কথাবার্তা: পাপিয়া কাণ্ড-সাবেক নারী সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১ মার্চ রোববারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- ৮২ কোটি টাকার বই বিক্রি শেষ হলো একুশে গ্রন্থমেলা-দৈনিক ইত্তেফাক
- ৩০৫ দিনে ঝরল ২৬০৫ প্রাণ: রাজশাহী ও নেত্রকোনায় সড়কে নিহত ১ বিভিন্ন স্থানে আরও ১৬ জনের মৃত্যু-দৈনিক যুগান্তর
- পাপিয়া কাণ্ডে সাবেক নারী সংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ-দৈনিক প্রথম আলো
- বিদ্যুৎ ও পানির সামান্য মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণের ভোগান্তি হবে না-দৈনিক মানবজমিন
- গ্রিসে যাওয়ার পথে নিখোঁজ এনামুলের মৃতদেহ দেশে পৌঁছেছে-বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম
- CAA বিরোধী আন্দোলনে রবিবারও উত্তপ্ত মেঘালয়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ -দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
- অমিতকে কালো পতাকা, শহরে বাম-কংগ্রেসের বিক্ষোভ-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- অমিত শাহ শহরে পৌঁছতেই শুরু বিক্ষোভ, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, প্রতিবাদ মিছিল -দৈনিক আজকাল
পাঠক/শ্রোতা ! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমেই বাংলাদেশের কয়েকটি খবরের দিকে নজর দেব।
বিদ্যুতের দাম নিয়ে কাদের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা ফখরুলের-দৈনিক যুগান্তর

দৈনিকটির প্রধান শিরোনামের এ খবরে লেখা হয়েছে, ‘বিদ্যুৎ-পানির সামান্য মূল্যাবৃদ্ধিতে জনগণের ভোগান্তি হবে না’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তারা এমন পর্যায়ে চলে গেছেন যে, তাদের লোকজনদের ঘর থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। তাদের এখন সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, ব্যথা-বেদনা ও কষ্ট বোঝার শক্তিও নেই।রোববার দুপুরে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা এখন তাদের কাছে কোনো বিষয়ই নয়।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনায় তিনি বলেন, আমরা বহুবার বলেছি– এ দলটি এখন ব্যাংকক্রাফট হয়ে গেছে। তারা মানুষের কষ্টটা বুঝতে পারেন না। আজকে যেটাকে উনি সামান্য বলছেন, এটা যে একজন সাধারণ মানুষের জন্য কত অসামান্য সেটা বোঝার শক্তিও তার নেই। কারণ তারা এখন এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে, যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা তাদের লোকজনের ঘরের মধ্যে পাওয়া যায়। তারা তো বুঝবেন না মানুষের কষ্ট।
বিদ্যুৎ ও পানির সামান্য মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণের ভোগান্তি হবে না-দৈনিক মানবজমিন

বিদ্যুৎ ও পানির সামান্য মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণের ভোগান্তি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পানি ও বিদ্যুতের সামান্য মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণের ভোগান্তি হবে না। উৎপাদনের খরচ সমন্বয়ের জন্য পানির দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। গতকাল ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তি দেখিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতেই কিছুটা দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকার বিদ্যুতে যেমন ভর্তুকি দিচ্ছে, পানিতেও সেরকম ভর্তুকি দেয়া লাগছে। তবে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে কৃষকের ভর্তুকি খুব কম ধরা হয়েছে। মুজিববর্ষে আমরা শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই।
দৈনিক মানবজমিনের অন্য একটি খবরের শিরোনাম একরম যে, চিঁড়েচ্যাপ্টা মধ্যবিত্ত
বিস্তারিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, রাজধানীর ফার্মগেটের রাজাবাজার এলাকায় এক কক্ষের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন। ব্যবসা থেকে যা আয় হয় তার একটি অংশ দিয়ে নিজের খরচ মেটান। কিছু টাকা বাড়ি পাঠান পরিবারের জন্য। জামাল বলেন, বছরের শুরুতে একবার বাসা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এখন বিদ্যুৎ এবং পানির দাম বাড়ায় আবার ভাড়া বাড়ানোর নোটিশ দিয়েছে বাড়িওয়ালা। এমনিতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এভাবে সব বাড়তে থাকলে নিজের আয়ে নিজেই চলতে পারব না। পরিবারকে দেখাশোনা করবো কীভাবে? শুধু জামাল উদ্দিনই নন, এমন ত্রাহি অবস্থায় রাজধানীর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
রাত পোহালেই ব্যয় বাড়ে। চাল-পিয়াজের বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এমন অবস্থায় গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির দাম বাড়ছে দফায় দফায়। সব মিলিয়ে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের টালি মিলাতে পারছেন না অনেক মানুষ। এতে সাধারণ মানুষের অনেককে ব্যয় কমাতে হচ্ছে। কমাতে হচ্ছে অতি প্রয়োজনীয় চাহিদাও।
রাজধানীর পল্লবীতে দুই সন্তান নিয়ে থাকেন মাহফুজুর রহমান। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মাসে ৩৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন। দুই বেড় রুমের বাসা ভাড়া দেন ১২ হাজার টাকা। বাকি টাকায় দুই সন্তানের স্কুলের খচর, মাসের বাজার এবং নিজের মতিঝিলের অফিসে যাতায়াতের খরচ মেটাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা। এই চাকরিজীবী বলেন, এখন যেভাবে চলছি এটা জীবন না। দুই বছর ধরে অফিস কোন বেতন বাড়ায়নি। বলছে ব্যবসার অবস্থা ভাল না। কিন্তু দুই বছরে দুইবার বাসা ভাড়া বেড়েছে। গ্যাসের দাম, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। এবার পানির দামও বাড়লো। চাল, ডাল, পিয়াজসহ নিত্য পন্যের দাম বেড়েই চলছে। বছর শেষে ছেলে-মেয়ের স্কুল থেকে বেতন বাড়ানোর নোটিশ আসে। এতো বৃদ্ধির মধ্যে বেঁচে থাকাই দায়।
পরিস্থিতি আরও জটিল পান্থপথ সিগন্যালে চা বিক্রেতা সবুজের জন্য। তিনি বলেন, বউ বাচ্চা নিয়ে একটি বস্তিতে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে থাকি। আমরা যারা ছোট ব্যবসা করি তাদের সমস্যা আরো বেশি। আমাদের বেশিরভাগ কাস্টমার রিকশাওয়ালা ও ছোটখাট চাকরিজীবী। পকেটে টাকা না থাকলে তারা কি দোকানে চা খেতে আসবে। পেয়াজ খাওয়াতো ছেড়েছি সেই কবেই। মাছ-মাংস ১৫ দিনে একবার খাওয়া হয়। যেভাবে সব কিছুর দাম বাড়ছে তাতে টিকে থাকাই কষ্টকর।
আয়-ব্যায়ের জটিল এই পরিস্থিতির মধ্যেই পানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে চাপে পড়বেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি মানবজমিনকে বলেন, এটার বিরূপ প্রভাবে সব কিছুর দাম বাড়বে। এটাতো নতুন কিছু না। বিদ্যুৎ যে সকল স্থানে ব্যবহৃত হয় সে সকল স্থানে পণ্যের দাম, বাসা ভাড়া, জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়বে। বিদ্যুতের জন্য একদিকে যেমন বেশি বিল দিতে হবে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ থেকে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়বে। যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে না তাদেরকেও বাড়তি দামে জিনিসপত্র কিনতে হবে। এগুলো হঠাৎ করে হয়নি। আর এটা শুধু নিম্ন আয়ের বা নিন্মমধ্যবিত্তদের জন্য না উদ্যোক্তাদের জন্যও সমস্যা হবে। উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। ফলে তাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমবে। সরকারের বিদ্যুৎ খাত যে নকশা বা পরিকল্পনা দিয়ে চলছে সে নকশার অনিবার্য পরিণতি হচ্ছে এটা। এবং এটি এখানেই থামবে না। আরো বাড়বে। এবং বিদ্যুতের সঙ্গে দেশি বিদেশি অনেক ব্যবসায়ী জড়িত। তাদের মুনাফা বাড়ানোর জন্য এটি দরকার। পানির ক্ষেত্রেও তাই। দেশি বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যুক্ত হচ্ছে পানির সঙ্গে। তাদের মুনাফা বাড়াতেও এটি দরকার।
দেশব্যাপী আলোচিত পাপিয়াকে নিয়ে আজকের নতুন খবর হচ্ছে,

পাপিয়া কাণ্ডে সাবেক নারী সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ-দৈনিক প্রথম আলো
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, রাজনীতিতে শামীমা নূর পাপিয়ার উত্থান এবং তাকে আশ্রয় –প্রশ্রয় দেয়ার পেছনে নরসিংদী ও ঢাকার বর্তমান এবং সাবেক তিন সাংসদের নাম এসেছে। তাদের মধ্যে ঢাকার সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সাংসদ সাবিনা আক্তার তুহিনের সঙ্গে পাপিয়ার ঘনিষ্ঠতার কথা যুব মহিলা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা প্রকাশ্যেই বলছেন। পাপিয়ার অপরাধজগৎ সম্পর্কে জানতে সাবেক এই নারী সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।
সড়কে মৃত্যুর মিছিল দিনে দিনে বাড়ছে । এসম্পর্কে দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদনের শিরোনার এরকম , ৩০৫ দিনে ঝরল ২৬০৫ প্রাণ: রাজশাহী ও নেত্রকোনায় সড়কে নিহত ১২,বিভিন্ন স্থানে আরও ১৬ জনের মৃত্যু

বিস্তারিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, নিকটাত্মীয়দের নিয়ে বন্ধুর বিয়ের দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান রাজিব। পথে তাদের বহনকারী প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে রাজিবসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজন একই পরিবারের। শনিবার দুপুরে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার কাদিপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এ প্রাণহানির খবরে স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে শিক্ষার্থীবাহী একটি পিকআপ ভ্যানে বাসের ধাক্কায় অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। একই দিন এবং শুক্রবার রাতে কুমিল্লা, মাগুরা, রংপুর, মানিকগঞ্জ, হবিগঞ্জ, দিনাজপুরসহ ১৩ জেলায় আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সড়কে ৩০৫ দিনে সড়কে প্রাণ হারালেন ২৬০৫ জন।
গ্রিসে যাওয়ার পথে নিখোঁজ এনামুলের মৃতদেহ দেশে পৌঁছেছে-বাংলাদেশ প্রতিদিন
থেকে গ্রিস যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়া সিলেটের এনামুলের মৃতদেহ বাংলাদেশে পৌঁছেছে। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শনিবার বিকালে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তার লাশ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে এনামুলের মৃতদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন নাজমুল হোসেন জাগীরদার, রেদওয়ানুর রহমান।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর নিবাসী, আহমদ জায়গীরদারের দ্বিতীয় ছেলে এনামুল এহসান জায়গীরদার ফয়ছল (বোয়ালজুড় বাজারের সাবেক ব্যবসায়ী) তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়ার পথে মারা যান। এ খবর বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ফয়সালের সাথে থাকা নিকটআত্মীয় ফয়েজ বলেন, তারা তুরস্ক বর্ডার অতিক্রম করে গ্রীস বর্ডারে প্রবেশ করলে বরফের মধ্যে ফয়ছল অজ্ঞান হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তার জ্ঞান ফিরে আসে এবং খাবার চায় তার পরে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তারা দালালের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এনামুলের মৃতদেহের বেশ কয়েকটি ছবি তুলেন। দালাল তাদেরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে লাশটি ফেলে দিয়ে তাদেরকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে আসে।
ইউরো বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাইজুল ইসলাম ফয়েজ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর ড. সৈয়দা ফারহানা নূর চৌধুরী অবগত করেন। দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন এনডিসি গ্রীস প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে রীতিমত যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় গ্রীস প্রশাসন সর্বাত্মক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আলেকজান্ডার পলি বর্ডার এরিয়া থেকে হেলিকপ্টারযোগে এনামুলের মৃতদেহ উদ্ধার করে আলেকজান্ডার পলি নামক হসপিটালে হস্তান্তর করে। পরে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মৃতদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
৮২ কোটি টাকার বই বিক্রি-শেষ হলো একুশে গ্রন্থমেলা-দৈনিক ইত্তেফাক
বাংলা একাডেমির হিসাবে বইমেলায় বিক্রির রেকর্ড দেখানো হলেও হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানই এবার বইমেলায় গত বছরের তুলনায় কম বলে জানিয়েছে। বাংলা একাডেমি জানাচ্ছে, রেকর্ড পরিমাণ বই বিক্রি হয়েছে এবারের বইমেলায়।
সুন্দর ছিমছাম পাঠকবান্ধব বইমেলা আয়োজনের কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছে তারা। এ বছর বাংলা একাডেমির হিসাবে বই বিক্রি হয়েছে ৮২ কোটি টাকা। গত বছর মেলায় ৩০ দিনে ৮০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। ২০১৮ সালের মেলায় বই বিক্রি হয়েছিল ৭০ কোটি টাকার। ২০১৭ সালে বিক্রি হয়েছিল ৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ২০১৬ সালে ৪২ কোটি, ২০১৫ সালে বই বিক্রি হয়েছিল প্রায় ২২ কোটি টাকা। আর ২০১৪ সালে মাস জুড়ে বই বিক্রি হয়েছিল মাত্র সাড়ে ১৬ কোটি টাকা।
আর নতুন বই প্রকাশের ক্ষেত্রে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার নতুন বই এসেছে ৪ হাজার ৯১৯টি। তবে এ হিসাব বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্রে জমা পড়া বইয়ের। এর বাইরেও মেলায় নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর, বাংলা একাডেমির বিচারে মানসম্পন্ন বইয়ের সংখ্যা ৭৫১টি।
এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি

দিল্লির ভয়াবহ সহিংসতা ও হতাহত নিয়ে গোড়া ভারত জুড়ে এখনও ছলছে আলোচনা ও সমালোচনা। কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে চলছে কেবলই সমালোচনা। সেই অবস্থায় তিনি পশ্চিমবঙ্গ সফরে এলেন। এ সম্পর্কে দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার শিরোনাম এরকম, অমিতকে কালো পতাকা, শহরে বাম-কংগ্রেসের বিক্ষোভ।
আর দৈনিক আজকালের শিরোনাম হচ্ছে-অমিত শাহ শহরে পৌঁছতেই শুরু বিক্ষোভ, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, প্রতিবাদ মিছিল।বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে হয়েছে, আজ
সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতায় পৌঁছতেই শুরু হয়ে যায় বিরোধীদের বিক্ষোভ। বিমানবন্দর এক নম্বর গেট, পার্ক সার্কাস, এন্টালি, কৈখালি, শ্যামবাজার সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় চলছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিক্ষোভ–প্রতিবাদ। বিমানবন্দর এক নম্বর গেটে অমিত শাহকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। গড়িয়াহাট মোড়ে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বামেরা। কলকাতা এবং সংলগ্ন অঞ্চলের ৯টি জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় বামেরা।
CAA নিয়ে বার্তা দিতে কলকাতায় অমিত শাহ, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ বাম-কংগ্রেসের দৈনিক আজকাল
সেই চড়া সুর, উদ্ধত ভঙ্গি উধাও। রোববার রাজারহাটে এনএসজি–র ২৯ স্পেশাল কম্পোজিট গ্রুপ কমপ্লেক্সের উদ্বোধনে যেন এক অন্য চেহারার অমিত শাহকে দেখল কলকাতা। কমপ্লেক্স উদ্বোধনের পর উদ্ধত কণ্ঠে নয়, প্রায় বসে যাওয়া গলায় অমিত এদিন বললেন, ‘যাদের মনে দেশকে ভাঙার বা দেশের ক্ষতি করার ইচ্ছা আছে, তারা এনএসজি–র উপস্থিতিকে ভয় পায়। তারপরও তারা এলে এনএসজি–র দায়িত্ব যুদ্ধে তাদের হারানো। আমরা শান্তি বিঘ্নিত হতে দেব না। আমরা সারা বিশ্বে শান্তি চাই।
১০০০০ বছরের ইতিহাসে ভারত কখনও কাউকে আক্রমণ করেনি।’ শান্ত স্বরে হলেও এভাবেই জঙ্গিদের সঙ্গেই নাম না করে সরকার বিরোধীদেরও প্রচ্ছন্নে হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
CAA বিরোধী আন্দোলনে রবিবারও উত্তপ্ত মেঘালয়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

সিএএ বিরোধী আন্দোলনে রবিবারও উত্তপ্ত মেঘালয়, মৃতের সংখ্যা মেঘালয়ে অশান্তি অব্যাহত। খাসি ছাত্র সংগঠন ও অ-জনজাতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে মৃত বেড়ে তিন। জখমের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬। গত ৪৮ ঘণ্টার অশান্তিতে উত্তর-পূর্বে এই রাজ্যে ভিন রাজ্য থেকে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন বলে খবর। প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকে মেঘালয়ে খাসি ছাত্র সংগঠন ও অ-জনজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।ড়ে ৩রোধীদের বিক্ষোভ। বিমানবন্দর এক নম্বর গেট, পার্ক সার্কাস, এন্টালি, কৈখালি, শ্যামবাজার সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় চলছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিক্ষোভ–প্রতিবাদ। বিমানবন্দর এক নম্বর গেটে অমিত শাহকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১