ইন্দোনেশিয়ায় ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ: আগ্রাসন বন্ধের দাবি
(last modified Sat, 23 Apr 2022 10:36:56 GMT )
এপ্রিল ২৩, ২০২২ ১৬:৩৬ Asia/Dhaka

ইন্দোনেশিয়ার হাজার হাজার মানুষ মুসলিম উম্মাহর প্রথম কেবলা ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং সেখানে সম্প্রতি ইসরাইলি আগ্রাসন ও হামলার নিন্দা জানিয়ে রাজধানী জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বর্বরতা ও অপরাধযজ্ঞ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

ইন্দোনেশিয়ায় ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ এমন সময় অনুষ্ঠিত হল যখন আল আকসা প্রাঙ্গণে ইসরাইলি অব্যাহত হামলা ষষ্ঠ দিনে গড়াল এবং এ পর্যন্ত ৫০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরাইলি জঙ্গিবিমানও ফিলিস্তিনের বিভিন্ন  অবস্থানে হামলা চালিয়ে তাদের ঘরবাড়ির ক্ষতি করেছে এবং তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ইসরাইলি এ আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সংগঠন জানিয়েছে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখানোর অধিকার তাদেরও রয়েছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিশ্ব কুদস দিবসের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ইসরাইল ততই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের আন্দোলন ও ক্ষোভ দমনের জন্য ইসরাইল এমন কোনো বর্বরতা নেই যা তারা করছে না। ইরানের পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জাফর কানাদবশ এ ব্যাপারে বলেছেন, ইসরাইল ভেবেছিল দমন অভিযান চালিয়ে এ অঞ্চলের ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ সংগঠনগুলোকে দুর্বল করতে পারবে এবং আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে নিজেদের সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে প্রচণ্ড প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে।

ইসরাইলের অবৈধ ইহুদি অভিবাসীরা আল আকসা  মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর ওই এলাকাকে ইহুদিকরণের চেষ্টা করলে নতুন করে ফিলিস্তিনিদের সাথে তাদের সংঘাত বাধে। অথচ ২০১৬ সালে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো জানিয়েছিল বায়তুল মোকাদ্দাস হচ্ছে একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং এ কারণে এর কোনো পরিবর্তন বা ইহুদিকরণ গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটি কেবলই মুসলমানদের ধর্মীয় স্থাপনা।

ইন্দোনেশিয়ায় ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ

মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আব্দুল বারি আতাওয়ান বলেছেন, বর্ণবাদী ইসরাইল বিশ্বের সবচেয়ে বিপদজনক শক্তি এবং কেবল সশস্ত্র প্রতিরোধের মাধ্যমেই তাদের মোকাবেলা করা সম্ভব। অথচ রাজতন্ত্র শাসিত আরব দেশগুলো ইসরাইলের প্রতি সমর্থন জানানোয় ফিলিস্তিনিরা আরো বেশি চাপের মুখে পড়েছে।

যাইহোক, রমজান মাসের শেষ শুক্রবার বিশ্বকুদস দিবসের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশ্বের নজর পড়ছে এবং ইসরাইলের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় ইন্দোনেশিয়ায় ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ ওই দেশটির মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে বলে পর্যবেক্ষকরা আশা করছেন। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।   

ট্যাগ