Pars Today
লিবিয়ার যুদ্ধবাজ নেতা জেনারেল খলিফা হাফতার গোপনে ইহুদিবাদী ইসরাইল সফর করেছেন এবং তার বিমান তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানন্দরে দেখা গেছে। কিছুদিন আগে খবর বের হয়েছিল যে, ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য তাকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে সমর্থন দেবে ইসরাইল।
লিবিয়ার আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের পর দেশটির সঙ্গে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে তেল আবিব।
লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা জেনারেল খলিফা হাফতারের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ব্যক্তিগত বিমান ইহুদিবাদী ইসরাইলে পৌঁছেছে। পি-৪ আরএমএ বিমানটি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ইসরাইলে যায়।
লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা জেনারেল খলিফা হাফতারের অনুগত কমান্ডার মাহমুদ মুস্তাফা বুসাইফ আল-ওয়েরফালি অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বেনগাজিতে যুদ্ধাপরাধের জন্য তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা জেনারেল খলিফা হাফতারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তুরস্ক বলেছে, লিবিয়ায় মোতায়েন তুর্কি সেনাদের ওপর হামলা হলে হাফতারের অনুগত বিদ্রোহী গেরিলারা তুরস্কের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
লিবিয়ায় মোতায়েন তুর্কি সামরিক বাহিনীর ওপর হামলার হুমকি দিয়েছেন বিদ্রোহী নেতা জেনারেল খলিফা হাফতার। জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকারকে সমর্থন দেয়ার জন্য দেশটিতে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে তুরস্ক। এর বিপরীতে ফ্রান্স, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশরের মতো দেশ খলিফা হাফতারকে সমর্থন দিচ্ছে।
লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সালাহউদ্দিন আন-নামুর্শ তার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত জেনারেল হাফতারের কথিত ন্যাশনাল আর্মির প্রতি ফ্রান্সের সমর্থন ঘোষণাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
আগামী মাসে তিউনিশিয়ার রাজধানী তিউনিসে লিবিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। লিবিয়ায় জাতিসংঘ মিশন থেকে গতকাল (রোববার) এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। শহরের লোকজন জানিয়েছেন, রাজধানীর সব জায়গা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং আকাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা যায়।
লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতারের অনুগত বাহিনী বলেছে, সরকারের সঙ্গে চুক্তি করা সত্ত্বেও তারা অবরোধ অব্যাহত রাখবে। এর একদিন আগে বিদ্রোহীরা ত্রিপোলি সরকারের সঙ্গে তেলশিল্প এবং তেলক্ষেত্রগুলো খুলে দেয়ার ব্যাপারে একটি চুক্তি করেছে।