সবার নজর যখন কাতারে বিশ্বকাপের দিকে তখন আগ্রাসন জোরদার করেছে ইসরাইল
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i116702-সবার_নজর_যখন_কাতারে_বিশ্বকাপের_দিকে_তখন_আগ্রাসন_জোরদার_করেছে_ইসরাইল
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে জেনিন ও নাবলুসে ইসরাইলি সেনাদের দফায় দফায় হামলা অব্যাহত রয়েছে। এসব হামলায় এ পর্যন্ত বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ডিসেম্বর ০৩, ২০২২ ১৫:০১ Asia/Dhaka

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে জেনিন ও নাবলুসে ইসরাইলি সেনাদের দফায় দফায় হামলা অব্যাহত রয়েছে। এসব হামলায় এ পর্যন্ত বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে।

এরই অংশ হিসেবে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের উত্তরে জেনিনের দু'টি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা। এতে দুজন ফিলিস্তিনি তরুণ শহীদ এবং তিনজন আহত হয়েছে। নাবলুসেও ইসরাইলি হামলায় আরো এক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ অব্যাহত থাকার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্ববাসীর দৃষ্টি যখন কাতারে চলমান বিশ্বকাপ ফুটবলের দিকে ঠিক তখন ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের  দমনের জন্য এটাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। অতীতেও দেখা গেছে সারা বিশ্বের নজর  যখন কোনো কিছুর দিকে নিবদ্ধ থাকে ঠিক তখন ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে তাদের সহিংসকামী আচরণ জোরদার করে এবং এটাকে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ হিসেবে নেয়।

ইসরাইলি সেনাদের সহিংস আচরণ তীব্রতর হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে তারা এটা বুঝতে পেরেছে যে এ অঞ্চলের আপামর জনগণ ইসরাইলকে ঘৃণার চোখে দেখে। চলমান বিশ্বকাপেই প্রমাণিত হয়েছে যে আরব বিশ্বের মানুষ ইসরাইলকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না এবং এ পরিস্থিতি ইসরাইলকে ক্ষুব্ধ ও হতাশ করে তুলেছে। ইসরাইলি ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান অরেন হেইসুন কাতার বিশ্বকাপে হিব্রু মিডিয়ার সাংবাদিকদের অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এটা আমার কাছে প্রমাণিত হয়েছে যে কাতারের সমাজে ইসরাইল খুবই ঘৃণিত। প্রকৃতপক্ষে, ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা তীব্রতর করে এ নিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রশমিত করার চেষ্টা করছে।

ইসরাইলি সেনাদের সহিংস আচরণ তীব্রতর হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, ইসরাইলিরা গত দুই বছরে এটা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে তারা নিশ্চিন্তে ফিলিস্তিনিদের সাথে যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে। কারণ তাদের এ অপরাধযজ্ঞের প্রতি একদিকে পাশ্চাত্যের বৃহৎ শক্তিগুলো সমর্থন যোগাচ্ছে। অন্যদিকে আরব দেশগুলোও গত দুই বছরে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে এবং এ কারণে তারা ইসরাইলিদের আচরণ ও অত্যাচার নির্যাতনের ব্যাপারে টু শব্দটিও করছে না বরং পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে আরব পার্লামেন্ট সম্প্রতি জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে উত্তেজনা সৃষ্টির নিন্দা জানিয়েছে এবং ইসরাইলে বোমা হামলা ও এ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ইসরাইলি সেনাদের সহিংস আচরণ তীব্রতর হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, ফিলিস্তিনিরা এটা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধই একমাত্র পথ। গত এক বছরে ফিলিস্তিনের সংগ্রামীরা বেশ কয়েকটি দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলে। এ কারণে ইসরাইল চিন্তিত হয়ে পড়েছে এবং পাল্টা হামলা চালাচ্ছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইসরাইলের ধারণা নৃশংস দমন অভিযান চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের থামানো যাবে কিন্তু তাদের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।