‘রেডিও তেহরান : পাশ্চাত্য মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এক সাহসী সংবাদমাধ্যম’
(last modified Fri, 01 Apr 2022 07:23:34 GMT )
এপ্রিল ০১, ২০২২ ১৩:২৩ Asia/Dhaka
  • ‘রেডিও তেহরান : পাশ্চাত্য মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এক সাহসী সংবাদমাধ্যম’

প্রিয় মহোদয়, আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। পাশ্চাত্য মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রেডিও তেহরান সাহসী এক সংবাদমাধ্যম। বিশ্বের মানুষ যখন সঠিক ও নিরপেক্ষ খবর খবরের প্রত্যাশায় উদগ্রীব, রেডিও তেহরান তখন তাদেরকে আশ্বস্ত করছে। এটিই রেডিও তেহরানের মাহাত্ম্য।

বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষ যখন পাশ্চাত্য মিডিয়ারে চাপে নিষ্পেষিত, তখন তাদেরকে আলোর পথ দেখাচ্ছে আইআরআইবি তথা রেডিও তেহরান। বর্তমানে বিশ্ব পাশ্চাত্য-সৃষ্ট এক দুর্যোগ অতিক্রম করছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইইউ’র উস্কানিতে ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের জনগণের নিরাপত্তার চেয়ে পাশ্চাত্য নেতাদের মিথ্যা আশ্বাসকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ভুলে গেছেন, যুদ্ধবাজ পাশ্চাত্য দেশগুলো কখনোই কারো বন্ধু হতে পারে না। তবে মনে হচ্ছে, তিনি তার ভুল বুঝতে পরেছেন। তাই এখন রাশিয়ার শর্তে রাশিয়ার সাথে সন্ধি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

কিন্তু পাশ্চাত্য মিডিয়ায় এসব খবর আসছে না। এমনকি বিবিসির মত মিডিয়াও নিরপেক্ষভাবে সংবাদ প্রচার করতে পারছে না। এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরের প্রধান উৎস পাশ্চাত্যের মিডিয়াগুলো। এমতাবস্থায় আমরা সাধারণ মানুষ এ দুর্যোগের সময় সঠিক ও নিরপেক্ষ খবর থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলাম। আমাদের সে চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে রেডিও তেহরান।

ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং-এর রেডিও তেহরান ও পার্সটুডে ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক ও নির্মোহ খবর প্রচার করে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ যুদ্ধের প্রকৃত কারণ, যুদ্ধের পেছনের ইতিহাস, রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগ, ইউক্রেনের ন্যাটোভুক্তির চেষ্টা প্রভৃতি বিষয় আমরা জানতে পেরেছি রেডিও তেহরান ও পার্সটুডে থেকেই।  

বিশেষকরে, ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি রাশিয়ার আন্তরিকতার কথা আমাদেরকে জানতে সাহায্য করেছে রেডিও তেহরান ও পার্সটুডেই। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ ও আগ্রাসনের সময় ইরানের পাশে ছিল রাশিয়া। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আমেরিকার হঠকারিতা যেমন স্মরণ করেছেন, তেমনি রাশিয়ার সহযোগিতার কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়া শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদারে সচেষ্ট। আর এসব তথ্য আমাদেরকে জানিয়েছে পাশ্চাত্যের মুখোশ উন্মোচনকারী রেডিও তেহরান।

শুধু তাই নয়, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইইউ’র মোড়লীপনার বিরুদ্ধে রাশিয়া-চীন-ইরান বিশ্বে একটি নতুন বলয় গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। আর রেডিও তেহরান ও পার্সটুডে সে বলয় গড়ে ওঠার মূখপত্র হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। মোড়লের বিপরীতে একটি নতুন বলয় গড়ে ওঠা জরুরি হয়ে উঠেছে। বিশ্বের মানুষের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার জন্যই এটি আবশ্যক। তাই রেডিও তেহরানের এরূপ সাহসী ভূমিকাকে অভিনন্দন জানাই।

 

 

ধন্যবাদান্তে,

মোঃ শাহাদত হোসেন

সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ

গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ, বাংলাদেশ।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১

ট্যাগ