কোরীয় উপত্যকায় মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করার লক্ষ্যে সিউলের সঙ্গে ওয়াশিংটন যে চুক্তি করেছে তার বিরুদ্ধ পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে উত্তর কোরিয়া বলেছে, পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র পরীক্ষার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হলে তাকে যুদ্ধ ঘোষণা বলে ধরে নেয়া হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, উত্তর কোরিয়া যদি কোনো রকমে সিউলের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা করে তাহলে কিম জং উনের শাসনের অবসান ঘটবে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার দেশের বিজ্ঞানীদের আরো অনেক বেশি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ধরে রাখার জন্য আমেরিকাকে মোকাবেলা করতে হলে অনেক বেশি কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র প্রয়োজন।
উত্তর কোরিয়ার সমরাস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত তিনজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। পিয়ং ইয়ং সর্বশেষ ও সর্ববৃহৎ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকামী আচরণ মোকাবিলা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, তার দেশ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্রধর দেশে পরিণত হতে চায়।
সমরাস্ত্র তৈরির ব্যাপারে ‘দ্বৈত অবস্থান’ গ্রহণ করার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি পিয়ংইয়ং-এর আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর উত্তর কোরিয়া ওই নিন্দা জানাল।
উত্তর কোরিয়া নতুন একটি আইন পাস করেছে যাতে নিজেকে পরমাণু অস্ত্রধারী শক্তিধর দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় কোনো দেশের পক্ষ থেকে পরমাণু হামলার আগেই উত্তর কোরিয়া শত্রুর বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ এবং গঠনমূলক দীপক্ষীয় সম্পর্ক বিস্তারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। জাপানের শাসন থেকে উত্তর কোরিয়ার স্বাধীন হওয়ার বার্ষিকী উপলক্ষে দেশটির নেতা কিম জং উনকে লেখা এক চিঠিতে প্রেসিডেন্ট পুতিন এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ডিএমজেড নামে পরিচিত দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত বেসামরিক অঞ্চলে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যানসি পেলোসির সফরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি শীর্ষস্থানীয় এই মার্কিন কর্মকর্তাকে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার নিকৃষ্টতম ধ্বংসকারী’ হিসেবে অভিহিত করেছে।