'করোনাকালে বদলে গেছে রেডিও তেহরান'
(last modified Wed, 02 Sep 2020 10:12:57 GMT )
সেপ্টেম্বর ০২, ২০২০ ১৬:১২ Asia/Dhaka
  • 'করোনাকালে বদলে গেছে রেডিও তেহরান'

আমার অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। বদলে গেছে রেডিও তেহরান। ২০২০ সালের করোনাকালে রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে। সেজন্যে আশরাফুর রহমানসহ বাংলা বিভাগের সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এ বদলে যাওয়া ও উন্নতির ফলে রেডিও তেহরানের শ্রোতা ও ভিজিটরের সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

করোনাকাল কেন ও কিভাবে রেডিও তেহরানকে বদলে দিয়েছে, একজন শ্রোতা হিসেবে সে অনুভূতিটাই প্রকাশ করতে চাই। আমি মনে করি, এর জন্যে যে বিষয়টি মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে তা হলো পুনরায় অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা চালু করা। গত জুন মাস থেকে এ প্রতিযোগিতা চালু করা হয়। ফলে রেডিও তেহরান থেকে একটি পুরস্কার/উপহার/স্বীকৃতি পাবার আশায় অনেকেই এখন নিয়মিত রেডিও তেহরান শুনছেন; কুইজের উত্তর বের করার জন্যে ভিজিট করছেন পার্সটুডে ওয়েবসাইট। আর রেডিওতে অনুষ্ঠান শুনা বা ওয়েবসাইট ভিজিটের ফলে রেডিও তেহরানের প্রতি তারা আকৃষ্ট হচ্ছেন। আর তাই, গত কয়েক মাসে রেডিও তেহরানের শ্রোতা ও ভিজিটরের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিশেষত কুইজের ফলাফল প্রকাশের পর রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইটে নিজের নাম ও ছবি দেখে অনেকেই পুলকিত। আর যারা বিজয়ী হতে পারেননি, তারাও পরবর্তীতে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যাশায় নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনছেন ও ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন। তিনজনের পরিবর্তে পাঁচজন করে বিজয়ী করার ঘোষণা দেয়ায় রেডিও তেহরানের প্রতি শ্রোতারা খুবই কৃতজ্ঞ।

দ্বিতীয় বিষয়টি হলো- মাসিক শ্রেষ্ঠ শ্রোতা পুরস্কারের ঘোষণা দেয়া। যেসব শ্রোতা রেডিও তেহরানে নিয়মিত চিঠিপত্র, রিসেপশন রিপোর্ট, পরামর্শ, আলোচনা, সমালোচনা ও প্রতিবেদন পাঠাবেন তাদের মধ্য থেকে প্রতি মাসে একজন করে শ্রেষ্ঠ শ্রোতা নির্বাচন করা হবে। এ ঘোষণার ফলে শোতাদের মধ্যে চিঠিপত্র লেখার আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দর এ উদ্যোগটির জন্যে সাধুবাদ জানাই। সেই সাথে আমার একটি অনুরোধ হলো, প্রতি মাসে একজনকে শ্রেষ্ঠ শ্রোতা নির্বাচন না করে দুই বা তিনজনকে শ্রেষ্ঠ শ্রোতা নির্বাচন করা হোক। কেননা চিঠিপত্র, রিসেপশন রিপোর্ট, পরামর্শ, আলোচনা, সমালোচনা ও প্রতিবেদনের সংখ্যা ও মান বিবেচনায় দেখা যাবে একাধিক শ্রোতা খুব কাছাকাছি অবস্থানে আছেন। সেক্ষেত্রে নির্বাচকমন্ডলীকে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে। তাই প্রতি মাসে দুই বা তিনজনকে শ্রেষ্ঠ শ্রোতা নির্বাচন করা হলে একদিকে বিচারকাজও সহজ হবে, অন্যদিকে শ্রোতারাও বেশ খুশি হবেন।

রেডিও তেহরানের বদলে যাওয়ার তৃতীয় কারণটি হলো, শর্টওয়েভে শ্রবণমানের উন্নতি। শ্রোতাদেরকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে পুরাতন ফ্রিকোয়েন্সির পরিবর্তে অনেক যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশ ও ভারতের শ্রোতাদের জন্যে শর্টওয়েভে একটি নতুন ফ্রিকোয়েন্সি চালু করা হয়। এর ফলে শ্রবণমানের কিছুটা উন্নতি ঘটে, যা শ্রোতাদের মাঝে ইতিবাচক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে। তবে নতুন ফ্রিকোয়েন্সিতেও শ্রবণমান স্টেবল নয়। কখনো ভালো, কখনো খারাপ। কারিগরি বিভাগ আরেকটু সচেতন হলে শ্রোতারা আরেকটু ভালো শ্রবণমান পাবেন বলে বিশ্বাস করি।  

চতুর্থটি হলো প্রিয়জন। বর্তমানে প্রিয়জন শ্রোতাদেরকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করছে। নাসির মাহমুদ, আকতার জাহান ও আশরাফুর রহমানের উপস্থাপনায় এখনকার প্রিয়জন আগের তুলনায় অনেক বেশি প্রাণবন্ত ও সাবলীল। শ্রোতাদের চিঠিপত্র ও মতামতের সংখ্যাও বেশি। তাছাড়া প্রিয়জন সপ্তাহে দুদিন প্রচারিত হওয়ায় অনেক বেশি শ্রোতা তাদের মতামত দিতে পারছেন। রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের কলা-কুশলীদের সাথে ইন্টারেক্ট তথা মত বিনিময়ের মাধ্যম প্রিয়জন। তাই প্রিয়জনের জনপ্রিয়তা মানে রেডিও তেহরানের জনপ্রিয়তা।

রেডিও তেহরানের সাম্প্রতিক উন্নয়নের পিছনে আরো কিছু কারণ আছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু চিঠি দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে বলে আজ আর লিখলাম না। পরবর্তী কোন চিঠিতে সেসব লিখে জানাবো। রেডিও তেহরানের সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন- সে কামনাই করি।      

ধন্যবাদান্তে,

মোঃ শাহাদত হোসেন

সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ

গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ – ২৩০০, বাংলাদেশ।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

ট্যাগ