কথাবার্তা: করোনা, বন্ধ সব তবে কেন বন্ধ হচ্ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান?
-
পত্রপত্রিকার পাতার গুরুত্বপূর্ণ খবর
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি মুজাহিদুল ইসলাম। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১৫ মার্চ রোববারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- এ মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ ভাইরাস প্রতিরোধ-দৈনিক প্রথম আলো
- নতুন ২ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত-দৈনিক ইত্তেফাক
- ফের করোনা আতঙ্ক , শেয়ার বাজারে বড় ধস-দৈনিক মানবজমিন
- শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলার কারিগর -আমু -দৈনিক যুগান্তর
- কুড়িগ্রামের ডিস প্রত্যাহারে, বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্ত-দৈনিক সমকাল
-
দেশে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২৩১৪জন -বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- করোনা-ভিক্টোরিয়া, জাদুঘর, সায়েন্স সিটি বন্ধ, আতঙ্ক বিয়ের অনুষ্ঠানেও-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭, উদ্বেগ প্রশাসনে-দৈনিক আজকাল
- করোনা আক্রান্ত ইতালি , ইরান থেকে ফেরত আনা হলো ভারতীয়দের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
পাঠক/শ্রোতা ! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমেই বাংলাদেশের কয়েকটি খবরের দিকে নজর দেব।

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত খবরই বিশেষ গুরুত্বসহ পরিবেশিত হয়েছে বাংলাদেশ ভারতসহসহ বিশ্বমিডিয়ায়।
এ সম্পর্কে দৈনিক মানবজমিনের একটি খবরের শিরোনাম-কেন বন্ধ হচ্ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান? এখবরে লেখা হয়েছে, প্রাণঘাতি নভেল করোনা ভাইরাস দাপট দেখাচ্ছে সারা বিশ্বজুড়ে। ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্তের সংখ্যাও লাখ লাখ। বিশ্বজুড়ে এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের যোগাযোগ এখন বিচ্ছিন্ন প্রায়।এ অবস্থায় বাংলাদেশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সতর্কতা অবলম্বনের অংশ হিসেবে গণজমায়েতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সরকারের তরফে ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান স্থগিত করে ঘরোয়াভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানও স্থগিত করেছে সরকার। এত এত সতর্ক অবস্থানে থাকলেও কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও বন্ধ হয়ে গেছে সব শিক্ষ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রথম দফায় ৩ জন ও দ্বিতীয় দফায় ২ করোনা আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেও স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী একাধিক বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা আইইডিসিআর-এর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।
কিন্তু ফ্লাইট বাতিলসহ সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে কেন সিদ্ধান্ত হয়নি সে ব্যাখ্যা সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা হয়নি। এদিকে স্কুল কলেজ বন্ধ না হওয়ায় অনেক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, গণজমায়েত বন্ধ করা হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তো জমায়েত হয়। শিক্ষার্থীরা এক কক্ষের মধ্যে ৬০ জনের বেশি একসঙ্গে ক্লাস করে। এ অবস্থায় তো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশিই থাকে। তাহলে কেন স্কুল বন্ধ হচ্ছে না?

দৈনিক ইত্তেফাক পশ্চিমা একটি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেছে। এতে লেখা হয়েছে,করোনা ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এখন বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই ভাইরাস মোকাবেলায় লড়ে যাচ্ছে মানুষ।
তবে অধিকাংশ মানুষের জন্যই এই রোগটি ভয়াবহ নয়, কিন্তু এতে আবার অনেকেই মারা যায়। ভাইরাসটি কীভাবে দেহে আক্রমণ করে, কেন করে, কেনই বা কিছু মানুষ এই রোগে মারা যায়, তা নিয়ে রয়েছে বিস্তর প্রশ্ন। আর এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
‘ইনকিউবেশন’ বা প্রাথমিক লালনকাল : এই সময়ে ভাইরাসটি নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করে। শরীর গঠন করা কোষগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এরপর শুরু হয় তার কাজ।করোনা ভাইরাস নিশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে। যেটা আশপাশে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে, ভাইরাস সংক্রমিত কোনো জায়গায় হাত দেওয়ার পর তা মুখে দিলে দেহে প্রবেশ করতে পারে।শুরুতে গলা, শ্বাসনালী এবং ফুসফুসের কোষে আঘাত করে। পরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং আরো কোষকে আক্রান্ত করে।এই শুরুর সময়টাতে আপনি অসুস্থ হবেন না। এছাড়া কিছু মানুষের মধ্যে হয়তো উপসর্গও দেখা দেবে না।
নিরীহ রোগ : ১০ জনের মধ্যে আটজনের জন্যই কোভিড-১৯ একটি নিরীহ রোগ। যার প্রধান উপসর্গ কাশি ও জ্বর। শরীরে ব্যথা, গলা ব্যথা এবং মাথাব্যথাও হতে পারে। তবে এগুলো যে হবেই এমন কোনো কথা নেই।রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে শত্রুভাবাপন্ন একটি ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করে। এরপর বাকি শরীরে সাইটোকাইনস নামক কেমিক্যাল পাঠিয়ে বুঝিয়ে দেয় কিছু একটা ঠিক নেই। ফলে শরীরে ব্যথা ও জ্বরের মত উপসর্গ দেখা দেয়।প্রাথমিকভাবে করোনা ভাইরাসের কারণে শুষ্ক কাশি হয়। তবে একটা পর্যায়ে অনেকের কাশির সঙ্গে থুতু বা কফ বের হওয়া শুরু করে।যার মধ্যে ভাইরাসের প্রভাবে মৃত ফুসফুসের কোষগুলোও থাকবে।এই ধাপটি এক সপ্তাহের মত স্থায়ী হয়। অধিকাংশ মানুষই এই ধাপের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করে। কারণ ততদিনে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে সেটিকে প্রতিহত করে দেয়।
তবে কিছু কিছু মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ এর আরো ক্ষতিকর একটি সংস্করণ তৈরি হয়। এই রোগ সম্পর্কে নতুন গবেষণায় ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে যে, রোগটির এই ধাপে আক্রান্তদের সর্দিও লাগতে পারে।
ভয়াবহ ব্যাধি :এই ধাপের পর যদি রোগ অব্যাহত থাকে, তাহলে যেই কেমিক্যালগুলো শরীরে বার্তা পাঠাতে থাকে সেগুলোর প্রতিক্রিয়া তখন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রদাহ তৈরি করে।লন্ডনের কিংস কলেজের ডক্টর নাথালি ম্যাকডরমেট বলেন, ‘রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় ভাইরাসটি। ফলে শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় ফুলে যায়।’
অতি জটিল রোগ :এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে যে, প্রায় ৬ শতাংশ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ অতি জটিল পর্যায়ে যায়। এই ধাপে শরীর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে অক্ষম হয় এবং মৃত্যুর বড় ধরনের সম্ভাবনা তৈরি হয়।এই ধাপে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে এবং সারা শরীরেই বিভিন্ন রকম ক্ষয়ক্ষতি তৈরি করে।রক্তচাপ যখন মারাত্মকভাবে নেমে যায় তখন এই ধাপে সেপটিক শক পেতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি। এমনকি তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।শ্বাস-প্রশ্বাসে তীব্র সমস্যা হওয়ার উপসর্গ দেখা দেয় ফুসফুসে প্রদাহ ছড়িয়ে পড়লে, কারণ সেসময় শরীরকে টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট অক্সিজেন পুরো শরীরে প্রবাহিত হতে পারে না। ফলে কিডনি রক্ত পরিশোধন ছেড়ে দিতে পারে এবং অন্ত্রের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ভারতের চিকিৎসক পঙ্খানিয়া বলেন, ‘ভাইরাসটি এত বড় পরিসরে প্রদাহ তৈরি করে যে, শরীর পুরো ভেঙ্গে পড়ে। একসঙ্গে একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফেল করে।’তবে ক্ষতির মাত্রা বেশি হলে কখনো কখনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শরীরকে আর বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয় না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পরও অনেকসময় রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের উহান শহরের জিনইনতান হাসপাতালে মারা যাওয়া প্রথম দুজন আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যবান ছিলেন। যদিও তারা দুজনই দীর্ঘসময় ধরে ধূমপান করতেন।প্রথম যিনি মারা যান, তিনি ছিলেন ৬১ বছর বয়সী এক পুরুষ। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় তার তীব্র নিউমোনিয়া ছিল। তার শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা ছিল। ভেন্টিলেটরে রাখা হলেও তার ফুসফুস বিকল হয়ে যায় এবং হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালে ১১ দিন থাকার পর ঐ ব্যক্তি মারা যান।৬৯ বছর বয়সী দ্বিতীয় যে ব্যক্তি মারা যান তারও শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা ছিল।
করোনা সম্পর্কিত অন্যান্য খবর-করোনার টিকা আবিষ্কার করল যুক্তরাজ্য, শিগগিরিই মানবদেহে পরীক্ষাকরা হবে।ইউরোপ থেকে আসা সব ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ।সৌদি আরবের সব আন্তর্জিাতিক ফ্লাইট বাতিল। আরো সঙ্কটময়, ইউরোপ ইতালির পর স্পেন, ফ্যান্সও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। করোনা প্রতিরোধে ভারতে রোবট মোতায়েন।
ফের করোনা আতঙ্ক, শেয়ার বাজারে বড় ধস-দৈনিক মানবজমিনের এ খবরে লেখা হয়েছে,
করোনা আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না পুঁজিবাজারের। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের তীব্র পতনে লেনদেন চলছে। আজ লেনদেনের ১০ মিনিটের মধ্যে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ১৯৪ পয়েন্ট বা ৪.৭১ শতাংশ কমেছে। প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে গত সপ্তাহে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ৩ কর্মদিবসই ব্যাপক দরপতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। বাজারের তীব্র দরপতন থামাতে বাজার সংশ্লিষ্ট ও বিশ্লেষকরা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তবে গতকাল রাতে দেশে নতুন করে দু’জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় আবারও বড় পতনের মুখে পড়ল বাজার।
কুড়িগ্রামের ডিসি প্রত্যাহার-জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী-দৈনিক যুগান্তর/ইত্তেফাক/প্রথম আলো

গভীর রাতে বাসায় গিয়ে সাংবাদিককে আটকের পর ডিসি অফিসে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে কুড়িগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার দুপুরে এ কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এর আগে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে জামিন দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুজাউদ্দৌলা। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের কারণে তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে আমাদের বাড়ির গেটে ধাক্কাধাক্কির শব্দ শুরু হয়। আমরা জানতে চাই কারা ধাক্কাচ্ছে। এ সময় বলা হয়, দরজা খুলুন, না হয় ভেঙে ফেলা হবে। পরে তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে। ঢুকেই মারতে শুরু করে আরিফকে। কেন মারছেন জিজ্ঞাসা করতেই তারা আরিফকে বলে, ‘তুই অনেক জ্বালাচ্ছিস।’ মারতে মারতে তাকে নিয়ে যায়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে অনিয়মের সংবাদ পরিবেশন এবং ফেসবুকে দুর্নীতি সংক্রান্ত পোস্ট দেওয়ার কারণে উনি ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ’
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে ডিসি সুলতানা পারভীন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যদি ঐ ঘটনাই হতো, সেটা তো এক বছর আগের কথা। ঐটা যদি কোনো বিষয় হতো, তাহলে তো তখনই আমরা কোনো অ্যাকশনে যেতাম।’ তিনি বলেন, টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এদিকে গভীর রাতে সাংবাদিকের বাসায় টাস্কফোর্সের অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে মোবাইল কোর্ট সাজা দিতে পারে না। গাঁজা-মদ যদি ঘরে থেকেও থাকে, তবে তা নজরদারিতে রাখবে। এরপর যখন সময় হবে তখন তাকে মাদকসহ আটক করবে। আর এসব মাদকদ্রব্য যদি কেউ লুকিয়ে রাখে, তাহলে আমাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তার নিজস্ব আইনবলে পদক্ষেপ নেবে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে আরিফুল ইসলামকে মাদকবিরোধী অভিযানের কথা বলে আটক এবং পরে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের সময় মাদকসহ আরিফুল ইসলাম রিগানকে আটক করা হয় বলে দাবি করেন অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা।
এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি:

করোনা সম্পর্কে দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন ও আজকালের কভরে লেখা হয়েছে,ভারতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ১০৭ জনে পৌঁছেছে।করোনা বিপর্যয়ে চরম সঙ্কটে ভারত।প্রশাসন উদ্বিগ্ন। এ খবরে লেখা হয়েছে, যত সময় যাচ্ছে, ততই নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করছে নোভেল করোনা ভাইরাস। বিশ্বের ১২৩টি দেশ এই মুহূর্তে করোনা কবলিত। বেড়ে চলেছে মৃত্যুর আর আক্রান্তের সংখ্যাও। গোটা বিশ্বে দেড় লক্ষ আক্রান্তের মধ্যে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৫,৭০০জনেরও বেশি মানুষ। ভাইরাসের আঁতুরঘর বলে পরিচিত চিনের ইউহানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, এখন মাথাব্যথা ইটালি-সহ গোটা ইউরোপ নিয়ে। COVID-19-কে ‘বিশ্বব্যাপী মহামারি’ ঘোষণার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, চিন নয়, করোনার কেন্দ্রবিন্দু এখন ইউরোপই। তবে ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী।
ঘোষণা করেও পিছু হটল কেন্দ্র, করোনায় মৃতদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে না মোদি সরকার-দৈনিক আজকাল
মহান ঘোষণা তারপর সেখান থেকে আবার ফিরে আসা। করোনায় মৃতদের আত্মীয়কে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নরেন্দ্র মোদি সরকার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। ঘোষণায় বলা হয়েছিল, করোনাকে অবহিত বিপর্যয়। সংশ্লিষ্ট রোগে মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড বা রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া তহবিল থেকেই এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়। এমনকী যাঁরা করোনার চিকিৎসা কিংবা উদ্ধারকাজে যুক্ত, তাঁদের মৃত্যুতেও আর্থিক সাহায্যের কথা বলা হয়েছিল। ফলে এটা মহান ঘোষণা। এমনকী পূর্বের ঘোষণায় কোভিড–১৯ পজিটিভ ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি–সহ চিকিত্সায় সহযোগিতার উল্লেখ থাকলেও ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের উল্লেখ নেই। আবার করোনার চিকিত্সা খরচও কেন্দ্র আর দেবে না। কেন আর্থিক ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে তাও বলা হয়নি। সুতরাং মহান ঘোষণা করেও ব্যাক গিয়ার দিল কেন্দ্র।
করোনায় এখনও পর্যন্ত গোটা ভারতে ১০০ জন আক্রান্ত হলেও মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। একজন কর্নাটকে, অপরজন দিল্লিতে।কেন্দ্রের সর্বশেষ ঘোষণায় ক্ষতিপূরণের ওই কথা রাখা হয়নি বলে সূত্রের খবর।
প্রচারে শুধুই করোনা, বিপাকে বিরোধীরা-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

দিল্লির সংঘর্ষে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনা আপাতত পিছনের সারিতে। সিএএ-এনসিআর-এনপিআর বিরোধী আন্দোলন থেকেও প্রচারের আলো সরে গিয়েছে।
এমনকি তলানিতে ঠেকা বৃদ্ধির হার, চড়া বেকারত্ব সমেত দেশীয় অর্থনীতির যাবতীয় সমস্যার দায়ও এখন করোনাভাইরাসের ত্রাসের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে পারছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।
সব মিলিয়ে, বিশ্ব জুড়ে করোনার দাপট যে ভাবে একাই যাবতীয় প্রচার শুষে নিয়েছে, তাতে আক্ষরিক অর্থেই মাথায় হাত বিরোধীদের। কারণ, বিভিন্ন বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের যে সমস্ত ব্যর্থতা তাঁরা সামনে আনছিলেন, যে সব বিষয়ে দানা বাঁধছিল প্রতিরোধ, সেই সমস্তই এখন করোনার ত্রাসে পিছনে চলে গিয়েছে বলে আক্ষেপ করছেন তাঁরা।
এরই মধ্যে করোনা প্রতিরোধে সরকার যথেষ্ট সক্রিয় হয়নি বলে অভিযোগ তোলার চেষ্টা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। কিন্তু যে সঙ্কটে সারা পৃথিবী বিপর্যস্ত, দেশ টালমাটাল, তাকে ঘিরে কতখানি আর আক্রমণ শানিয়ে যাওয়া যায় নিয়মিত? তাতে রাজনৈতিক লাভ কতখানি? আর শেষমেশ তা করলেও এই ঘোর সঙ্কটে সরকারের পাশে না-দাঁড়ানোর পাল্টা অভিযোগ উঠতে পারে বলে আশঙ্কা বিরোধীদের।
দিল্লি সংঘর্ষের পরে সিএএ-এনআরসি নিয়ে সরকারের উপরে তৈরি হওয়া প্রবল চাপ করোনা অনেকখানিই হাল্কা করে দিয়েছে বলে বিরোধীদের আক্ষেপ। ঠিক যে ভাবে অর্থনীতি নিয়ে ঘোর বিপাকে পড়া মোদী সরকারই এখন বলার সুযোগ পাচ্ছে যে, ঝিমুনি
কাটিয়ে প্রাণ ফেরার সমস্ত লক্ষণই না কি দেশীয় অর্থনীতিতে স্পষ্ট। কিন্তু তাতে বাধ সাধছে করোনার প্রকোপ। বিরোধীদের আশঙ্কা, এর পরে তলানিতে ঠেকা বৃদ্ধি থেকে চড়া বেকারত্ব— অর্থনীতির যাবতীয় অসুখই করোনাভাইরাসের ঘাড়ে ঠেলে দেবে মোদী সরকার।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৫