ইউক্রেন যুদ্ধ ও ইব্রাহিম চুক্তি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i116262-ইউক্রেন_যুদ্ধ_ও_ইব্রাহিম_চুক্তি_একই_মুদ্রার_এপিঠ_ওপিঠ
ইব্রাহিম চুক্তি এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের পর ইহুদিবাদী ইসরাইলের অস্ত্র বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। ইহুদিবাদী ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ এই তথ্য জানায়।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
নভেম্বর ২৩, ২০২২ ১৩:৪২ Asia/Dhaka

ইব্রাহিম চুক্তি এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের পর ইহুদিবাদী ইসরাইলের অস্ত্র বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। ইহুদিবাদী ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ এই তথ্য জানায়।

প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ শতকরা ৩০ ভাগ বেড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার ছেড়ে গেছে।

ইব্রাহিম চুক্তির ফলে পারস্য উপসাগরীয় এবং উত্তর আফ্রিকার কয়েকটি নয়া সরকার ইহুদিবাদী ইসরাইলের অস্ত্রের ক্রেতা-তালিকায় যুক্ত হলো। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মরক্কো।

অস্ত্র বিক্রির ফলে ডলারের একটি বড় অংশ ইসরাইলি অস্ত্র নির্মাতাদের পকেটে যেমন গেছে, অপরদিকে ক্রেতা দেশগুলোর উন্নয়ন ও সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচি একই পরিমাণে কমে গেছে। তারচেয়েও বড় সমস্যা যেটি তৈরি হয়েছে তা হলো ক্রেতা দেশগুলোর সামরিক কেন্দ্রগুলোতে ইহুদিবাদীদের উপস্থিতি ও প্রভাব নিশ্চিত হলো। ইসরাইলি সেনাদের উপস্থিতির ফলে ক্রেতা দেশগুলোর প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা যেমন বিপন্ন হয়েছে আবার এইসব দেশও অন্যান্য দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে গেল।

প্রকৃতপক্ষে, ইহুদিবাদী ইসরাইল এই দেশগুলোকে ট্রোজান হর্স হিসাবে ব্যবহার করে অন্যান্য দেশে অনুপ্রবেশ করছে এবং এই অঞ্চলের কৌশলগত এলাকায় তাদের উপস্থিতি বিস্তৃত করছে। ইব্রাহিম চুক্তির পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি ইয়েমেনের সুকাত্রা দ্বীপপুঞ্জেও ইসরাইলের সামরিক উপস্থিতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাত এখন ইয়েমেন থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে। তারা এখন বরং ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চল দখলে নিতে এবং কৌশলগত বন্দর ও দ্বীপগুলোতে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার কথা ভাবছে।

একইভাবে বাহরাইনও ইব্রাহিম চুক্তির পর মানামায় মার্কিন পঞ্চম নৌ-বহরের অবস্থানে তেলআবিবের উপস্থিতির ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ দমন অভিযান আরও তীব্র করেছে এবং তার ছেলেকে স্থলাভিষিক্ত করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। সুতরাং সৌদিআরব, আরিব আমিরাত আর ইসরাইলি মিডিয়াগুলো যতই শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিজ্ঞাপন প্রচার করুক না কেন বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব নেই।

অপরদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্বয়ং ইউক্রেনের পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলো। কিন্তু ইসরাইলের কোনো ক্ষতি হয় নি। তারা বরং অস্ত্র বিক্রি করেছে এবং বাইডেনকে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা বিষয়ক ভিয়েনা আলোচনা থেকে দূরে সরাতে তুমুল প্রচেষ্টা চালিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে ইসরাইল যে এতো সুবিধা ভোগ করেছে সেটা কি কাকতালীয়ভাবে ঘটে গেছে? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যুদ্ধের আগুণ জ্বালানোর পেছনে তাদের কালো হাত ছিল এবং আছে।#

পার্সটুডে/এনএম/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।