সৌদি আরবের চাপে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ইয়েমেনের কথিত প্রেসিডেন্ট
(last modified Thu, 07 Apr 2022 12:27:00 GMT )
এপ্রিল ০৭, ২০২২ ১৮:২৭ Asia/Dhaka
  • মানসুর হাদি
    মানসুর হাদি

ইয়েমেনের পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মানসুর হাদি নিজের ক্ষমতা একটি প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের কাছে ছেড়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি ডেপুটি প্রেসিডেন্ট আলী মোহসেন আল আহমারকে বরখাস্ত করেছেন।

মানসুর হাদি গঠিত প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রধান হয়েছেন রাশাদ মুহাম্মাদ আল আলিমি। এছাড়া এই কাউন্সিলে ৭ জন সদস্য রয়েছেন। সৌদি আরবের চাপেই তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

এক টেলিভিশন ভাষণে মানসুর হাদি প্রেসিডেন্টের পূর্ণ ক্ষমতা প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের কাছে হস্তান্তর কথা ঘোষণা করেন। ২০১৪ সালে ইয়েমেন থেকে পালিয়ে সৌদি আরবে আশ্রয় নেন মানসুর হাদি। সেখান থেকেই কথিত সরকার পরিচালনা করছিলেন তিনি, তবে এই সরকারকে স্বীকৃতি দেয় না ইয়েমেনের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠন আনসারুল্লাহ ও ন্যাশনাল সালভেশন সরকার।

বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, নবগঠিত প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিল জনপ্রিয় সংগঠন হুথি আনসারুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করবে। বেশ কিছু দিন ধরেই খবর পাওয়া যাচ্ছিল, মানসুর হাদির ওপর থেকে সৌদি আরবের আস্থা উঠে গেছে। এ কারণে তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। বাস্তবে তাই হলো।

মানসুর হাদি ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ'র ডেপুটি তথা ইয়েমেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১২ সালে প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন  প্রতীকী এক নির্বাচনে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট হন। কথা ছিল তিনি অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুই বছর ক্ষমতায় থাকবেন। কিন্তু তিনি অবৈধভাবে তার ক্ষমতার মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ান এবং ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

এরপর ইয়েমেনের জনপ্রিয় আনসারুল্লাহ আন্দোলনের সঙ্গে সৌদি সরকারের মতবিরোধ দেখা দেয়ার প্রেক্ষাপটে মানসুর হাদি সৌদি আরবে পালিয়ে যান এবং ইয়েমেনের ক্ষমতায় ফিরে আসতে সৌদি সরকারের সাহায্য চান। পদত্যাগের পরও নিজেকে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবি করতে থাকেন।

পার্সটুডে/এসএ/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ