ফিলিস্তিনিদের সর্বস্তরে প্রতিরোধের চেতনা জোরদার হচ্ছে
ফিলিস্তিনি বীর নারীর বীরত্বপূর্ণ জবাব!
খুব দ্রুত সময়ে অধিকৃত ফিলিস্তিনের নাবলুসে ইহুদিবাদী হানাদারদের সন্ত্রাসযজ্ঞের জবাব দিয়েছেন এক ফিলিস্তিনি বীর যুবতী।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) তিন ফিলিস্তিনি সংগ্রামী সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী সেনাদের হামলায় শহীদ হলে এর জবাবে ২৬ বছর বয়স্ক এই ফিলিস্তিনি যুবতি দক্ষিণ নাবলুসের এক এলাকায় শাহাদাত-পিয়াসী অভিযান চালিয়ে এক ইহুদিবাদী সেনাকে ছুরি দিয়ে আঘাত হেনে মারাত্মকভাবে আহত করেন। ওই হামলার পরই ইসরাইলি সন্ত্রাসী সেনারা এই বীর নারীকেও শহীদ করে। গুলিবিদ্ধ এই ফিলিস্তিনি নারীকে হাসপাতালে নেয়ার সুযোগ দেয়নি হানাদার ইসরাইলি সেনারা, ফলে তিনি খুব দ্রুত শাহাদাত বরণ করেন।
গতকাল সকালে শহীদ-হওয়া ওই তিন ফিলিস্তিনি সংগ্রামী তিন ইহুদিবাদী দখলদারকে প্রায় এক মাস আগে এক বীরত্বপূর্ণ অভিযান চালিয়ে হত্যা করেছিলেন।
ফিলিস্তিনি সংগ্রামীরা যেভাবে খুব দ্রুত ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের জবাব দিচ্ছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের জবাব দেয়ার ব্যাপারে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দৃঢ় ঐক্য বিরাজ করছে এবং ফিলিস্তিনি সংগ্রামী যুবকদের পাশাপাশি যুবতিরাও শাহাদাত-পিয়াসী বীরত্বপূর্ণ অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। ইসরাইল গতকাল সকালে ফিলিস্তিনিদের ওপর অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছিল আর একইদিন বিকেল নাগাদ এক ফিলিস্তিনি নারীর কাছে পাল্টা আঘাত পেল।
এই ঘটনা থেকে এটাও বোঝা গেল যে ফিলিস্তিনিরা পাল্টা হামলা চালানোর জন্য সব সময় প্রস্তুত হয়ে আছেন। সংগ্রামী ফিলিস্তিনিদের প্রতি মজলুম এই জাতির সমর্থনের কারণেই তা সম্ভব হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে অত্যন্ত দ্রুত ও নিয়মিত কঠোর জবাব পাওয়ার বিষয়টি নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন উগ্র বর্ণবাদী ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীর জন্য এক বড় হুঁশিয়ারি।
ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী ভেবেছিল নেতানিয়াহুর নতুন সরকারের উগ্রতা দেখে ফিলিস্তিনিরা সংগ্রামের নীতি থেকে পিছু হটবেন, কিন্তু তা হয়নি। বরং ইসরাইলি উগ্রতা ও নৃশংসতা বৃদ্ধির পর ফিলিস্তিনিদের সর্বস্তরে প্রতিরোধের চেতনা বেশ জোরদার গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে।
দখলদার ইসরাইলের নৃশংস অপরাধযজ্ঞের প্রতি পশ্চিমা সমাজের নিরবতা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতাও ইতিহাসে তাদের জন্য এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/০৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।