কথাবার্তা: রুশ তরুণী দিয়ে ভিআইপিদের ব্লাকমেইল করতেন পাপিয়া
-
পত্রপত্রিকার পাতার গুরুত্বপূর্ণ খবরের বিশ্লেষণ
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসাবিষয়ক প্রতিবেদন আদালতে পৌঁছেছে-দৈনিক প্রথম আলো
- ২০৪১ সালে ৯.৯% প্রবৃদ্ধির টার্গেট-দৈনিক ইত্তেফাক
- বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বাতাস বাংলাদেশে, শহরের দিক দিয়ে ঢাকা ২১তম-দৈনিক মানবজমিন
- ১২ রুশ তরুণী দিয়ে ভিআইপিদের ব্লাকমেইল করতেন পাপিয়া -দৈনিক যুগান্তর
- করোনাভাইরাস; স্যান ফ্রান্সিসকোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা-বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- পুলিশ ব্যর্থ, অবিলম্বে দিল্লিতে সেনা নামানোর আর্জি কেজরিওয়াল-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- বিহার বিধানসভায় এনআরসিবিরোধী প্রস্তাব পাস-দৈনিক আজকাল-দৈনিক আজকাল
- দিল্লির হিংসায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসারে অজিত দোভাল-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
পাঠক/শ্রোতা! এবারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাব।
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১) পিকে হালদারসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ বহাল রেখেছে আদালত।কীভাবে দেখছেন আদালতের এ আদেশকে?
২) করোনাভাইরাসকে মোক্ষম সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে শক্ররা- এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি। তার এ অভিযোগ সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া সম্পর্কিত নানা খবর আজও দৈনিকগুলোতে বিশেষ গুরুত্বসহ পরিবেশিত হয়েছে। এ সম্পর্কে দৈনিক যুগান্তরের শিরোনাম এরকম যে, ১২ রুশ তরুণী দিয়ে ভিআইপিদের ব্লাকমেইল করতেন পাপিয়া
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, ভিআইপিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতে ১২ রুশ তরুণীকে ব্যবহার করতেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিন তিনি এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।পাপিয়াকে উদ্ধৃত করে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশেষ ক্যামেরা দিয়ে ভিআইপিদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখা হত। পরবর্তী সময়ে সেই ফুটেজ ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে আদায় করা হত মোটা অংকের টাকা।এসব কাজে স্বামী সুমন চৌধুরী পাপিয়াকে সহায়তা করতেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।বিমানবন্দর থানায় মঙ্গলবার দিনভর এই দম্পতিকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় ঘনিষ্ঠ অনেক ভিআইপির নামও প্রকাশ করেছেন এই দম্পতি। আর এসব তথ্য পেয়ে বিব্রত হচ্ছেন তারা।
এদিকে রাজনীতির আড়ালে বাংলাদেশে প্রথম অনলাইনভিত্তিক যৌন ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম ‘এসকর্ট’ গড়ে তোলেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াই। এই প্ল্যাটফর্ম থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সুন্দরী তরুণী সরবরাহ করা হত। কয়েক বছর আগে ‘এসকর্ট’টি গড়ে তোলা হলেও এরই মধ্যে তা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে বিভাগীয় শহরেও।
যৌন ব্যবসার অনলাইনভিত্তিক সাইট ‘এসকর্ট’ এখনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় রয়েছে। রিমান্ডের প্রথম দিনেই জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছেন সদ্য বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়া।
কারা তাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন, বিভিন্ন কমিটিতে বড় পদ পাইয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছেন এবং কারাই বা তার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন- সব তথ্যই এখন তদন্ত কর্মকর্তাদের হাতে।
জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার নাম বলেছেন, যাদের সঙ্গে তার ‘বিশেষ সম্পর্ক’ রয়েছে। মূলত এসব নেতাই পাপিয়ার উপরে ওঠার সিঁড়ি হিসেবে কাজ করেছেন। ক্ষমতাসীন দলের সাবেক একজন এমপির সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন পাপিয়া।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাপিয়ার অর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দৈনিকটির আরও কয়েকটি খবরে শিরোনারম এরকম যে,পাপিয়াকে যুব লীগের পদ দেন অপু উকিল। অশ্লীল ভিডিওতে ঠাসা পাপিয়ার মোবাইল ফোন।যাদের প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন পাপিয়া।
২০৪১ সালে ৯.৯% প্রবৃদ্ধির টার্গেট-দৈনিক ইত্তেফাক

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়তে ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। দারিদ্র্য নির্মূল করা, মাথাপিছু আয় সাড়ে ১২ হাজার ডলারে উন্নীত করা, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত করাসহ ভবিষ্যত্ বিশ্বব্যবস্থায় শিল্পায়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এ পরিকল্পনায়।
গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। ২০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনটি তৈরি করেছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। চারটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এর বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা থাকবে।
বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বাতাস বাংলাদেশে, শহরের দিক দিয়ে ঢাকা ২১তম-দৈনিক মানবজমিন

বিশ্বের মধ্যে বাতাসের গুনগত মান সবচেয়ে খারাপ বাংলাদেশে। আরো একবার এই খেতাব অর্জন করেছে এ দেশ। আর তুলনামুলক পরিষ্কার, স্বাস্থ্য উপযোগী বাতাস রয়েছে কানাডায়। বায়ু দূষণকে ‘নীরব ঘাতক’ আখ্যায়িত করে প্রকাশিত নতুন এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। ‘২০১৯ ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্টে’ আরো বলা হয়েছে, গত বছর বিশ্বে বায়ুর গুণগত মান খারাপ ছিল বাংলাদেশে। আর সবচেয়ে দূষণের শহরের দিক দিয়ে ঢাকার অবস্থান ২১তম। রাজধানী শহরের হিসেবে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। ওই রিপোর্টে বাতাসের গুণগত মানের দিক থেকে সবচেয়ে খারাপ দেশের পর্যায়ক্রমে রয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও মঙ্গোলিয়া।
এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি
পুলিশ ব্যর্থ, অবিলম্বে দিল্লিতে সেনা নামানোর আর্জি কেজরিওয়ালের-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ পুলিশ। দিল্লিতে তাই ফের সেনা নামানোর পক্ষে দাবি জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তিনি চিঠি লিখেছেন বলেও জানিয়েছেন । এর আগে, মঙ্গলবারও দিল্লিতে সেনা নামানোর পক্ষে কথা বলেছিলেন কেজরীওয়াল। তবে কেন্দ্রের তরফে আরও পুলিশ বাহিনী নামানো হবে বলে সেসময় আশ্বাস দেওয়া হয়। এদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে সবমিলিয়ে ৪৫ কোম্পানি আধাসেনা নামানো হয়।
বুধবার সকালে দিল্লিতে মৃত্যুসংখ্যা ২০ ছুঁয়েছে। আহত দেড় শতাধিকের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। রাজধানীর পরিস্থিতি নিয়ে টুইটারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেজরীওয়াল। তিনি লেখেন, ‘‘রাতভর অনেকে মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি পুলিশ। মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফেরানো যায়নি। এ বার সেনা নামানো উচিত। উচিত ক্ষতিগ্রস্ত সব জায়গায় অবিলম্বে কার্ফু জারি করা। এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি আমি।’’
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে গত রোববার তেতে ওঠে উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তার পর থেকে গত তিন দিনে বিভিন্ন এলাকায় হিংসা ছড়িয়েছে।
দৈনিকটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, দিল্লিতে মধ্যরাতে কেজরিওয়ালের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে জনতা।
দৈনিক আজকালের শিরোনাম- মধ্যরাতে বসল দিল্লি হাইকোর্ট, রাজধানীর অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে মানুষকে নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ পুলিশকে
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, দিল্লির পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে পাল্টে যাচ্ছে। ফলে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে মধ্যরাতে দিল্লি হাইকোর্টে বসল বিচারসভা। দিল্লি পুলিশকে সেখানে তলব করা হয়েছিল বলেই খবর। আর মধ্যরাতে দিল্লি হাইকোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দিল নিরাপদ পথ তৈরি করতে। একইসঙ্গে জরুরী চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে যাঁরা আহত হয়েছেন।
দিল্লি হাইকোর্টের মধ্যরাতের শুনানিই বলে দিচ্ছে পরিস্থিতি কতটা জটিল হয়ে পড়েছে। তবে এই বিচারপর্ব বসেছিল বিচারপতি এস মুরলিধরের বাসভবনে। সেখানে হাজির ছিলেন বিচারপতি অনুপ জে ভামভানি। সেখানেই পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় রাজধানীর সর্বত্র পুলিশ মোতায়েন করতে। এমনকী যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের সম্পর্কে রিপোর্ট দিতেও বলা হয়েছে।
দিল্লির হিংসায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে অজিত দোভাল-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
এ খবরে লেখা হয়েছে, দিল্লি সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল এবং খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই আসরে নেমেছিলেন। এবার দিল্লির হিংসা রুখতে আসরে নামলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে রাতেই দিল্লি পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।দেখা করেন উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে। বুধবার সকালে উত্তরপূর্ব দিল্লির বিস্তির্ণ অঞ্চল সরেজমনিতে ঘুরে দেখেন তিনি।
দিল্লি পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, দিল্লির পরিস্থিতি একপ্রকার নিয়ন্ত্রণে। তাছাড়া সেনা নামানোর সম্ভাবনাও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে খুলে দেওয়া হয়েছে মেট্রো স্টেশনগুলি। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যায় দাবি করুক, পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বুধবার সকালেও ঘটেছে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা। উন্মত্ত জনতার রোষ থেকে বাদ যাচ্ছে না সমাজের কোনও অংশের মানুষই।
বিহার বিধানসভায় এনআরসিবিরোধী প্রস্তাব পাস-দৈনিক আজকাল
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, শরিক বিজেপির তোয়াক্কা না করেই বিহার বিধানসভায় এনআরসি বিরোধী প্রস্তাব পাস করালেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস হয়ে গেল এনআরসি বিরোধী প্রস্তাব। পাশাপাশি বিহারের বিধানসভায় আরও একটি প্রস্তাব পাশ করানো হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, বিহারে এনপিআর কার্যকর করা হবে। কিন্তু মোদি সরকারের নিয়ে আসা নতুন ফরম্যাটে নয়। মনমোহন সিংয়ের আমলে ঠিক যে ফরম্যাটে এনপিআর করা হয়েছিল, সেই ফরম্যাটে। মজার কথা হল, এনআরসি বিরোধী প্রস্তাবে বিরোধিতা করেনি বিজেপিও।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, দিল্লি নির্বাচনের পর বেশ চাপে আছেন নীতীশ কুমার। বিহারের সংখ্যালঘু ভোট যাতে পুরোপুরি আরজেডি–কংগ্রেসের হাতে চলে না যায়, সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছেন তিনি। বিধানসভায় এনআরসি বিরোধী প্রস্তাব পাশ বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ বিজেপি জোট আদৌ থাকবে কিনা, এবার তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৬