুমতি দেয়া হবে না।

বাস্তবতা হচ্ছে, ইরান কখনোই প্রতিশ্রুতি ও আইনের বাইরে কোনো কথা বলেনা। তাই ওই সংস্থাটির অনেক দাবি তেহরান মানতে পারে না। এ কারণে তেহরান সবসময় আলোচনার দরজা খোলা রেখেছে। ধারনা করা হচ্ছে ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে কিংবা সন্দেহ সৃষ্টি করা হয়েছে তার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের উস্কানি রয়েছে।

তেহরানে নিযুক্ত ফ্রান্সের সাবেক রাষ্ট্রদূত ফ্রাসোয়া নিকোলাদ আইএইএর কোনো কোনো আবদার শুনতে ইরানের আপত্তি ও উদ্বেগের কারণ সম্পর্কে বলেছেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় স্ট্রুক্সনেট ভাইরাস দিয়ে হামলা, পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যা এবং অতীতে ইরাকের মতো আরো অনেক দেশে আইএইএর গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনাগুলো ইরানিদের চিন্তার বিষয় হয়ে আছে।

যাইহোক, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, আইএইএর তত্বাবধানে পর্যবেক্ষণের নীতিমালা অনুযায়ী ইরান সম্পূরক প্রটোকল বা বাড়তি প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে বাধ্য নয়। উদাহরণ হিসেবে ক্যামেরা স্থাপনে ইরান বাধ্য নয়। সুতরাং আইএইএ কখনোই এ বিষয়ে ইরানকে কোনো নির্দেশ দিতে পারে না।#        

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২৭