ইরাকিদের মসুল অভিযান চলছে: মার্কিন ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা অনেকের
https://parstoday.ir/bn/news/uncategorised-i23401-ইরাকিদের_মসুল_অভিযান_চলছে_মার্কিন_ষড়যন্ত্রের_আশঙ্কা_অনেকের
ইরাকের মসুল উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান চলছে। উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের কবল থেকে মসুলের দক্ষিণাঞ্চল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ইরাকি সেনাবাহিনী।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
অক্টোবর ১৯, ২০১৬ ১৮:৪২ Asia/Dhaka
  • ইরাকিদের মসুল অভিযান চলছে: মার্কিন ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা অনেকের

ইরাকের মসুল উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান চলছে। উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের কবল থেকে মসুলের দক্ষিণাঞ্চল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ইরাকি সেনাবাহিনী।

এ ব্যাপারে ইরাক সরকারের মুখপাত্র আসাদ আল হাদিসে বলেছেন, সামরিক অভিযান চালিয়ে যতদ্রুত সম্ভব পুরো মসুল শহর দায়েশের কাছ  থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। গত ১৭ অক্টোবর ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে মসুল উদ্ধার অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন। এর আগেও ইরাকের সেনাবাহিনী হাশত আল শাআবি ও কুর্দি পিশমার্গা স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর সহযোগিতায় দায়েশের দখলে থাকা অন্যান্য প্রদেশ মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ইরাকের কর্মকর্তারা সেদেশের মাটি থেকে তাকফিরি দায়েশ সন্ত্রাসীদের চিরতরে নির্মূল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

এদিকে, ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, মসুল উদ্ধার অভিযান মাসের পর মাস চলতে পারে। তার এ বক্তব্য থেকে পর্দার আড়ালে তাদের ভিন্ন লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, মসুল উদ্ধার অভিযান যদি দীর্ঘায়িত হয় এবং মার্কিন নেতৃত্বে দায়েশ বিরোধী কথিত জোটের ষড়যন্ত্র যদি বহাল থাকে তাহলে সন্ত্রাসীরা ইরাকের অন্য স্থানে এমনকি সিরিয়ায়ও পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। এ ছাড়া, মসুল উদ্ধার অভিযান প্রলম্বিত হলে দায়েশ সন্ত্রাসীরা নতুন করে আরো বেশি সংগঠিত হতে পারবে। অন্যদিকে মসুলে সন্ত্রাসীদের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য পাশ্চাত্যের সরকারগুলোও ইরাক সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করার সুযোগ পাবে।

বলা হচ্ছে, মার্কিন নেতৃত্বে দায়েশ বিরোধী কথিত জোট উত্তর ইরাক থেকে সিরিয়াগামী সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছে যাতে সন্ত্রাসীরা ওই পথ দিয়ে সিরিয়ায় পালিয়ে যেতে না পারে। কিন্তু দায়েশ সন্ত্রাসীদেরকে মসুল থেকে সরিয়ে সিরিয়ায় মোতায়েন করার ব্যাপারে আমেরিকা ও সৌদি আরবের মধ্যে গোপন চুক্তি হয়েছে বলে অন্য খবরে জানা গেছে।

আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ইরাকের বিরুদ্ধে আমেরিকা গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্য একটি পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। ওই পরিকল্পনায় ধর্ম ও জাতি ভিত্তিতে ইরাকের নেইনাভা প্রদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার  কথা বলা হয়েছে। এর আগেও সন্ত্রাসীদের দমন করার কথা বলে ইরাকে মার্কিন সেনা উপস্থিতি বজায় রাখার পাশাপাশি সেদেশকে ভেঙ্গে তিন টুকরা করার পরিকল্পনা  ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। এ সব ঘটনা থেকে ইরাকের ব্যাপারে মার্কিন যেকোনো তৎপরতা সন্দেহের সৃষ্টি করে। ষড়যন্ত্র চলছে তুরস্কের পক্ষ থেকেও। 

যাইহোক বিশ্লেষকরা বলছেন, দায়েশের সমর্থক রাজতন্ত্র শাসিত কয়েকটি আরব দেশ ও পাশ্চাত্যের নানামুখী ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে ইরাকিদেরকে আরো বেশি সতর্ক থাকা জরুরি। এ কারণে ইরাকের কর্মকর্তারা সম্পূর্ণ নিজস্ব শক্তি সামর্থ্যের ওপর ভর করে দায়েশের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে নেমেছেন। এ পরিস্থিতিতে ইরাকিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দায়েশের কবল থেকে দ্রুত মসুল উদ্ধার করতে এবং সন্ত্রাসীদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।#            

পার্সটুডে/মোঃ রেজওয়ান হোসেন/১৯