মে ০৭, ২০২৩ ১৬:০৫ Asia/Dhaka
  • 'জালিম বাদশাহর পরিণতি’ শিরোনামের গল্পটি ছিল বেশ শিক্ষণীয়

সুপ্রিয় মহোদয়, আসসালামু আলাইকুম। ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান-এর জাতীয় সম্প্রচার সংস্থার বাংলা বিভাগের ‘গল্প ও প্রবাদের গল্প অনুষ্ঠানে জালিম বাদশাহ ও তার পরিণতি’ শিরোনামের গল্পটি বেশ শিক্ষণীয় হয়েছে।

শ্রোতাদের মন জয় করা অনুষ্ঠান হলো ‘গল্প ও প্রবাদের গল্প’। যেখানে প্রতিনিয়ত শিক্ষণীয় অনেক কিছুই জানা যাচ্ছে। জালিম বাদশাহর পরিণতি নিয়ে এবারের গল্পটি আবারও মনে করিয়ে দিল অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের কথা। মানুষের ওপর অত্যাচার এবং অবিচার করে, মানুষকে হত্যা করে, মানুষকে নাজেহাল করে কোনদিন কোন শাসক পৃথিবীর বুকে টিকে থাকতে পারে নি; তা আবারও এ গল্পের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।

রেডিও তেহরান এমন এক বেতার মাধ্যম যে মাধ্যমে অত্যাচারি বাদশাহর স্বরূপ উন্মেচিত হয়েছে গল্প ও প্রবাদের গল্পের মাধ্যমে। 'হীরক রাজার দেশে' চলচ্চিত্রে দেখেছিলাম- অত্যাচারী রাজার বিরুদ্ধে কিংবা মতের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে বন্দি করা হতো, না হয় মেরে ফেলা হতো। জালিম বাদশাহর পরিণতি গল্পেও এমনটা দেখা গেছে।

যারা জুলুম করে, অত্যাচার করে তাদের পরিণতি স্বাভাবিকভাবেই করুণ পর্যায়ে পৌছে যেমনটা ফেরাউনের বেলায় হয়েছিল। তেমনটা এ গল্পের বাদশাহর বেলাও হয়েছে। জনগণকে বাদ দিয়ে দেশ শাসনের কথা ভাবা বোকা শাসকের কাজ; যেটা গল্পের জালিম বাদশাহর বেলায় ঘটেছে। রাজ্য বা দেশ শাসন করতে গেলে চারপাশে যেমন চাটুকার এবং দালালরা থাকে তেমনি ভালো উপদেশদাতা, বুদ্ধিদাতা সত্য কথা বলা বন্ধুও থাকে যার পরামর্শে ভালো শাসন কায়েম করা যায়। কিন্তু গল্পের সে বন্ধু মানে মন্ত্রী যখন বাদশাহর মতের বিরুদ্ধে কথা বলল, ভালো পরামর্শ দিল তখন সেই মন্ত্রীকেই বন্দি করল জালিম বাদশাহ। তখন বোঝাই যায় সেই জালিম বাদশাহর পতন অবশ্যম্ভাবী। ঠিকই চাচাতো ভাইদের হাতে জালিম বাদশাহর পতন ঘটল শুধুমাত্র জনগণের ঐক্যবদ্ধতার কারণে।

জনগণের কথা বিবেচনা না করে জুলুম নির্যাতনের রাজ কায়েম করলে দেশের মানুষ শাসকের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হবে সেটাই স্বাভাবিক। কথায় আছে- জুলুমের রাজ কায়েম করে কোন হুকুমতই বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। এমন কোন জালেম নেই যে কিনা এ পৃথিবীতে তার জুলুমের শাস্তি ভোগ করে যায় না। যে ফেরাউন ক্ষমতার দম্ভে নিজেকে খোদা দাবি করেছিল, তারও পতন হয়েছে করুণ পরিণতির মধ্য দিয়ে।

পরিশেষে রেডিও তেহরান সংশ্লিষ্ট সকলকে মহান আল্লাহ সোবহানা তা আলা সুস্থ এবং সুন্দর রাখুন।

 

শুভেচ্ছান্তে

এস. এম. হৃদয় রহমান,

ফ্রিল্যান্স সংবাদকর্মী এবং মানবাধিকার কর্মী

গৌরীপুর (দক্ষিণ) বাজার আবাসিক এলাকা,

গৌরীপুর, উপজেলা: দাউদকান্দি, কুমিল্লা, বাংলাদেশ।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৭

ট্যাগ