আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য...
'বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চার থেকে পাঁচ লাখ লোক মারা যাবে'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: আজ ৩ মার্চ শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম :
- ভি-ডেমের প্রতিবেদন-বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির অবনতি-প্রথম আলো
- বেড়েই চলছে মুরগির দাম, অস্বস্তি নিত্যপণ্যের বাজারেও-ইত্তেফাক
- সামনে আ. লীগের কারো ভোট করার অধিকার থাকবে না: খসরু-যুগান্তর
- এক্সক্লুসিভ-৪-৫ লাখ লোক মারা যাবে? কী যে বলেন! আমরা আইন হাতে তুলে নেবো না-মানবজমিন
- আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি বাতিলের দাবি-কালের কণ্ঠ
- বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চলমান থাকবে: ভারতীয় হাই কমিশনার-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- ইবি ছাত্রী নির্যাতন : শনিবার ক্যাম্পাসে ফিরবেন ভুক্তভোগী ফুলপরী-ডেইলি নয়াদিগন্ত
কোলকাতার শিরোনাম:
- ‘এটা কী করে সম্ভব?’, SSC’র গ্রুপ সি মামলায় কমিশনের হলফনামায় বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় -সংবাদ প্রতিদিন
- কুন্তলের সঙ্গে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন! ইডির তলব সোমা চক্রবর্তীকে! কে তিনি? ঘনাচ্ছে রহস্য-আনন্দবাজার পত্রিকা
- বিজেপি বিরোধী জোটে থাকবেন না, জানিয়ে দিলেন মমতা-গণশক্তি
এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অধ্যাপনা থেকে পুরোদস্তুর রাজনীতিক। বিরোধী বিএনপি’র মহাসচিব। কথা বলেন সোজাসাপ্টা। দীর্ঘদিন রাজনীতি করলেও গায়ে ময়লা লাগেনি। ৭৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিক হাল আমলে ৩৮৩দিন জেল খেটেছেন। ৮৯টি মামলা মোকাবিলা করছেন এখন। বৃহস্পতিবার কথা হলো, তবে সংক্ষিপ্ত। ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে তার দলের অবস্থান পরিষ্কার করলেন। বললেন, আমরা নির্বাচনে যেতে চাই।
কিন্তু কোন সে নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না সে নির্বাচনে তো আমরা যেতে পারি না। আমাদের কথা স্পষ্ট, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিএনপি’র পক্ষে অসম্ভব। অতীতের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। আর সংলাপের কথা বলছেন? আমি বলবো, এটা একটা তামাশা। আমরা তো প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সংলাপে যোগ দিয়েছিলাম। কী লাভ হয়েছে? একটা দাবিও তিনি মানেননি। তাদের নেতাদের বক্তৃতা শুনে মনে হয়, বিরোধীরা সংলাপে অংশ নিলেই সংকটের সমাধান হয়ে যাবে। খালিস নিয়তে সংলাপ না হলে তা হবে অর্থহীন। তার মানে কি আপনারা সংলাপে যাচ্ছেন না? অর্থহীন এই সংলাপে যাওয়ার কি প্রয়োজন আছে বলুন। তাই সংলাপের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বলা হয়ে থাকে কিংবা আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন আপনারা ক্ষমতায় গেলে চার থেকে পাঁচ লাখ লোক মারা যাবে। কী যে বলেন! দেশটা কি মগের মুল্লুক হয়ে যাবে? দেশে কি কোনো আইন থাকবে না! আমরা আইন হাতে তুলে নেবো না। আমরা আইনের বাইরে কোথাও যাবো না। তাছাড়া তাদের ভয় কেন। সোজা কথা, জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য তারা এসব বলছেন। এতে কোনো লাভ হবে না। জনগণ ভালো করেই জানে, জনসমর্থন হারিয়ে নেতারা এসব কথা বলছেন। উদ্দেশ্য একটাই- আতঙ্ক তৈরি করা, বিদেশিদের বিভ্রান্ত করা। তিনি বলেন, এককথায় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা কী? ভয়াবহ। মানুষ অসহায়। বাঁচার জন্য লড়াই করছে। অর্থনৈতিক সংকট এতটাই তীব্র যে, মানুষ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।
ভি-ডেমের প্রতিবেদন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির অবনতি-প্রথম আলো
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। উদার গণতান্ত্রিক সূচক ও নির্বাচনভিত্তিক গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থার অবনতি হয়েছে। সুইডেনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ভ্যারাইটিজ অব ডেমোক্রেসির (ভি-ডেম) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। ভি-ডেমের এবারের প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘ডিফাইঅ্যান্স ইন দ্য ফেস অব অটোক্রাটাইজেশন’।ভি-ডেমের এবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদার গণতান্ত্রিক সূচকে (লিবারেল ডেমোক্রেসি ইনডেস্ক) ১৭৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম। স্কোর শূন্য দশমিক ১১। গতবারের চেয়ে স্কোর কমেছে শূন্য দশমিক ০২।প্রতিবেদনে ‘নির্বাচনভিত্তিক গণতন্ত্রের সূচকে’ (ইলেকটোরাল ডেমোক্রেসি ইনডেক্স) বাংলাদেশের অবনমন হয়েছে। সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ১৩১তম।ভি-ডেম ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাসনতান্ত্রিক দিক থেকে বাংলাদেশ আছে ‘নির্বাচনভিত্তিক স্বেচ্ছাতন্ত্র’ (ইলেকটোরাল অটোক্রেসি) বিভাগে। এর অর্থ হলো এ দেশে গণতন্ত্র অপস্রিয়মাণ। আর সে জায়গায় ধীরে ধীরে স্থান করে নিচ্ছে স্বেচ্ছাচারী শাসন। বাংলাদেশের অবস্থান আগের প্রতিবেদনেও এমনটাই ছিল।
বেড়েই চলছে মুরগির দাম, অস্বস্তি নিত্যপণ্যের বাজারেও-ইত্তেফাক
দেশের বাজারে দফায় দফায় বেড়ে চলছে নিত্যপণ্যের দাম। আজ এক পণ্যের দাম বাড়লে কাল বাড়ছে আরেক পণ্যের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। কিছু সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। বেড়েছে ডাল ও ছোলার দামও। তবে এক সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে ডিম ও কাঁচা মরিচের দাম।গত দুই-তিন সপ্তাহ ধরে রেকর্ড ভেঙে ২৩০-২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে ব্রয়লার মুরগি। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে। এ নিয়ে প্রায় দেড় মাসের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকার বেশি। আর যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে, চিনির সংকট দামও বেশি।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি বাতিলের দাবি-কালের কণ্ঠের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)। আজ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার প্রায় অর্ধেক অলস থেকে যাচ্ছে, সেখানে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে বিদ্যুৎ আমদানি মোটেও যৌক্তিক নয়। তদুপরি, আদানি কম্পানির কাছ থেকে যেসব শর্তে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ কিনতে যাচ্ছে, তা খুবই প্রতিকূল। উদ্বেগের বিষয়, বর্তমানে সরকার যে বিদ্যুৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুসরণ করছে তাতে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ ভবিষ্যতে ক্রমাগতভাবে বাড়ার কথা। বাপা ও বেন আমদানিকৃত বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা পরিহার করার দাবি জানাচ্ছে।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
‘এটা কী করে সম্ভব?’, SSC’র গ্রুপ সি মামলায় কমিশনের হলফনামায় বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়-সংবাদ প্রতিদিন
এসএসসি’র গ্রুপ সি মামলায় কমিশনের হলফনামায় চাঞ্চল্য। ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী সংস্থা NYSA’র সার্ভারে প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ৪০ হওয়া সত্ত্বেও কমিশনের সার্ভারে ১০। একই প্রার্থীর নম্বরের এহেন গরমিল দেখে বিস্মিত কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। “এটা কী করে সম্ভব?”, প্রশ্ন বিচারপতির।গাজিয়াবাদ থেকে ৩৪৭৮টি ওএমআর শিট উদ্ধার করা হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি, উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিটগুলির মধ্যে ৩০০টি বিকৃত নয়। আগামী ৯ মার্চ কলকাতা হাই কোর্ট বাকি ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলাতেও ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টেও বিশেষ স্বস্তি পেলেন না গ্রুপ ডি‘র ১৯১১ জন চাকরিচ্যুত। তাঁদের চাকরি বাতিলে কোনও স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত। তবে, ওই ১৯১১ শূন্যপদে নতুন নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে এই মামলায় সিবিআইকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
বিজেপি বিরোধী জোটে থাকবেন না, জানিয়ে দিলেন মমতা-গণশক্তি
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে না, জানিয়ে দিলেন মমতা ব্যানার্জি। সাগরদিঘির উপনির্বাচনে বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন,‘‘আমরা কারোর সাথে থাকব না। আমরা একাই লড়ব।’’
চলতি বছর শেষ হলেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি একত্রিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। ঠিক যে সময় গোটা দেশে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বিজেপি’র বিরুদ্ধে জোটের আবহ তৈরি হচ্ছে, ঠিক তখনই জোট থেকে নিজেকে সুকৌশলে সরিয়ে রাখার বার্তা দিয়ে রাখলেন মমতা ব্যানার্জি। আগামী ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোটটা তাহলে কী হবে?#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৩
- বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।